পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানো। কেবল রাজা নন রাষ্ট্রপারিষদেরাও সকলেই অভ্যর্থনার কাজে নিয়ত মনোযোগী ছিলেন। আমি ছিলেম বিদেশী, আমার রচনার সঙ্গে পারস্তের পরিচয় নিতান্ত অসম্পূর্ণ; আমার খ্যাতিকে পারসিকেরা কেবল বিশ্বাস করে নিয়েছিলেন মাত্র। সেই বিশ্বাসের প্রতি নির্ভর করে তারা আমাকে যে সম্মান দিয়েছিলেন, সে সম্মান সেই মানবচিত্তের উদ্দেশে যে চিত্ত দেশকালের আশু প্রয়োজনীয় সীমা অতিক্রম করে বিরাট ইতিহাসের মধ্যে পরিব্যাপ্ত। আমি প্রথম যখন ইজিপ্টে গিয়ে পৌছলুম তখন কায়রোতে পার্লামেণ্ট অধিবেশনের কাজ চলছিল। সেই কাজের মাঝখানে অবকাশ দিয়ে সেখানকার সদস্যেরা এসেছিলেন আমার প্রত্যুদগমনে। জাপান য়ুরোপের একনিষ্ঠ চেলা । সেখানে যখন গিয়েছিলেম জনসাধারণ প্রভূত উৎসাহে আমাকে সম্মান দেখিয়েছিল। কিন্তু মিকাডোর তো কথাই নেই একজনেী রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে আমার একদিনেরও সংস্রব ঘটে নি । বোধ করি আমি তাদের সন্দেহদৃষ্টিতে ছিলুম। আমি যে র্তাদের সন্দেহের যোগ্য সে কথা স্বীকার করি । পাশ্চাত্যরাষ্ট্রে রাষ্ট্রশক্তির একান্ত অহমিকার পরিচয় পাওয়া যায় লীগ অফ নেশনসের প্রতিষ্ঠায়। সে বৈঠকে নেশনদের একমাত্র প্রতিনিধি র্তারাই যারা রাষ্ট্রচালক। শুনেছি পিতৃদেব যখন বোলপুরে প্রথম আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন তার অনতিকাল পূর্বে সেখানে ডাকাতের উৎপাত ছিল। তিনি একজন দস্থ্যপতিকেই আশ্রম রক্ষক নিযুক্ত করেছিলেন। এই রক্ষাকার্যে ২৬৯