পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পান্থশালা নিঃশেষে পরিপূর্ণ। মোটরের ধূলোয় এবং ধমকে আকাশ স্নান । খেয়া-জাহাজ কাল জাভা অভিমুখে ফিরবে, তাই প্রতিবর্তী যাত্রীর দল আজ নানা পথ বিপথ দিয়ে চঞ্চল হয়ে ধাবমান । এত সমারোহ কেন, সে কথা জিজ্ঞাসা করতে পার । বালির লোকেরা যারা হিন্দু, যারা নিজের ধৰ্ম্মকে আগম বলে, শ্রাদ্ধক্রিয়া তাদের কাছে একটা খুব বড়ো উৎসব । কেননা যথানিয়মে মৃতের সৎকার হলে তার আত্মা কুয়াশা হয়ে পৃথিবীতে এসে পুনর্জন্ম নেয়, তারপরে বারে বারে সংস্কার পেতে পেতে শেষকালে শিবলোকে চরম মোক্ষে তার উদ্ধার । এবারে আমরা যাদের শ্রাদ্ধে এসেছি তারা দেবত্ব পেয়েছেন ব’লে আত্মীয়েরা স্থির করেছে, তাই এত বেশি ঘট । এত ঘটা অনেক বৎসর হয় নি, আর কখনো হবে কিনা সকলে সন্দেহ করচে। কেননা, আধুনিক কাল তার কাটারি হাতে পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্চে অনুষ্ঠানের বাহুল্যকে খৰ্ব্ব করবার জন্তে, তার একমাত্র উৎসাহ উপকরণ-বাহুল্যের দিকে । এখানকার লোকে বলচে, সমারোহে খরচ হবে এখানকার টাকায় প্রায় চল্লিশ হাজার, অামাদের টাকায় পঞ্চাশ হাজার। ব্যয়ের এই পরিমাণটা সকলেরই কাছে অত্যন্ত বেশি বলেই ঠেকচে । আমাদের দেশের বড়ো লোকের শ্রাদ্ধে পঞ্চাশ হাজার টাকা বেশি কিছুই নয়। কিন্তু প্রভেদ হচ্চে, আমাদের শ্রাদ্ধের খরচ ঘটা করবার জন্যে নয় যেমন পুণ্য করবার জন্তে । তার প্রধান অঙ্গই দান, পরলোকগত ¢ ግ