পাতা:ছোটদের অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোনে না, সেদিনও গিয়াছিল পিসিমাকে লুকাইয়া কিন্তু অন্ধকার হইয়া গেলেই তার যত ভয় । দুপুরে সেদিন পিসিমাদের বাড়ির পিছনে বঁাশবনে পাখির বাসা খুজিতে বাহির হইয়াছিল। সবে শীতকাল শেষ হইরা রৌদ্র বেজায় চড়িয়াছে, আকাশে বাতাস বনে কেমন গন্ধ। বাবা তাহাকে কত বনের গাছ, পাখি চিনাইয়া দিয়া গিয়াছে, তাই সে জানে কোথায় বনমরিচার লতায় থোকা থোকা সুগন্ধ-ফুল ধরিয়াছে, কেলেকেঁাড়ার লতার কচি ডগা ঝোপের মাথায় মাথায় সাপের মত দুলিতেছে। কখনও সে ঠাকুরদাদার পোড়ে ভিটাটাতে ঢোকে নাই । বাহির হইতে তাহার বাবা তাহাকে দেখিয়াছিল, বোধ হয় ঘন বন বলিয়া ভিতরে লইয়া যায় নাই। একবার ঢুকিয়া দেখিতে কৌতুহল হইল । জায়গাটা খুব উচু ঢিবিমত । কাজল এদিকে ওদিকে চাহিয়া টিবিটার উপরে উঠিল--তারপর ঘন কুঁচকঁাটা ও শ্যাওড়া বনের বেড়া ঠেলিয়া নিচের উঠানে নামিল। চারিধারে ইট, বঁাশের কঞ্চি, ঝোপঝাপ । পাখি নাই এখানে ? এখানে তো কেউ আসে নাকত পাখির বাসা আছে হয়ত-কে বা খোজ রাখে ? বসন্তবেরী ডাকে-টুকলি, টুকলি-তাহার বাবা চিনাইয়াছিল, কোথায় বাসাটা ? না, এমনি ডালে বসিয়া ডাকিতেছে ? মুখ উচু করিয়া খোকা ঝিকড়ে গাছের ঘন ডালপালার দিকে উৎসুক চোখে দেখিতে লাগিল । এক ঝলক হাওয়া যেন পাশের পোড়ো ঢিবিটার দিক হইতে অভিনন্দন বহন করিয়া আনিল-সঙ্গে সঙ্গে ভিটার মালিক ব্ৰজ চক্রবর্তী, ঠ্যাঙাড়ে বীরু রায়, ঠাকুরদাদা হরিহর রায়, ঠাকুরমা সর্বজয়া, পিসিমা দুর্গা—জানা অজানা সমস্ত পূর্বপুরুষ দিবসের প্রসন্ন হাসিতে অভ্যর্থনা করিয়া বলিল-এই যে তুমি-আমাদের হয়ে ফিরে এসেছ, আমাদের সকলের প্রতিনিধি যে আজ তুমি আমাদের আশীৰ্বাদ নাও, वरभद्र उं•शूऊ श्3 । dit ,