পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোভিয়েট মত প্রচার উপলক্ষ্যে উক্ত গবৰ্ম্মেণ্ট জনমতের স্বাধীনতাকে যদি দণ্ডপ্রয়োগের দ্বারা দমন করে থাকে তবে সে সম্বন্ধে আমরা বিচার করতে গেলে হাস্যাস্পদ হব । আমি কেবলমাত্র তুলনা করচি সেখানকার সঙ্গে আমাদের দেশের অন্নবস্ত্র শিক্ষা ও আরোগ্যবিধানের। উভয় রাজ্যের এই বিপুল প্রভেদের মূল কারণ, এম্পায়ার নামধারী রাষ্ট্রক জীবের মধ্যে সেই দ্বিখণ্ডত জুস্তিত যার ভিতর দিয়ে সজীব দেহের স্বায়ুর যোগ নেই, যোগ আছে শাসনবন্ধনের। এই অস্বাভাবিক সম্বন্ধের ভিতর দিয়ে ইংরেজ কৰ্ত্তারা আপন মহত্ত্বকে খৰ্ব্ব না করে থাকতে পারে না । হিন্দু ভারতের পক্ষে সমস্ত ব্যাপারটা হয়ে দাড়িয়েছে সাংঘাতিকরূপে অনিবাৰ্য্য। আমরা মার খাবার জন্তেই অতি বিশুদ্ধভাবে তৈরি করেছি নিজেকে। আমরা কিমা-করা মাংস, বাচবার জন্তে নই, গলাধঃকৃত হবার জন্তেই। আমাদের শতধাবিভক্ত জীর্ণ জনসমাজ কোনো আগন্তুক অকল্যাণকে এ পৰ্য্যন্ত ঠেকাতে পারে নি। আমরা আত্মঘাতী জাত ; বাহির থেকে মারের নানা পথ নিজের হাতে সনাতনী নৈপুণ্যে পাকা করে বাধিয়ে রেখেছি । শতাব্দীর পর শতাব্দী পরাভবে অভিভূত হতে হতেও তা নিয়েই শ্লাঘা ক’রে থাকি। মারটাই কেবল পেয়ে এসেছি তার থেকে শিক্ষণ পাই নি । ইতিহাসে আমাদের চেয়ে মজবুৎ অনেক জাত মরেছে— আমরাই যে আমাদের সমস্ত দুৰ্ব্বলতা ও অস্বাস্থ্যের কারণগুলোকে সযত্নে সৰ্ব্বদেহেমনে পোষণ ক’রেও বেঁচে থাকব, আমরা 为动%