পাতা:ছায়া-বিজ্ঞান - মন্মথনাথ চক্রবর্তী.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ছায়া-বিজ্ঞান ।


পদার্থকে ঈথর কহে। উহা জল এবং বায়ু অপেক্ষা তরল ও সূক্ষ।

সূর্য্য যে কি প্রকারে আলোকিত হইতেছে বা উহা কিপ্রকার ভালোকময় পদার্থ তাহা অদ্যাবধি স্থিরীকৃত হয় নাই, তবে দর্শনেন্দ্রিয়ের দ্বারাই আমরা ইহার অস্তিত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি। আলোক থাকিলেই আমরা দেখিতে পাই এবং অালোকের অভাবেই অন্ধকার বা আমরা কিছুই দেখিতে পাই না।

আলোক প্রতিফলনেই আমাদিগের দৃষ্টি জ্ঞান হয়; কারণ যদ্যপি রাত্রে আমরা কোন অন্ধকার গৃহে প্রবিষ্ট হই, তাহা হইলে কিছুই আমরা দেখিতে পাই না, কিন্তু একটি আলোক জ্বালিলেই সমস্ত পদার্থ আমাদিগের দৃষ্টিগোচর হয়। আলোক জ্বালিবামাত্র দৃষ্টিজ্ঞান অনুভূত হইবার কারণ এই যে, আলোকের রশ্মি সমূহ পরিচালিত হইয়া গৃহস্থিত সমস্ত দ্রব্যাদির উপর পতিত হয়, এবং সেই সমস্ত দ্রব্য হইতে অালোক প্রতিফলিত হইয়া অামাদিগের চক্ষে উপনীত হয়।

আলোক হইতে সুস্মরেখাকারে যে আলোক চতুর্দ্দিকে বিস্তৃত হয় তাহার নাম আলোক রশ্মি (চক্ষু অর্দ্ধমুদ্রিত করিয়া দেখিলে বুঝিতে পারিবে) । এই আলোক-রশ্মি তিন ভাগে বিভক্ত —- প্রথম সমান্তর রশ্মি, দ্বিতীয় ক্রমান্তর রশ্মি, তৃতীয় বিন্দুমুখী রশ্মি। এই অালোক-রশ্মিই অবস্থা ও প্রকৃতি ভেদে সমান্তর ও ক্রমান্তর হইয়া যায়, যথা সময়ে ইহার কারণ বুঝাইব।

আলোক-বক্রীভবন। (Refraction of light.) কোন আলোকিত পদার্থ হইতে অালোক-রশ্মি বহির্গত হইয়া কোন মধ্যবর্ত্তী স্বচ্ছ পদার্থের ( স্তরের ) মধ্য দিয়া চালিত হইলে