পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bረ8 প্ৰথম নিপাঠ লইয়া যাই।” কর্কট জিজ্ঞাসা করিল, “আমাকে কিরূপে লইয়া যাইবে ?” “কেন, ঠোঁটে ধরিয়া লইয়া যাইবা।” “না, তাহা হইতে পারে না। তুমি হয় তা আমায় পথে ফেলিয়া BS DBD DB DBDBD DBDBD DBDBD DBB S DDB BDBDB DBDB BDD DD S “ভয় নাই, আমি তোমাকে বেশ শক্ত করিয়া ধরিব।” কর্কট ভাবিল, ‘ধূৰ্ত্ত বক হয় ত মাছগুলিকে জলে ছাড়িয়া দেয় নাই ; দেখা যাউক আমাকে লইয়া কি করে। যদি আমাকে সত্য সত্যই জলে ছাড়িয়া দেয়, তাহা হইলে উত্তম। আর যদি তাহা না করে, নাই করুক, আমি উহার গলা কাটিয়া ফেলিব।” ইহা স্থির করিয়া সে বককে বলিল, “দেখ মামা, তুমি আমাকে বেশ শক্ত করিয়া ধরিয়া রাখিতে পরিবে না ; কিন্তু আমরা কর্কট, আমরা খুব শক্ত করিয়া ধরিতে পারি। আমায় যদি শিঙত দিয়া তোমার গলা ধরিতে দাও তাহা হইলে আমি নিৰ্ভয়ে তোমার সঙ্গে যাইতে পারি ।” ককটের দুরভিসন্ধি বুঝিতে না পারিয়া ব্যক এই প্ৰস্তাবে সন্মত হইল। তখন কামার যেমন সঁড়াশি * দিয়া ধরে; কৰ্কটও সেইরূপ নিজের শিঙত দিয়া বকের গলা বেশ শক্ত করিয়া ধরিয়া বলিল, “এখন আমরা রওনা হইতে পারি।” বাক তাহাকে লইয়া প্ৰথমে সেই সরোবর দেখাইল, তাহার পর গাছের দিকে চলিল। কর্কট কহিল, “একি মামা ! সরোবর রহিল এদিকে, আর তুমি আমায় লইয়া চলিলে উণ্টা দিকে ” “বেটা কি সাধের মামা পাইয়াছে রে ! বেটা যেন আমার প্রাণের ভাগিনেয় ! আমি কি তোর বাবার কালের গোলাম যে তোকে ঘাড়ে করিয়া বেড়াইব ? বরুণ গাছের তলায় এক রাশ কঁাটা দেখিতে পাইতেছিস না ? মাছগুলিকে যেমন খাইয়াছি, তোকেও তেমনি খাইব।” ইহা শুনিয়া ককটি বলিল, “মাছগুলা বোকা, তাই তোমার উদারস্থ হইয়াছে ; আমায় কিন্তু কিছুতেই খাইতে পারিতেছি না। আমাকে খাওয়া ত দূরের কথা, আজ তুমি নিজেই মরিবে। মুর্থ, আমি যে তোমায় প্রতারিত করিয়াছি, তাহা ত তুমি বুঝিতে পার নাই। যদি মরিতে হয়, দু'জনেই মরিব । আমি তোমার গলা কাটিয়া মাটিতে ফেলিয়া দিব।” এই কথা বলিয়া সে সন্দংশের ন্যায় শক্তিশালী শৃঙ্গ দ্বারা বকের গ্ৰীবা নিপীড়ন করিতে লাগিল। বাক যন্ত্রণায় মুখ ব্যাদান করিল ; তাহার নয়নযুগল হইতে অশ্রুধারা বিগলিত হইতে লাগিল। সে প্রাণভয়ে বলিল, “প্ৰভু! আমি আপনাকে খাইব না, অনুগ্রহ পূর্বক আমায় প্ৰাণে মারিবেন না।” কর্কট বলিল, “বেশ কথা, যদি প্ৰাণ বঁাচাইতে চাও, তবে সরোবরের তীরে চল এবং আমাকে জলে ছাড়িয়া দাও ।” তখন বিক সরোবরের দিকে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিল এবং কর্কটের আদেশমত তাহাকে জলের ধারে কর্দমমধ্যে ছাড়িয়া দিল। কিন্তু কৰ্কট জলে প্ৰবেশ করিবার পূর্বে, লোকে যেমন কাটারি দিয়া কুমুদনল কাটে, সেইরূপ অবলীলাক্রমে বকের মস্তক ছেদন করিয়া ফেলিল । বরুণবৃক্ষের অধিদেবতা। এই অদ্ভুত কাণ্ড দেখিয়া সাধু। সাধু! বলিয়া উঠিলেন এবং মধুরস্বরে নিম্নলিখিত গাথা বলিলেন :- প্ৰবঞ্চনাপরায়ণ সতত যে জন, चत्रविष्छि रथं ऊँ न छ् कश्न । তার সাক্ষী দেখ, এই বক প্ৰবঞ্চক কর্কট-দংশনে মারি লভিল নরক । [। সমবধান ঃ-তখন জেতবনের চীবর-বৰ্দ্ধক ছিল সেই বক, গ্ৰাম্য চীবর-বৰ্দ্ধক ছিল সেই কৰ্কট, এবং আমি ছিলাম। সেই বৃক্ষদেবতা । ] <ক্তি”এই জাতিক পঞ্চতন্ত্র-বৰ্ণিত বককুলীরকের কথার বীজ-স্বরূপ বলা যাইতে পারে।

  • नल९भ, नफ़ाभि ; श्। श्रद्ध 'नवा' अंक श्वांछि।