পাতা:ছিন্নমুকুল - স্বর্ণকুমারী দেবী.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ত্রয়ােদশ পরিচ্ছেদ
৫৯

আরও একটু বেশী মাত্রায় চটিলেন। ভাবিলেন, সে নালিস না করিয়া যদি পুরস্কার প্রার্থনা করিত তো তাহার পক্ষেই ভাল হইত, কিছু পাইয়া যাইত, নালিস করিয়া আর একবার মার খাইবার সূত্রপাত করিল মাত্র। প্রমোদের কেবল একটি বিষয়ে একটু মুস্কিল লাগিল। মোকদ্দমাতে তো উকিল ব্যারিষ্টার দিতে হইবে, এবং তা ছাড়া অন্যান্য খরচও তো আছে, কিম্বা যদি কি জানি মন্দটাই হয়, যদি দশ বিশ টাকা দণ্ডই লাগে, আগে হইতে ত এ সকল ব্যয়ের যোগাড় করা চাই। অর্থাভাবই তাঁহার প্রধান চিন্তার বিষয় হইয়া দাঁড়াইল। অন্ততঃ দুই শত টাকা এজন্য হাতে রাখা আবশ্যক বিবেচনা করিলেন। কিন্তু অত টাকা প্রমোদ কোথায় পান? কনকের কাছে অগত্যা তাহা চাহিয়া পাঠাইলেন। যামিনীর নিকট ধার চাহিতে তিনি লজ্জায় কোন মতে পারিয়া উঠিলেন না। আর ধার করিলে ও তো তাহা শীঘ্র শোধ করিতে হইবে। এ বিপদে কনক ছাড়া আর কে তাঁহাকে রক্ষা করে!


ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

স্নেহের পুরস্কার

 কলিকাতা আসিয়া অবধি প্রমোদ মাঝে মাঝে কনকের নিকট দশ বিশ টাকা চাহিয়া পাঠাইতেন। যামিনীনাথ তাঁহাকে যেরূপ পাইয়া বসিয়াছিলেন তাহাতে সুশীলার নিকট হইতে প্রমোদ কলিকাতায় থাকিবার যে খরচ পাইতেন সে অর্থে তাঁহার ব্যয় সঙ্কুলান হইয়া উঠিত না। ধনশালী বলিয়া প্রমোদের খ্যাতি আছে, সুতরাং তাঁহার ঘাড় ভাঙ্গিবার ইচ্ছায় যামিনীনাথ—আজ থিয়েটারে চল, আজ