পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७-नऊJ९-क्षिण-ख्रांऊक । SGS হইতে স্নান করাইয়া আনা।” পরিচারকেরা তাহাকে নদীর মধ্যভাগে লইয়া গিয়া পরামর্শ করিল, “এস, আমরা এই পাপিষ্ঠকে মারিয়া ফেলি ; রাজা আমাদের কি করিবেন ?” অনন্তর “আপদ, নিপাত যাও” * বলিয়া তাহার রাজকুমারকে জলে ফেলিয়া দিল এবং নিজেরা তীরে ফিরিয়া আসিল । সেখানে কুমারের নৰ্ম্মসচিবেরা জিজ্ঞাসা করিল, “কুমার কোথায় ?” তাহারা বলিল “কই, তাহাকে ত দেখিতে পাইতেছি না। বোধ হয় তিনি ঝড় জল দেখিয়া अicछे डेटिंग्रा कानिम्रांछन (qव९ बाऊँी ब्रिांछन ।।” তাহারা সকলে রাজবাড়ীতে ফিরিয়া গেল। রাজা জিজ্ঞাসিলেন “কুমার কোথায় ?” তাহারা বলিল “আমরা জানি না, মহারাজ ! মেঘ উঠিয়াছে দেখিয়া ভাবিলাম তিনি আগেই চলিয়া আসিয়াছেন ; কাজেই আমরাও ফিরিয়া আসিলাম।” রাজা তৎক্ষণাৎ পুরদ্বার খুলিয়া নদীর তীরে গমন করিলেন এবং তন্ন তন্ন করিয়া পুত্রের অনুসন্ধান করাইতে লাগিলেন ; কিন্তু কোথাও তঁাহার খোঁজ খবর পাইলেন না । এদিকে কুমারের কি দশা হইল শুন । সে মেঘান্ধকারে দিশা হারা হইয়া স্রোতে গা ঢালিয়া দিল ; শেষে একটা গাছের গুড়ি ভাসিয়া যাইতেছে দেখিয়া তাহার উপর চাপিয়া বসিল এবং মরিবার ভয়ে “রক্ষা কর”, “রক্ষা কর” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল । [ ক্রমে রাজপুত্রের তিনটী সঙ্গী জুটল। ] বারাণসীর এক ধনশালী বণিক ঐ নদীর ধারে চল্লিশ কোটি স্বর্ণমুদ্রা পুতিয়া রাখিয়াছিলেন। অত্যধিক অর্থলালসা-নিবন্ধন মৃত্যুর পর তিনি সৰ্পরূপে জন্মগ্রহণপূর্বক ঐ গুপ্ত ধনের নিকটস্থ একটী বিবরে বাস করিতেছিলেন। এইরূপ অপর এক বণিক ও ত্ৰিশ কোটি সুবর্ণ রাখিয়াছিলেন এবং ধনতৃষ্ণার প্রবলতাবশতঃ ইন্দুররূপে পুনর্জন্ম লাভ করিয়া পুৰ্ব্বসঞ্চিত অর্থ পাহারা দিতেছিলেন । [ যখন অতিবৃষ্টিবশতঃ নদীতে বান আসিল ], তখন সৰ্প ও ইন্দুর উভয়েরই গৰ্ত্তে জল প্ৰবেশ করিল, এবং তাহারা বাহির হইয়া সাঁতার দিতে দিতে চলিল। অনন্তর সেই কাষ্ঠখণ্ড পাইয়া উহার এক প্ৰান্তে সাপ ও অন্য প্ৰান্তে ইন্দুর আরোহণ করিল। [ তাহার পর একটা শুকপাখী আসিয়াও উহার উপর আশ্রয় লইল ]। ঐ শুক নদীর ধারে একটা শিমূল গাছে বাস করিত। বন্যার বেগে গাছটা উৎপাটিত হইয়া নদীগর্ভে পড়িল ; শুক উড়িয়া পলাইতে চেষ্টা করিল, কিন্তু কিয়দার উড়িতে না উড়িতেই বৃষ্টির বেগে সেই প্লবমান কাষ্ঠখণ্ডের উপর গিয়া পড়িল। এইরূপে চারিটীি প্ৰাণী এক খণ্ড কাষ্ঠ আশ্ৰয় করিয়া ভাসিতে ভাসিতে চলিল। [ ক্রমে রাত্ৰি হইল। ] যে সময়ের কথা হইতেছে, তখন বোধিসত্ত্ব উদীচ্য ব্ৰাহ্মণকুলে জন্মগ্ৰহণ পূর্বক প্ৰব্ৰজ্যা অবলম্বন করিয়া ঐ নদীর এক নিবৰ্ত্তন-স্থানে + পর্ণকুটীরে বাস করিতেন। তিনি নিশীথকালে ইতস্ততঃ পদচারণ করিতেছেন, এমন সময়ে রাজপুত্রের আৰ্ত্তিনাদ শুনিতে পাইলেন। “আমার ন্যায় দয়া-দক্ষিণ্য-ব্ৰত মুনি নিকটে থাকিতে এই মহাপ্ৰাণী মারা গেলে বড় পরিতাপের কারণ হইবে, আমি জল হইতে উদ্ধার করিয়া উহার প্রাণ বঁাচাইব।” এই সঙ্কল্প করিয়া বোধিসত্ত্ব তাহাকে “ভয় নাই”, “ভয় নাই” বলিয়া আশ্বাস দিলেন এবং নদীগর্ভে লাফাইয়া পড়িলেন। র্তাহার শরীরে হস্তীর মত বল ছিল ; তিনি এক টানে গুড়িটাকে তীরের নিকট আনিলেন এবং রাজপুত্রকে তুলিয়া উপরে রাখিলেন। অনন্তর সর্প, ইন্দুর ও শুকের দিকে তাহার দৃষ্টি পড়িল। তিনি সকলকেই আশ্রমে লইয়া গেলেন এবং আগুন জালিয়া প্ৰথমে ইত্যর প্রাণী তিনটীর, পরে রাজপুত্রের শরীরে সেক দিতে লাগিলেন। তিনি ভাবিলেন, “ইত্যর প্রাণীরা দুর্বল; অতএব ইহাদেরই অগ্ৰে পরিচর্য্যা করা উচিত।” অতিথিচতুষ্টয়ের আহারার্থ ফলাদি পরিবেষণা করিবার সময়ও তিনি প্ৰথমে সর্প, ইন্দুর ও শুককে খাওয়াইলেন, পরে রাজপুত্ৰকে

  • মুলে “এথ গচ্ছ কালকণনী” এইরূপ আছে।

বঁাকের মোড়ে ।