পাতা:জয় পরাজয় - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y) O R জয় পরাজয় না কহিয়া চঞ্চলচরণে ডেরার দিকে ছুটিল। তখনই আমি ছুটিয়া গিয়া তাহাকে ধরিলাম। সে অত্যন্ত উদ্বিগ্নমুখে বলিল, “আমাকে ছাড়িয়া দিন, আমাকে ক্ষমা করুন-আমি ছেলেমানুষ, যাহা করিয়াছি, অন্যায় করিায়াছি-কাল আপনিই কামাকে ঘূণা করিবেন ।” আমি সোৎসাহে বলিলাম, “কুঞ্জ, আমি তোমাকে ঘুণা করিব ? কেন --তুমি কি করিয়াছ, যাহাতে তোমাকে ঘুণা করিব ? না-না এ কথা মুখে আনিয়ে না ।” তাঙ্গার দু* চক্ষু জলে পূর্ণ হইয়া আসিল, সে সজল নয়নে কাতর কণ্ঠে বলিল, আমায় ক্ষমা করুন-আজি ক্ষমা করুন--আমার মাথাৰ ভিতরে কিরূপ করিতেছে, এরূপ আনন্দ আমি আর কখনও পাই নাই, আমার মাথার ঠিক নাই আমি গরীব-বেদের মেয়ে-কিছুই জানি না, বুঝিতে পারি না ; দয়া করিয়া আপনি আজ যান, না হইলে হয় তা আমি পাগল হইয়া যাইব---* আব্ব বলিতে পারিল না । আমি কি করিব কি বলিব, বুঝিতে পারিলাম না ; কুঞ্জের হাত ছাডিয়া দিলাম । সে সত্বর সে স্থান পরিত্যাগ করিয়া গেল । আমি সেইখানে স্তম্ভিত হইয়া দা ডাইয়া রহিলাম । কতক্ষণ এইরূপভাবে দাড়াইয়া ছিলাম, জানি না ; আবার সেই কঠোর হাস্য আমার কর্ণে ধ্বনিত হওয়ায় জ্ঞান হইল ; আমি চমকিত হইয়া ফিরিলাম, কিন্তু কাহাকেও দেখিতে পাইলাম না । দেখিলাম, সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে, বোধ হয়, রাত্রি আটটা বাজিয়া গিয়াকে, এত শাস্ত্ৰ এত সময় কাটিয়া গিয়াছে, আমার জ্ঞান ছিল । । আমি নৌকা ঘাটে রাখিয়া পদব্রজে আসিয়াছিলাম। তাহারা আমার এত বিলম্ব দেখিয়া না জানি কি মনে করিতেছে । আমি সত্বরপদে ঘাটের দিকে চলিলাম ।