পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারা সাপ দেখলেই ধরতে চাইত, কেউ তালগাছের চুড়ায় উঠে ৰসে থাকত— সেখান থেকে পড়েও মরে নি।” বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কর্মরত শিক্ষকগণের অধিকাংশ ও অন্তরে সংশয় পোষণ করতেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মনে এই বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে গভীর আশা জাগ্রত ছিল ; সেই আশার পরিচয় বর্তমান পত্রে পরিস্ফুট । পত্র ২১ । “ তাহাদিগকে স্বসংবাদ জানাইলাম ।” মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওকালতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সংবাদ । পত্র ২২ । “দীনেশবাবুর প্রবন্ধ অত্যন্ত অযোগ্য হইয়াছে।" রবীন্দ্রনাথ-সম্পাদিত নবপর্যায় ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রের তৃতীয় বর্ষ, মাঘ ১৩১ • সংখ্যায় দীনেশচন্দ্র সেনের ‘সাহিত্যের আদর্শ’ শীর্ষক একটি প্রৰন্ধের প্রসঙ্গ । দীনেশচন্দ্র তার প্রবন্ধে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যসমাজে মানৰপ্রকৃতির মধ্যে দুস্তর ব্যবধান ও বৈপরীত্য কল্পনা করেছেন । প্রবন্ধের পরিশেষে র্তার মন্তব্য, “তাহার [ সেক্সপীয়রের ] কবিতা উন্নত কৰ্ত্তব্যবুদ্ধিকে জাগাইয়া তোলে না। কতক পরিমাণে বর্বরযুগের দম্ভ, তেজ ও অহঙ্কারের ছায়া পড়িয়া তাহার কাব্য ও নাটকগুলিকে রাজসিক গুণের আধার করিয়াছে। উহাতে চূড়ান্ত প্রতিভা আছে, কিন্তু উদ্ধাম প্রতিভার শাসন নাই— উহাতে মানবপ্রকৃতির অবাধ স্বাধীনতা ও অদম্য লীলা দৃষ্ট হয়। কিন্তু তাহ শীলতা ও স্বভাবনম্রতায় ভূষিত হইয়া লোকহিতকর হয় নাই । . আমাদের মহাকাব্যগুলির ভিত্তি সংযম, উহারা সাত্ত্বিক গুণের শুভ্রদীপ্তিতে সমস্ত অশুভ ঘটনাকে কল্যাণের ১. প্রাক্তনী, পুনর্মুদ্রণ ৭ পৌষ ১৩৮৬, পৃ. ১৮ રG:૪