পাতা:চেনা দায় - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
দারোগার দপ্তর, ৮৪ম সংখ্যা।

তাহা হইতেই কষ্টে-সৃষ্টে সংসার প্রতিপালন করিয়া, আমার জীবনে আমি পাঁচ হাজার টাকার সংস্থান করিয়াছিলাম; কিন্তু মহাশয়! লোভে পড়িয়া আমি আমার চিরোপার্জ্জিত সমস্ত অর্থ নষ্ট করিয়াছি।”

 আমি। কিরূপ লোভে পড়িয়া আপনি আপনার সমস্ত অর্থ নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছেন?

 বন্ধু। যেরূপ লোভে পড়িয়া আমি আমার যথাসর্ব্বস্ব নষ্ট করিয়াছি, তাহার সমস্ত বৃত্তান্ত আনুপূর্ব্বিক আমি বলিতেছি।

 “আমি যেরূপ কষ্টে সংসারযাত্রা নির্ব্বাহ করিয়া কিছু অর্থের সংস্থান করিয়া রাখিয়াছিলাম, তাহা অপর কেহ জানিত বলিয়া আমার বিশ্বাস ছিল না। এমন কি, একথা আমি কখনও আমার স্ত্রী-পুত্রগণের নিকটেও ঘূণাক্ষরে উহা প্রকাশ করি নাই; কিন্তু জুয়াচোরগণ যে কিরূপে তাহা জানিতে পারিয়াছিল, তাহা অতীব আশ্চর্য্যের বিষয়!

 “সেখ বছিরুদ্দিন নামক এক ব্যক্তিকে আমি পূর্ব্ব হইতে চিনিতাম। ইতিপূর্ব্বে তাহার বাসস্থান আমি না জানিলেও, অনেকদিবস হইতে সে আমার নিকট পরিচিত ছিল। সে প্রায়ই আমার নিকট আগমন করিত, এবং মধ্যে মধ্যে দুই একটা দালালী কার্য্যে আমার সহায়তা করিয়া আমার কিছু উপকার করিত। তাহাতে নিজেও সে দুই পয়সা উপার্জ্জন করিত।

 “প্রায় দুই সপ্তাহ অতীত হইল, একদিবস সন্ধ্যার পর আমি আমার বাড়ীতে বসিয়া আছি, এমন সময়ে সে আসিয়া আমার বাড়ীতে উপস্থিত হইল। আমি তাহাকে বসিতে বলিলাম, সে সেই স্থানেই উপবেশন করিল। এরূপ ভাবে বছিরুদ্দিন মধ্যে