পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্যান করিব । সূর্য্যের প্রকাশ আমরা প্রত্যক্ষভাবে কিসের দ্বারা জানি ? সূৰ্য্য আমাদিগকে যে কিরণ প্রেরণ করিতেছে সেই কিরণের দ্বারা । সেইরূপ বিশ্বজগতের সবিতা আমাদের মধ্যে অহরহ যে ধীশক্তি প্রেরণ করিতেছেন, যে শক্তি থাকার দরুন আমি নিজেকে ও বহিরের সমস্ত বিশ্বব্যাপারকে উপলব্ধি করিতেছি— সেই ধীশক্তি র্তাহারই শক্তি এবং সেই ধীশক্তি দ্বারাই তাহারই শক্তি প্রত্যক্ষভাবে অস্তরের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ অন্তরতমরূপে অনুভব করিতে পারি। বাহিরে যেমন ভূভুব:স্বর্লোকের সবিতারূপে তাহাকে জগৎচরাচরের মধ্যে উপলব্ধি করি, অন্তরের মধ্যেও সেইরূপ আমার ধীশক্তির অবিশ্রাম প্রেরয়িতা বলিয়া তাহাকে অব্যবহিতভাবে উপলব্ধি করিতে পারি। বাহিরে জগৎ এবং আমার অন্তরে ধী, এ দুইই একই শক্তির বিকাশ— ইহা জানিলে জগতের সহিত আমার চেতনার এবং আমার চেতনার সহিত সেই সচ্চিদানন্দের ঘনিষ্ঠ যোগ অনুভব করিয়া সঙ্কীর্ণত হইতে স্বার্থ হুইতে ভয় হইতে বিষাদ হইতে মুক্তি লাভ করি। গায়ত্রীমন্ত্রে বাহিরের সহিত অন্তরের ও অন্তরের সহিত অন্তরতমের যোগসাধন করে – এইজন্যই আৰ্যসমাজে এই মন্ত্রের এত গৌরব। যো দেবোহন্ত্রেী যোহন্দু, যে বিশ্বং ভূবনমাবিবেশ । য ওষধিযু যে বনস্পতিযু তস্মৈ দেবায় নমোনমঃ ॥ ব্ৰহ্মধারণার পক্ষে এই মন্ত্রই আমি বালকদের পক্ষে সর্বাপেক্ষা সরল বলিয়া মনে করি । ঈশ্বর জলে স্থলে অগ্নিতে ওষধিবনস্পতিতে সৰ্ব্বত্র আছেন, এই কথা মনে করিয়া তাহাকে YÒer