পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চালুনিতে করে সমূত্র পার হবার চেষ্টা । পৃথিবীতে যার সদুপায়ে অর্থ উপার্জন করাটাকে বিলম্বজনক ও কষ্টসাধ্য মনে করে তারাই সি ধ কেটে বড় মানুষ হতে চায় । আমাদের হতভাগ্য দেশে আমরা যথার্থ ত্যাগস্বীকার করে দেশের কাজ করতে কষ্ট বোধ করি বলেই আমাদের ওখানেই একদল বীরপুরুষ বোমা ছুড়ে দেশ উদ্ধার করতে চায় । এই বোমা কোনখানে গিয়ে পড়ে বল দেখি ? একেবারে স্বদেশলীর মঙ্গলঘটের উপরে । আমাদের দেশে দুর্গতি ত নানা মাকারেই বিরাজ করচে, তার উপরে আবার এই সয়তানটাকে ঘরের মধ্যে ঢুকতে দিলে কে ? একে ত সহজে বিদায় করতে পারবে না । এখন থেকে ক্ষণে ক্ষণে অকস্মাং কোন অন্ধকার থেকে এ হঠাৎ আমাদের উপর এসে পড়ে অামাদের ভাঙ্গা কপালকে আরো ভাঙ্গবে ।” ঘরে বাইরে’ উপন্যাস ধারাবাহিকভাবে সবুজপত্রে প্রকাশিত হৰার সময়েষ্ট ( ১৩২২ বঙ্গাব্দ ) এর নানারকম প্রতিকূল সমালোচনা হতে থাকে । এই উপন্যাসের অন্ততম মুখ্য চরিত্র সন্দীপকে রবীন্দ্রনাথ দেশের সন্ত্রাসবাদীদের টাইপচরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করে স্বদেশভক্ত সন্ত্রাসবাদীদের হেয় করেছেন, এরকম অভিযোগও উঠেছিল । এই উপস্কাস বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তরে রবীন্দ্রনাথ যা লিখেছিলেন, বিশ্বভারতী-প্রকাশিত ‘ঘরে বাইরে’ উপস্তাসের পরিশেষ অংশে ( ১৯৬১ ) তা সংকলিত হয়েছে । "বাকুড়ার দুভিক্ষ নিবারণের সাহায্যে মাঘের মাঝামাঝি একটা অভিনয়ের আয়োজন চলিতেছে—" ১৩২২ বঙ্গাৰো অনাবৃষ্টিজনিত শস্যহানির ফলে বাঁকুড়ায় যে ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তার সাহায্যের জন্য রবীন্দ্রনাথ কলকাতা, মাঘোৎসবের পর জোড়াসাকে বাড়িতে ‘ফাঙ্কনী’ নাটকের অভিনয় করেন । এই दैत्रे७