পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেয়ে ওঠে তখন প্রোলিটেরিয়েট মুড়ি বালির আদর্শে ই কি নদীর শ্রেষ্ঠতা নির্ণয় করতে হবে। মনুষ্যত্বের আদর্শের চেয়ে জন্মগত শ্রেণীগত আকস্মিকতা বেশি অভ্যর্থনা পায় সমাজের ছুদিনে। সে দুর্দিন সকল সমাজে সকল সময়েই দেখা যায়। কিন্তু সাহিত্যে আজ পর্যন্ত আন্তরিক শ্রেষ্ঠতার আদর্শ বাহিক শ্রেণীভেদের উপর-নির্ভর করে নি— এখন পাশ্চাত্য মহাদেশের কোনো কোনো প্রদেশে সামাজিক গোড়ামি সাহিত্য নিয়েও যদি জাত-ঠেলাঠেলি করতে থাকে তাহলে আমরা তাতে কেন যোগ দিতে যাব J আমাদের সামাজিক বৈঠক কি এত কাল জাতযাচনদারি নিয়ে যথেষ্ট সরগরম ছিল না— শেষকালে কি জাত মানা মত্ত হস্তী সাহিত্যেরও পদ্মবনে ঢুকে পড়বে। আমি বুঝতে পারি এর আন্তরিক কারণটা। নতুন যুগে সাহিত্য আপন রচনায় আপন কালের বিশেষ সাক্ষ্য দেবে, সময়ের এই দাবিটা মনকে চঞ্চল করেছে। যুগে যুগে গুটি কেটে বেরোয় সাহিত্যের প্রজাপতি, বাণীর ডানায় নূতন রঙের ছাপ লাগিয়ে। কিন্তু সেটা লাগে সহজে প্রাণধর্মের তাগিদে। আমাদের বর্তমান সাহিত্যে তেমনি করেই কি এক দিন নব জীবনের রং লাগে নি। এমন কি অল্পকাল আগে হেম বাড়ুজ্যে নবীন সেন র্তাদের কাব্যে যে প্রসাধন নিয়ে দেখা দিয়েছিলেন সে কি আজ সম্পূর্ণ বদলে গেল না। তা নিয়ে সাহিত্যের চণ্ডীমণ্ডপে জাতবদলের কি কোনো তর্ক উঠেছে Y রাধিকার বয়ঃসন্ধির বর্ণনায় বিদ্যাপতি কিছু মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন, বলেছেন, ૨. ઉ. 8