পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার মনে হয় আছে– জগৎসংসার থেকে দীর্ঘকাল ধরে মানুষ যে রসকে আগ্রহের সঙ্গে স্বীকার করে নিয়েছে, বলেছে ই, তাকে সে স্থায়িত্ব দেবার জন্যে এমন একটা রূপ দিতে চেয়েছে যাকে বলা যায় সুসম্পূর্ণ পফেক্ট্ৰ। ইফাহানে যে মসজিদ দেখেছিলেম তাতে মানুষের যে যত্ন প্রকাশ পেয়েছে সে বীর্যবান যত্ন । সুবৃহৎ স্বসম্পূর্ণতার জন্তে বিপুল অধ্যবসায়। আমি মুসলমান না হতে পারি এমন কি তার প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে কিন্তু সেই স্থাপত্যের পরে একটি ওঁ মন্ত্র ধ্বনিত হয়েছে, মানুষ বলেছে হ, স্বীকার করে নিলুম, আমার অমুসলমান মনও তাকে স্বীকার করে। কিন্তু যা অস্বাস্থ্য, যা বিকার, যা মুদ্রাদোষ তা সাইকলজির বিষয়, তা কবিতার নয়। মানুষের বড়ো সাধনা সমস্ত জীবনকে শিল্পরূপ দিতে চেয়েছে, মর্ত্যকে বানাতে চেয়েছে স্বর্গের কল্পমূৰ্ত্তিতে। সাহিত্য এবং চিত্রকলা প্রথম থেকেই এই কাজে তাকে সাহায্য করতে চেয়েছে। আধুনিকতা অনেক সময়ে এই ইচ্ছাকে ছেলেমানুষি বলে অবজ্ঞা করে। Yকিন্তু মানুষের মধ্যে চিরকালের ছেলেমানুষ আছে, সে অনাবশ্যককে লীলাচ্ছলে বানায় । ছন্দে বন্ধে বাকী ভাষায় খামক মানুষ যে কবিতা লেখে যার মধ্যে অপ্রাকৃত এবং অসংগতও অসংকোচে স্থান পায় সেই খেলাকে কী বলবে ? এই খেলাকে খুশির খেলা করতে চাই তার মধ্যে সুন্দরের রস দিয়ে, তাকে কারুশিল্পে মনোলোভন করে । এই হোলো যাকে বলে লিরিক। এপিক হোলো আশ্চৰ্য্যকে নিয়ে খেলা করা এ আর নাট্য হোলো কাল্পনিক ૨ > આ