পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮-নন্দিবিলাস-জাতক ܟܠ রাজা তাহাই করিলেন। . যে লোকটা কুকুর লইয়া গিয়াছিল সে এই ঘোষণা শুনিয়া তখনই উহাকে ছাড়িয়া দিল ; কুকুরও:ছুটিয়া গিয়া হস্তীর নিকট উপস্থিত হইল। হস্তী উহাকে দেখিবামাত্র শুণ্ডদ্বারা তুলিয়া নিজের মন্তকের উপর রাখিল, আনন্দে অশ্রুবিসর্জন ও বৃংহণ করিতে লাগিল, পুনর্বারা উহাকে মস্তক হইতে নামাইয়া মাটিতে রাখিল, এবং উহার আহার শেষ হইলে নিজে আহার করিল । , রাজা দেখিলেন বোধিসত্ত্ব ইতরপ্রাণীদিগের পর্য্যন্ত মনের ভাব বুঝিতে পারেন। অতএব তিনি তঁাহার প্রতি প্ৰভূত সন্মান প্ৰদৰ্শন করিলেন। [ কথাস্তে শাস্ত সত্যচতুষ্টয় ব্যাখ্যা করিলেন। সমবধান-তখন এই উপাসক ছিল উক্ত কুকুর ; এই বৃদ্ধ স্থবির ছিল সেই হস্তী এবং আমি ছিলাম বারাণসীরাজের বিজ্ঞা অমাত্য। ] ২৮-নন্দিবিলাসন জাতক । , [ জেতবনের ভিক্ষুদিগের মধ্যে ছয়জন সাতিশয় রূঢ়ভাষী ও কলহপ্রিয় ছিল । * তাহারা সঙ্ঘের নিয়ম ভঙ্গ করিত, শ্রদ্ধাস্পদ ভিক্ষুদিগের সহিত মতভেদ ঘটিলে তাহাদিগকে দুৰ্ব্বাক্য বলিত, বিদ্রুপ করিত, উপহাস করিত এবং দশবিধ উপদ্রবে । বিব্রত করিত। ভিক্ষুগণ আর সহ্য করিতে না পারিয়া শাস্তাকে এই কথা জানাইলেন। শাস্তা উক্ত ছয়জন ভিক্ষুকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কি হে, তোমাদের নামে যে অভিযোগ উপস্থিত হইয়াছে, তাহা সত্য কি ?” তাহারা আত্মদোষ স্বীকার করিলে শাস্তা তাহাদিগকে ভৎসনা করিয়া বলিলেন, “দেখ, পরুষবাক্যে ইত্যর প্রাণীরা পৰ্য্যন্ত মনঃকষ্ট পায় ; অতীত যুগে একটা ইত্যর প্রাণীর মন পরুিষবাক্যে এত ব্যথিত হইয়াছিল যে, প্ৰতিশোধ গ্ৰহণাৰ্থ সে পরুিষভাষীর এক সহস্র মুদ্রা অর্থদণ্ড করাইয়াছিল।” অনন্তর শাস্তা সেই অতীত যুগের কথা আরম্ভ করিলেন । ] asasan ܒܚܫܒܫܒܫܒܩܚ- மமக 1 ܚܣܚܡܝ পুরাকালে গান্ধােররাজগণ তক্ষশিলায় রাজত্ব করিতেন। তখন বোধিসত্ত্ব গোজিন্ম প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। বোধিসত্ত্ব যখন আতি তরুণবয়স্ক বৎস ছিলেন, সেই সময়েই জনৈক ব্ৰাহ্মণ র্তাহাকে কোন গোদক্ষিণাদাতার নিকট হইতে দক্ষিণস্বরূপ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। ব্ৰাহ্মণ বোধিসত্ত্বের “নন্দিবিলাস’ এই নাম রাখিলেন এবং যাগু, অন্ন প্রভৃতি খাদ্য দিয়া পুত্ৰনির্বিশেষে তাহার লালনপালন করিতে লাগিলেন। বোধিসত্ত্ব বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইয়া ভাবিতে লাগিলেন, “এই ব্ৰাহ্মণ অতি কষ্টে আমায় পালন করিয়াছেন। সমস্ত জম্বুদ্বীপে এমন কোন গো নাই, যে আমার মত ভার টানিতে পারে। অতএব বলের পরিচয় দিয়া ইহাকে আমার লালনপালনের কিছু প্ৰতিদান করা যাউক না কেন।" - ইহা স্থির করিয়া তিনি একদিন ব্ৰাহ্মণকে বলিলেন, “ঠাকুর, র্যাহার অনেক, গরু, আছে এমন কোন শ্রেষ্ঠীর ঐ নিকট গিয়া - এক হাজার মুদ্র পণ রাখিয়া বলুন SDBDDD BBBBS BBB BB KBDBB BB BB BBBS SSS S S S S S SSrS rSMSMMS S SSLLLSLSSSSLLLLLSS qSL LLLLSSSLSCSLSLSSS

  • বিনয়পিটকানুসারে ইহাদের নাম অশ্বজিৎ, পুনৰ্ব্বসু, মৈত্ৰেয়, ভূমিজক, পাণ্ডুক ও লোহিত্যক। সুত্রপিটকে কিন্তু ইহাদের নাম অশ্বক, পুনর্বসু, নন্দ, উপনন্দ, চন্দ্র ও উদায়ী বলিয়া লিখিত আছে। ইহাতে বোধ হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি এই অবাধ্য ভিক্ষুদিগের নেতা হইয়াছিল। ইহারা বৌদ্ধসাহিত্যে 'ষড়বর্গীয়া’ বা ‘ষড়বর্গিক’ নামে অভিহিত। । ·

+ (১) জাতি, (২) নাম, (৩) গোত্র, (৪) কৰ্ম্ম, (৫) শিল্প (অৰ্থাৎ ব্যবসায়), (৬) আবাঁধ (অর্থাৎ শারীরিক পীড়া), LS DBDSSDDiS EDD BDS DDB EBBSGSEBB S DBBDS BDS DBDS BDSDBD BiDD DDBBB BtDS (৯) আপত্তি-( অর্থাৎ নিয়মলঙ্ঘনজনিত দোষ ) এবং (১০) হীনতা সুচক অপবাদ উল্লেখ করিয়া গালি দেওয়া বা বিদ্রুপ করা। সুত্রপিটকে শেষোক্ত অপবাদেরও দশটী বিভাগ করা হইয়াছে। তুই চোর, তুই মুখ, তুই মূঢ়, তোর আকার উষ্ট্রের স্থায়, তুই গরু, তুই গাধা, তুই নারকী, তুই তিৰ্য্যাগযোনি প্রাপ্ত হইবি, তোর কখনও সুগতি হইবে না, তোরা যেন দুৰ্গতি হয়, এই দশ প্রকারে লোককে হীনাপবাদ দেওয়া যাইতে পারে।

  • মুলে “গোবিত্তক” এই পদ আছে।