পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুয়ে কি হবে ? শুলেই ডাকবে, বলবে, চলে৷ এবার } কপালে দুঃখুঢ়া আছে তো আছে! গণেশের মা জবাব দিয়ে মস্ত হাই তোলেন, হাঁ বুজবার আগেই কাঁথাটা ঠিক করে দেন ছোট ছেলে দুটোর গায়ে। তারা অঘোরে ঘুমোতে আরম্ভ করেছে। শোয়ার সুযোগ পাওয়া মাত্র। রাণী উত্তরের বেড়ার জানালার ঝাঁপ উচু করে তাকিয়ে থাকে দূরের রক্ত-চিহ্নের দিকে। শুয়ে পড়ে একটু বিশ্বাম করে নেবার জন্য যাদবের আবেদন তার কানে পৌচেছে মনে হয় না। তার শরীবের শিরা-মাংস মাটিতে আছড়ে পড়ে বিশ্বাসা খোঁজার মত অবসানু, হঠাৎ হাঁটু ভেঙ্গে হয়তো সত্যি সত্যি পড়ে যাবে, কে জানে। কিন্তু দুরের ওই আগুনের রক্তি সংকেত থেকে চোখ সরিয়ে নেবার ক্ষমতা তীব্য নেই ; সাদা গুণক:ম করা মাটির দেয়ালের ওপরে সুন্দর করে ছাওয়া কয়েকটি গ’ল ? শুধু পুড়ছে না। ওখানে, সীতা দেবীর অগ্নিপরীক্ষার ফাগুন স্বালিয়ে দিয়েছেন দেবতারা তার সতীত্ব রক্ষার জন্য, একেবারে শেষ মুহুর্তে ! হৈ হৈ বৈ য়ৈ আওয়াজ এসেছিল কাণে, মণে হয়েছিল দু’কানো এতক্ষণের ঝিম্ ঝিম আওয়াজ এবার বদলে গোল কানোর পর্দা ফেটে মাথার ঘিলু বেরিয়ে আসছে বলে, এ ব্যার সে মরবে। যাক বাঁচা গেল, সে ভেবেছিল, মরার পর , খৃসী। করুক তাকে নিয়ে বেঁটে মোটা লোকটা, সে তো আর জানবে না বুঝবে না ! গা শুদ্ধ লোক যে হৈ হৈ করে তাকে ছিনিয়ে छुिः ॐ R