পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লো শাক-জাতক । SG حکیم مجھ NARAWANANNYA “NARWA "A

  • \s*sr°s“ er

সেখানে রাক্ষসেরা তাহার স্ত্রী ও পুত্ৰদ্ধয়কে মারিয়া খাইল ; তিনি নিজে পলায়নপূর্বক প্ৰাণরক্ষা করিলেন এবং বহুস্থানে ভ্ৰমণ করিয়া অবশেষে সাগরতীরবত্তী গম্ভীর নামক পট্টনে উপনীত হইলেন। সে দিন ঐ পট্টন হইতে একখানি অর্ণবপো'ত ছাড়িবার উদ্যোগ করিতেছিল। মিত্ৰবিন্দক উহার একজন কৰ্ম্মচারী হইয়া পোতে আরোহণ করিলেন। পোতখানি পট্টন ছাড়িবার পর সপ্তাহকাল বেশ চলিল ; কিন্তু তাহার পর সাগরবক্ষে এমন নিশ্চল হইয়া রহিল যে, ৰোধ হইল যেন - উহা কোন মগ্ন শৈলে সংলগ্ন হইয়া অবরুদ্ধ হইয়াছে। কোন কালকণীর অদৃষ্ট দোষে এরূপ দুৰ্দৈব সংঘটন হইয়াছে নিশ্চয় করিয়া, পোতারোহিগণ সেই কালকণী কে, তাহা জানিবার জন্য গুটিকাপাত * করিল। এই গুটিক্যাপাতে সাতবারই মিত্ৰবিন্দকের নাম উঠিল। তখন তাহারা একখানি বঁাশের ভেলার সহিত মিত্ৰবিন্দককে সমুদ্রগর্ভে নিক্ষেপ করিল ; পর মুহুর্তেই পোতখানি নির্বিঘ্নে চলিতে লাগিল । মিত্ৰবিন্দক অতিকষ্টে ভেলায় চড়িয়া বসিলেন এবং তরঙ্গের সঙ্গে ভাসিয়া চলিলেন। সম্যকসম্বুদ্ধ কাশ্যপের সময় শীলাদি পালন করিয়া তিনি যে পুণ্য সঞ্চয় করিয়াছিলেন, এখন তাহারই প্ৰভাবে তিনি সমুদ্রবক্ষে এক স্ফটিক-বিমানে + চারি জন দেবকীন্য দেখিতে পাইয়া তাহাদের সহিত এক সপ্তাহ সুখে বাস করিলেন। " বিমানবাসী প্রেত্যেরা, পৰ্য্যায়ক্রমে সপ্তাহ কাল সুখ ও সপ্তাহ কাল দুঃখ ভোগ করিয়া থাকে ; কাজেই সপ্তাহান্তে তাহাদিগকে দুঃখ’ ভোগার্থ অন্যত্র গমন করিতে হইলু। তাহারা মিত্ৰবিন্দককে বলিয়া গেল, “আমরা প্ৰতিগমন না করা পৰ্য্যন্ত তুমি এইখানে অবস্থিতি কর।” কিন্তু তাহারা প্ৰস্থান করিবামাত্ৰই মিত্রবৃন্দুক/ ভেলায় চড়িয়া এক রজত বিমানের নিকট উপস্থিত হইলেন এবং সেখানে আটজন। :* দেখিতে পাইলেন। অনন্তর সেখান হইতেও যাত্ৰা করিয়া তিনি অগ্ৰে-মণিময় বিমানে ষোলজন এবং পরে কাঞ্চনময় বিমানে চবিবশ জন দেবকীন্তা নয়নগোচর করিলেন । কিন্তু তিনি তাহাদের কাহারও কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া ভেলা চালাইতে লাগিলেন এবং পরিশেষে দ্বীপপুঞ্জমধ্যস্থ এক যক্ষপুরীতে উপনীত হইলেন। সেখানে এক যক্ষিণী ছাগীর দেহ ধারণ করিয়া বিচরণ করিতেছিল। মিত্ৰবিন্দক তাহাকে যক্ষিণী বলিয়া চিনিতে পারিলেন না, ছাগী ভাবিয়া মাংসলোভে মারিবার আশায় তাহার পা ধরিয়া ফেলিলেন। সে যক্ষিণী-সুলভ প্রভাব বলে তঁহাকে এমন বেগে উৎক্ষেপণ করিল যে, তিনি আকাশমার্গে সমুদ্র পার হইয়া ঘুরিতে ঘুরিতে বারাণসী নগরের কণ্টকসমারীর্ণ এক পরিখা পৃষ্ঠের উপর গিয়া পড়িলেন এবং সেখান হইতে গড়াইতে গড়াইতে ভূতলে গিয়া থামিলেন। ঐ পরিখার নিকট রাজার ছাগল চরিত। যে সময়ের কথা হইতেছে, তখন তস্করেরা সুবিধা পাইলেই উহাদিগের দুই একটা অপহরণ কিরিত। কাজেই ছাগপালকের চোর ধরিবার নিমিত্ত প্ৰচ্ছন্নভাবে অবস্থিতি করিত । ༈ মিত্ৰবিন্দক দাড়াইয়া ঐ সমস্ত ছাগ দেখিতে পাইলেন এবং ভাবিলেন ‘সমুদ্র-গর্ভস্থ দ্বীপে একটা ছাগের পা ধরিয়াছিলাম বলিয়া নিক্ষিপ্ত হইয়া এখানে আসিয়া পড়িয়াছি ; হয় ত • ইহাদের একটার পা ধরিলে পুনর্বার নিক্ষিপ্ত হইয়া সেই বিমানবাসিনী দেবকীন্যাদিগের নিকট গিয়া পড়িবি।” এই চিন্তা করিয়া তিনি কালবিলম্ব-ব্যতিরেকে একটা ছাগের পা ধরিলেন ; ছাগটা ভ্যা ভ্যা করিয়া উঠিল ; আমনি চারিদিক হইতে ছাগপালকেরা ছুটিয়া আসিল এবং “ব্যাটা, এতকাল চুরি করিয়া রাজার ছাগল খাইয়াছ” বলিয়া তাহাকে বাধিয়া ফেলিল ও মারিতে মারিতে রাজার নিকট লইয়া চলিল ।

  • ঠিক গুটিকাপাত নহে ; ইহা এক প্রকার কাষ্ঠশালাকা দ্বারা সম্পাদিত হইত।
  • বিমান বলিলে দেবীরথ এবং সপ্তভূমিক দেবনিকেতন, উভয়ই বুঝায়। ইহা স্বয়ংগতি। রাবণের বিমান পুষ্পক নামে প্ৰসিদ্ধ। এখানে যে দেবকন্যাদিগের উল্লেখ দেখা যায়, তাহারা প্রেতিভাবাপন্ন মায়াবিনী विनय । •