বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চিঠিপত্র (অষ্টাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ ও অধিকারী পরিবার ফণিভূষণ অধিকারী (?-১৯৫০) নদীয়া জেলার টুঙ্গী গ্রামের বেণীমাধব অধিকারীর পুত্র। বেণীমাধব ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত, টোল স্থাপন করে সংস্কৃত শিক্ষাদানে তিনি জীবনের অনেকটা অংশ অতিবাহিত করেন। স্ত্রীবিয়োগের পরে তিনি সয়াস নিলে তার নাম হয় পরমহংস স্বামী যোগানন্দ । তার এক শিষ্য কাশীতে খানিকটা জমি-সহ একটি বাড়ি তাকে দিয়েছিলেন। এই বাড়িতে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তিনি জীবনের বাকি অংশ অতিবাহিত করেন। বেণীমাধবের চার পুত্রের মধ্যে তৃতীয় ফণিভূষণ ছিলেন পিতার প্রকৃত উত্তরাধিকারী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপনের পরে তিনি কর্মজীবন শুরু কলেজে অধ্যক্ষ ও দর্শনের অধ্যাপকের পদে যোগ দেন ও ১৯০৫ সালের অতঃপর অ্যানি বেসান্টের আহবানে দিল্লির কাজ ছেড়ে ফণিভূষণ অল্প বেতনে কাশীর হিন্দু সেন্ট্রাল কলেজে দর্শনের অধ্যাপকের পদ গ্রহণ করেন। এর আগেই তার বিবাহ হয়েছিল চন্দননগরের হরিমোহন চট্টোপাধ্যায়ের কনিষ্ঠা কন্যা সরযূবালার (? - ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭২) সঙ্গে। ১৯১৪ সালে বেনারস হিন্দু য়ুনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হলে ফণিভূষণ সেখানে দর্শনের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। সরযূবালার পিতা হরিমোহনও ছিলেন সংস্কৃতজ্ঞ, সংগীতজ্ঞ ও বহুবিধ গুণের অধিকারী। জম্মুর রাজা রাম সিং-এর অধীনে তিনি কর্ম গ্রহণ করেন, কিন্তু রাজার ব্যবহারে ক্ষুন্ন হয়ে তিনি চাকরি ত্যাগ করে লাহোরে চলে আসেন। তার সাতটি সস্তানের মধ্যে কালীপ্রসন্ন (?-১২ নভেম্বর ১৯১৯) ছিলেন বহুবিধ গুণের অধিকারী। সাংবাদিক হিসেবে তিনি যথেষ্ট খ্যাতি ( ૨૯