বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করি তখন চিঠির চেয়েও আমার মন তোমার ঢের বেশি কাছে আছে— আমার আশীৰ্ব্বাদ তোমাকে নিয়ত সঙ্গ দিচ্চে। তোমাকে স্নেহ করি বলে আশা শান্তি ভক্তিকে যদি আমি স্নেহ করতে না পারতুম তাহলে তোমার প্রতি স্নেহ আমার পক্ষে বড় লজ্জার কারণ হত। তাদের আমার অস্তরের আশীৰ্ব্বাদ জানিয়ো। আজও কথায় কথায় চিঠিটা বড় হয়ে উঠল। কিন্তু আর সময় নেই, কাগজে জায়গাও বেশি নেই, তাই এইখানে শেষ করি। আজ ছবি আঁকব ভেবেছিলুম কিন্তু চিঠি লিখতে লিখতে সময় ফুরিয়ে এল। ইতি ১১ই শ্রাবণ ১৩২৫ তোমার রবিদাদা טא כי ২৮ জুলাই ১৯১৮ শান্তিনিকেতন রাণু, যদিও তোমার চিঠি পাই নি তবু লিখচি, যখন দেনা পাওনার হিসাব করবে তখন এ কথাটা মনে রেখো। তুমি আজ কাল খুব পড়ায় লেগে গেছ কিন্তু আমি যে চুপচাপ করে বসে থাকি তা মনে কোরো না। আমার কাজ চলচে। সকালে তুমি ত জানো সেই আমার তিন ক্লাসের পড়ানো আছে তার পরে স্নান করে খেয়ে, যে দিন চিঠি লেখবার থাকে চিঠি লিখি, তারপরে বিকেলে খাবার খবর দেবার আগে পৰ্য্যন্ত ছেলেদের যা পড়াতে হয় তাই তৈরি করে রাখি। তারপরে সন্ধ্যার সময় ছাতে চুপচাপ বসে থাকি— কিন্তু এক একদিন ছেলেরা আমার কাছে কবিতা শুনতে 8१