পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৮-ইল্পীস-জাতক। 中 SVS কিন্তু ইল্পীসের সুরাপানেচ্ছা অধিকক্ষণ নিরুদ্ধ থাকিল না। তঁহার শরীর পুরাতন কার্পাসের ন্যায় পাণ্ডুবৰ্ণ হইয়া উঠিল, শীৰ্ণ দেহের উপর ধমনিগুলি দেখা দিল ; তিনি শয়নকক্ষে গিয়া মঞ্চের উপর শুইয়া পড়িলেন। তঁাহার। ভাৰ্য্যা তাহাকে তদাবস্থ দেখিয়া তাহার পিঠে হাত বুলাইতে বুলাইতে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনার অসুখ করিয়াছে কি ?” অনন্তর ( প্ৰত্যুৎ পন্ন বস্তুতে যেরূপ বৰ্ণিত হইয়াছে সেইরূপ অনেক সাধ্যসাধনার পর ) স্বামীর প্রকৃত মনোভাব বুঝিতে পারিয়া তিনি বলিলেন, “আপনি এক যতটুকু সুরাপান করিতে পরিবেন, আমি তাহাই প্ৰস্তুত করিয়া দিতেছি।” ইল্পীস বলিলেন, “গৃহে সুরা প্ৰস্তুত করিলে অনেকেই তাহা দেখিতে পাইবে ; অন্য স্থান হইতে আনিয়া এখানে পান করাও অসম্ভব ।” শেষে অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া তিনি একটা মুদ্রা বাহির করিয়া শৌণ্ডিকালয় হইতে একভাণ্ড সুরা ক্রিয় করাইয়া আনাইলেন এবং উহা একজন দাসের স্কন্ধে দিয়া নগরের বাহিরে রাজপথের অনতিদূরে নদীতীরবত্তী একটী গুন্মের মধ্যে লইয়া গেলেন। অনন্তর তিনি দাসকে বিদায় দিয়া পাত্ৰ পুরিয়া সুরাপান আরম্ভ করিলেন । ইল্পীসের পিতা দানাদিপুণ্যফলে দেবলোকে শক্রিরূপে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । ইল্পীস যখন সুরাপানে নিরত, তখন শক্রর মনে হইল, “আমি. নরলোকে যে দানব্ৰত পালন করিতাম তাহা এখনও অনুষ্ঠিত হইতেছে কি না দেখি।” তিনি প্রভাব বলে জানিতে পারিলেন তাহার কুলাঙ্গার পুত্ৰ কুলধৰ্ম্ম পরিহার পূর্বক দানশালা ভস্মীভূত করিয়াছে, যাচাকদিগকে প্রহার করিয়া । তাড়াইয়াছে এবং এতই কৃপণ হইয়াছে যে পাছে কাহাকেও অংশ দিতে হয়, এই আশঙ্কায় একাকী এক গুলোর ভিতর বসিয়া মদ্যপান করিতেছে। ইহাতে শক্রি বড় দুঃখিত হইলেন এবং সঙ্কল্প করিলেন “আমি এখনই ভূতলে যাইব এবং উপদেশবলে যাহাতে আমার পুত্রের মতিপরিবর্তন ঘটে, সে কৰ্ম্মফল বুঝিতে পারে এবং পুণ্যানুষ্ঠান দ্বারা দেবত্ব লাভে সমর্থ হয় তাহার উপায় করিব।” শক্ৰ তখনই ভূতলে অবতরণ করিয়া মানবস্বভাব পরিগ্রহণ পূর্বক ইলীসের বিগ্ৰহ। ধারণ করিলেন। সেইরূপ খঞ্জ, সেইরূপ কুজ, সেইরূপ তিৰ্য্যগন্দ্ৰষ্টি-উভয়ের আকারে কিঞ্চিম্মাত্র প্ৰভেদ রহিল না । তিনি এই বেশে বারাণসী নগরে প্রবেশ করিলেন, রাজদ্বারে উপনীত হইয়া রাজাকে নিজের আগমনবাৰ্ত্ত জানাইলেন, অনন্তর রাজার অনুমতি পাইয়া সভামণ্ডপে প্ৰবেশ করিলেন এবং রাজাকে অভিবাদন পূর্বক তাহার সম্মুখে দাড়াইয়া রহিলেন। রাজা জিজ্ঞাসিলেন “শ্রেষ্ঠান, তুমি এখন অসময়ে আসিলে কেন ?” শ্রেষ্ঠিরূপী শক্ৰ বলিলেন, “মহারাজ আমার চুরাশি কোটি সুবৰ্ণ আছে। আপনি দয়া করিয়া তাহা নিজের ভাণ্ডারে লইয়া আসুন।” “তাহা আনিব কেন ? আমার ভাণ্ডারে যে ইহা অপেক্ষাও অনেক BDDBB DD DBSS S SDLDDtDDB BB TgD BB BgLDDDD D gBS DBDB BDDBD SBD BDD ইহা যথারুচি দান করিব।” “নিশ্চয় করিবে, মহাশ্রেষ্ঠান ।” তখন শত্রু “যে আজ্ঞা মহারাজ।” বলিয়া রাজাকে প্ৰণিপাতপূর্বক ইল্লাসের গৃহে গমন করিলেন। তঁহাকে দেখিয়া চারিদিক্‌ হইতে ভূত্যেরা চুটিয়া আসিল ; তিনিই যে ইল্পীস এ সম্বন্ধে কাহারও সন্দেহ রহিল না। তিনি দেহলীর নিকট দাড়াইয়া দ্বারবানকে ডাকাইয়া বলিলেন, “দেখ, আমারই মত দেখতে, এমন যদি কেহ “এ বাড়ী আমার বলিয়া ঢুকিতে যায় তাহা হইলে তাহাকে উত্তম মধ্যম দিয়া দূর করিয়া দিবে। ইহার পর শক্ৰ প্ৰাসাদে আরোহণ করিয়া শয়নকক্ষের অভ্যন্তরে মহার্ঘ আসনে উপবেশন করিলেন এবং ইল্পীসের পত্নীকে ডাকাইয়া সহাস্যবিদনে বলিলেন “ভদ্ৰে, এস আমরা এখন হইতে দানশীল হই ।” এই কথা শুনিয়া শ্রেষ্টিপত্নী এবং তঁহার পুত্ৰ-কন্যা-ভৃত্য-দাস সকলেই ভাবিল, “এতকাল ত ইহার দান করিতে ইচ্ছা হয় নাই ; আজ বুঝি মদ খাইয়া মন খুলিয়া গিয়াছে এবং সেই RR