বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>> رده داد R ۹ د] [শান্তিনিকেতন] কল্যাণীয়াসু রাণু তোর চিঠিখানি পেয়ে খুসি হয়েচি। এখানে এখন প্রায় নির্জন। বৌমারা খড়দহে। আমি বাসা নিয়েচি সেই কোণার্কে। এখানে তোর কথা কতবার মনে পড়ে। যদি আসতিস তবে দেখতিস সে বাড়িটা অনেক বদল হয়ে গেছে— তবুও সেদিনকার ছবি অলক্ষ্যে লুকিয়ে আছে এর মধ্যে । ছুটির আকাশ সোনার রঙের রৌদ্রে এক একবার মনটাকে উদাস করে দেয়— টানে দূরের দিকে, বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে— কিন্তু কোথায় বা যাব— যেখানে যাব সেখান থেকেও বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে হবে। “আমি সুদূরের পিয়াসী” কিন্তু সেই সুদূর তো কোনো জায়গাতেই নিকট হবে না। তাই দূরের বাঁশরী শুনে যাত্রা করি মনে মনে, সে যাত্রার আর অবসান নেই। শরৎকালটা প্রতিদিন সুন্দর হয়ে উঠচে। ঈষৎ ঠাণ্ডা হাওয়ায় আমার সামনেকার ঐ বীথিকায় গাছের পাতাগুলো রৌদ্রে ঝিলমিল করে কঁপিচে, বসে বসে চেয়ে দেখি কুঁড়েমি করে কাটাই অথচ কাজের তাড়া আছে। য়ুনিভার্সিটিতে চাকরি জুটেচে, লেকচার লিখতে হবে মনে করলে প্রাণ হাফিয়ে ওঠে। ছেলেবেলায় ইস্কুল পালাবার জন্যে যেমন মন ছটফট করত এখনো সেই দশা হয়েচে । কিন্তু পালানো তখনকার মতো এত সহজ নয়। এখন পালাই বাজে কাজ করে'। যখন গষ্ঠীর লেকচার লেখা নিতান্ত উচিত তখন গল্প বানিয়ে লিখি। মনকে বলি আগে এইটে শেষ হোক তারপরে অন্যটাতে হাত দেব। •එෆ8