পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So প্ৰথম নিপীঠ জন্য দান করিবার ইচ্ছা হইয়াছে।" শ্রেষ্ঠপত্নী উত্তর দিলেন “স্বামিন, আপনার ধন আপনি যথেচ্ছ দান করুন।” শক্ৰ বলিলেন, “তবে এখনই একজন ভেরীবাদক ডাকাইয়া সমস্ত নগরে প্রচার করিতে বল, যে কেহ স্বর্ণ-রৌপ্য-মণি-মুক্তাদি পাইতে অভিলাষী, সে যেন এখনই ইল্পীস শ্রেষ্ঠীর গৃহে উপস্থিত হয়। শ্রেষ্ঠিপত্নী তাহাই করিলেন এবং অল্পক্ষণের মধ্যে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক ঝুড়ি, চুপড়ি, বস্তা প্ৰভৃতি হাতে লইয়া ইলীসের দ্বারে সমবেত হইল। তখন শক্ৰ সপ্তরিত্নপূর্ণ ভাণ্ডার খুলিয়া দিলেন এবং উপস্থিত লোকদিগকে বলিলেন, “এই ধন তোমাদিগকে দান কুরিলাম, যাহার যত ইচ্ছা লইয়া যাও।” এই কথা শুনিবা মাত্র উহারা প্ৰথমে যে যত পারিস্ট ধন বাহির করিয়া সুবিস্তীর্ণ কক্ষতলে রাশি রাশি করিয়া সাজাইয়া রাখিল ; পরে স্ব স্ব ভাণ্ড পুর্ণ করিয়া চলিয়া গেল । সমবেত লোকদিগের মধ্যে এক জনপদবাসী ইল্পীসের একখানি রথ বাহির করিয়া উহা সপ্তরিত্নে পূর্ণ করিয়াছিল। গোশালা হইতে গরু আনিয়া সে ঐ রথে যুতিল এবং হঁাকাইতে হাকাইতে নগর হইতে নিশুক্রান্ত হইয়া রাজপথ অবলম্বনে চলিল। ইল্পীস যে গুলোর ভিতর সুরাপান করিতেছিল। জনপদবাসী তাহার সমীপবৰ্ত্তী হইয়া এইরূপে তাহার গুণকীৰ্ত্তন আরম্ভ করিল ঃ “আমার প্রভু ইল্পীস শ্রেষ্ঠীর একশত বৎসর পরমায়ুঃ হউক । তিনি যাহা দান করিলেন, তাহ পাইয়া আমি পায়ের উপর পা রাখিয়া যাবজীবন সুখে কাটাইতে পারিব। এ গরু, তাহার, এ রথ তাহার, এ রত্নরাশিও তেঁাহার। এ সকল আমার মাও আমায় দেন নাই, আমার বাবাও আমায় দেন নাই।” জনপদবাসীর কথা কৰ্ণগোচর করিয়া ইল্পীস “ভীতি ও ত্ৰস্ত হইলেন। তিনি ভাবিলেন, “ব্যাপারটা কি ? এ লোকটা দেখিতেছি আমারই নাম করিয়া এই সকল কথা বলিতেছে। রাজা কি আমার সমস্ত বিভব প্ৰজাদিগের মধ্যে লুঠাইয়া দিলেন ?” তিনি নিমিষের মধ্যে গুন্মের বাহিরে আসিয়া দেখিলেন সত্য সত্যই গরু ও রথ তাহার। তখন “আরো ধূৰ্ত্ত ! আমার গরু, আমার রথ লইয়া কোথায় যাচ্ছিস্ ?” বলিয়া তিনি গরুর নাসারাজু ধরিয়া ফেলিলেন । জনপদবাসীও রথ হইতে লাফাইয়া পড়িল। সে বলিল, “কি বল্লিরো জুয়াচোর, ইল্পীস শ্রেষ্ঠ সমস্ত নগরবাসীকে ধন দান করিতেছেন, তুই কথা বলিবার কে রে?” তাহার পর সে ইল্পীসকে আক্রমণ করিয়া তাহার মস্তকে বজমুষ্টি প্ৰহার করিল এবং রথ হাকাইয়া চলিল ; ইল্পীস কঁাপিতে কঁাপিতে উঠিয়া দাঁড়াইলেন এবং গায়ের ধূলা ঝাড়িয়া পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিয়া আবার রথ ধরিলেন। জনপদবাসীও রথ হইতে নামিল, ইলীসের চুল ধরিয়া মাথাটা মাটিতে টানিয়া বেশ করিয়া ঠুকিল, গলাধাক্কা দিয়া তিনি যে দিক হইতে আসিয়াছিলেন, সেই দিকে তঁহাকে ঠেলিয়া দিল এবং পুনর্বার রথে চড়িয়া প্ৰস্থান করিল। প্ৰহারের চোটে ইল্পীসের নেশা ভাঙ্গিয়া গেল। তিনি কঁাপিতে কাপিতে গৃহাভিমুখে ছুটিলেন এবং লোকে তঁহার ধন লইয়া যাইতেছে দেখিয়া একে তাকে ধরিয়া “ব্যাপার কি ? রাজা কি আমার ভাণ্ডার লুঠ করিতে আদেশ দিয়াছেন ?” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন ; কিন্তু তিনি যাহাকে ধরিলেন সেই তাহাকে প্ৰহার করিয়া ভূতলে ফেলিয়া দিল । তিনি ক্ষত বিক্ষত দেহে গৃহে প্ৰবেশ করিতে গেলেন, কিন্তু দ্বারবানেরা তঁহাকে “কোথায় যাস, ধুৰ্ত্ত ?” বলিয়া বংশষষ্টি দ্বারা প্ৰহার করিল এবং গলাধাক্কা দিয়া দরজার বাহির করিয়া দিল । ইল্পীস দেখিলেন গতিক বড় খারাপ। এখন রাজার শরণ লওয়া ভিন্ন অন্য উপায় নাই। অনন্তর তিনি রাজদ্বারে গিয়া “দোহাই মহারাজ, আপনি কি অপরাধে আমার সর্বস্ব লুণ্ঠনের আদেশ দিয়াছেন ?” বলিয়া আৰ্ত্তনাদ আরম্ভ করিলেন। রাজা বলিলেন, “সে কি মহাশ্রেষ্ঠান। আমি তোমার সর্বস্ব লুণ্ঠনের আদেশ দিব কেন ? BDB DD BDDD DBD DB DB DBBB BDDBBD DD BKB BD DBBBB BD DD BBDD