পাতা:জন্মভূমি (সপ্তদশ বর্ষ).pdf/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9S a জন্মভূমি। Syort voor ! পরস্তু তন্মধ্যে যাহারা সমধিক তমোগুণে আক্রান্ত, তাহারা জড়বৎ প্রতীয়মান হইতেছে ; আর যাহারা নূন্তাধিক ভাবে সত্ত্ব গুণময়, তাহারা চেতন বা জীবন্ত রূপে প্ৰতীয়মান হইতেছে. এই মন্ত্র প্রভেদ, অতএব সকলেই চেতন, সকলেই জীবন্ত + আমরা জল আদি পদার্থকে একাগ্ৰচিত্তে আহবান করিলে তাহারা শুনিতে পায় । এবং ব্ৰহ্মই নিজ ইচ্ছা শক্তির প্রভাবে স্থাবর জঙ্গমাদি হইয়াছে “আমি একই বহু হইব” “আমিই প্ৰজা হইব।” এইরূপ ইচ্ছা শক্তির বলে তৎক্ষণাৎ তিনি সেই সেই বিষয় স্থষ্টি করেন, ইহাতে বুঝিতে হইবে যে ইচ্ছা শক্তির এমনই এক অপূৰ্ব্ব মহিমা আছে যে, যে বিষয়ে ইচ্ছাশক্তির পরিচালনা করা যায়। সেই বিষয় সিদ্ধ হয়। বরং ঈশ্বরের মহীয়সী শক্তির বলে মহান পৰ্ব্বত সমুদ্র ভুলোক গোলক প্রভৃতি ব্ৰহ্মাণ্ড উৎপন্ন হইয়াছে ; আর সাধারণ প্ৰাণীর পরিচ্ছন্ন শক্তির ঘলে পরিছিন্ন অসন বসন গৃহ প্ৰভৃতি উৎপন্ন হইয়া থাকে, ইচ্ছা শক্তি এককালে বিফল হয় না । এজন্যই ঈশ্বর বাক্য বেদোক্ত মন্ত্রে ইচ্ছারই প্ৰকারান্তর প্রার্থনা বাক্য নিয়োগ আছে, যথা—“আপঃ পুনস্তু” “শন্নোভাবস্তু” “এনঃশুন্ধন্তু” “মা ন ভুবং”, “ভুয়াসং” ইত্যাদি প্রার্থন বাক্যময় মন্ত্র উপপন্ন হয়, অন্যথা উহা উন্মত্ত প্রলপিত তুল্য বা আকাশ কুসুম-তুল্য হইতে বাধা হয় না। এখন বুঝা উচিত, এই পাঞ্চভৌতিকারবন্ধ শরীরে মন আদি ইন্দ্ৰিয়াদির স্বাস্থ্যাদি মঙ্গলার্য একাগ্ৰচিত্তে সম্বোধন করিয়া ক্ষিতি জল অগ্নি চন্দ্ৰ সুৰ্য্য বায়ু ও আকাশ আদির নিকটে একাগ্ৰতা সহকারে প্রার্থনা-ইচ্ছা প্ৰকাশ করিলে নিশ্চয়ই তাহার অপ্ৰসন্ন হইয়া আমাদের অভীষ্ট পুর্ণ করেন, কল্যাণ বিধান করেন। সেজন্য জলকে বলা হয় মরুদেশের জল, কুপোদক, সমুদ্রোদক আমার মঙ্গল করুন, হে জল! তুমি আমাদিগকে তোমার শিবতম। রসের ভাজন কর! জল অন্তরে নাহিরে থাকিরা পৃথিবীকে পুত করুক, সেই পুতা পৃথিবী তদ্যুৎপন্ন পুত ফল শস্যাদিরূপে আমাদের দেহে প্ৰরিষ্ট হইয়া পুষ্টি সুখ-স্বচ্ছন্দ-বিধান করুক, এই রূপে প্ৰাৰ্থিত হইয়া পৃথিব্যাদি দেৱতারা আমাদের আধিব্যাধি বিনাশ করেন, আয়ুবুদ্ধি করেন, বুদ্ধি নিৰ্ম্মল করেন । , এইরূপ সন্ধ্যার সকল মন্ত্রেরই অতি সুন্দর অনিকবচনীয় তাৎপৰ্য্য অর্থ আছে, ইহা বুহ্মা প্ৰথমে আপন চিন্তাশক্তি দ্বারা আবিষ্কার করিয়া আনন্দে অধীর হইয়াছিলেন, ইহা অস্বাভাবিক নহে যে, কেহ নুতন একটা বিষয় আবিষ্কার করিতে পারিলে সে অতুলনীয় আনন্দ অনুভব করে। * , সন্ধ্যার এবং ক্ষিত্যাদির ঐ জাতীয় অর্থ এবং চেতনা শক্তির বিষয় আবিষ্কার করা কি সামান্ত চিন্ত বা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় । ,