পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৫-কটাহক-জাতক। SN) এইরূপ স্থির করিয়া কটাহক নিজেই এক পত্র লিখিল-“আমার পুত্ৰ অমুক আপনার নিকট যাইতেছে। আপনার ও আমার পরিবারের মধ্যে আদান-প্ৰদান সম্বন্ধ বাঞ্ছনীয় । আমার একান্ত ইচ্ছা, আমার এই পুত্রকে আপনার কন্যা সম্প্রদান করিয়া নবদম্পতীকে আপাততঃ আপনার নিকট রাখুন। আমি অবকাশ পাইলেই নিজে আপনার আলয়ে উপস্থিত হইব ।” অনন্তর এই পত্ৰ শ্রেষ্ঠীর মুদ্রাঙ্কিত করিয়া, সে, যত ইচ্ছা পাথেয় এবং গন্ধবস্ত্ৰাদিসহ প্ৰত্যন্ত-প্রদেশে উপস্থিত হইল এবং তািত্ৰত্য শ্ৰেষ্ঠীর নিকট গিয়া তাহাকে প্ৰণাম করিলা । শ্ৰেষ্ঠ জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস, তুমি কোথা হইতে আসিতেছ?” কটাহক বলিল, “বারাণসী হইতো।” “তুমি কাহার পুত্র ?” “আমি বারাণসী-শ্রেষ্ঠীর পুত্র।” “কি উদ্দেশ্যে আসিয়াছ ?” “এই পত্র পাঠ করিলে জানিতে পরিবেন।” ইহা বলিয়া কটাহক শ্রেষ্ঠীর হস্তে সেই পত্ৰ দিল । শ্রেষ্ঠ পত্ৰ পড়িয়া বলিলেন, “আঃ, এখন আমি বঁাচলাম।” তিনি মনের উল্লাসে কটাহকের হস্তে কন্যাসম্প্রদান করিলেন । তঁহার ব্যবস্থার গুণে নবদম্পতী বিস্তর দাস-দাসী লইয়া বাস করিতে লাগিল । কিন্তু ঐশ্বৰ্য্যমদে শীঘ্রই কটাহকের মাথা ঘূরিয়া গেল। সে ভক্ষ্যভোজ্য, বস্ত্ৰ, গন্ধ সমস্ত দ্রব্যেরই দোষ ধরিতে লাগিল। “এই অন্ন প্রত্যন্তবাসীদিগের মুখেই ভাল লাগে, এ মিষ্টান্নে কেবল প্ৰত্যন্তবাসীদিগেরই রুচি হইতে পারে” ইহা বলিয়া সে ভক্ষ্যভোজ্যের নিন্দা করিত। মুখ প্ৰত্যন্তবাসীরা কি বস্ত্রের ভাল মন্দ বুঝিতে পারে ? প্ৰত্যন্তবাসীরা কি গন্ধ পিষিতে জানে বা ফুলের মালা গাঁথিতে পারে ?” এইরূপ বলিয়া সে বস্ত্ৰগন্ধাদিরও 6ांव क्षब्रिद्ध । O এদিকে বোধিসত্ত্ব দাসকে দেখিতে না পাইয়া বলিলেন, “কটাহককে ত দেখিতেছি না; সে কোথায় গেল ?” অনন্তর তিনি তাহার অনুসন্ধানের জন্য চারিদিকে লোক পাঠাইলেন । তাহাদের মধ্যে এক জন প্ৰত্যন্ত অঞ্চলে গিয়া কটাহককে চিনিতে পারিল এবং বোধিসত্বকে আসিয়া জানাইল । কটাহক কিন্তু ঐ ব্যক্তিকে চিনিতে পারিল না । BDDBBD DBY DD BBBD DBBBSiDuDDBD DD DD BDBB DBBBDDDSS আমি গিয়া তাহাকে ফিরাইয়া আনিতেছি।” অনন্তর তিনি রাজার অনুমতি লইয়া বিস্তর অনুচরসহ বািন্ত অঞ্চলে যাত্ৰা করিলেন। বারাণসী-শ্রেষ্ঠ প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাইতেছেন, এই সংবাদ অ' চারিদিকে রাষ্ট্র হইয়া পড়িল। তক্ষৰণে কটাহুক কি করিবে চিন্তা করিতে লাগিল । * ভাবিল, “তঁহার আসিবার অন্য কোন কারণ হইতে পারে না ; তিনি নিশ্চয় আমারই জন্য আসিতেছেন। আমি যদি এখন পলায়ন করি, তাহা হইলে আর কখনও এখানে ফিরিতে পারিব না। এ সঙ্কটে একমাত্র উপায় এই যে, আমি প্ৰত্যুদগমন করিয়া তাহার শরণ লই এবং পূর্ববৎ দাসরূপে তাহার সেবাশুশ্ৰষা করি।” তদবধি সে সভাসমিতিতে এইরূপ ৰালিতে আরম্ভ করিল, “আজিকালিকার ছেলেছোকরার পিতামাতার মৰ্য্যাদা রক্ষা করে না ; তাহারা ভোজনকালে তঁহাদের সুবিধা অসুবিধা দেখিবার জন্য অপেক্ষা না করিয়া নিজেরাও তীহাদের সঙ্গে আহার করিতে বসে। যখন আমার মাতাপিতা আহারে বসেন, তখন আমি তাহাদিগকে থালা, বাটী, গোলাশ, ডাবর, জল ও পান আনিয়া দিই। কদাচ ইহার दडिया कद्रि बो ।।” প্রভুর সম্বন্ধে দাসের যাহা কৰ্ত্তব্য, এমন কি, প্ৰভু শৌচের জন্য প্ৰতিচ্ছন্ন স্থানে গেলে দাস কিরূপে জলের কলসী লইয়া দাড়াইয়া থাকিবে, কটাহক এ সমস্তও সকলকে বুঝাইয়া দিতে লাগিল। জনসাধারণকে এইরূপ শিক্ষা দিয়া কটাহক যখন বুঝিল বোধিসত্ত্ব প্ৰত্যন্ত অঞ্চলের নিকটবৰ্ত্তী হইয়াছেন, তখন সে শ্বশুরকে বলিল, “পিতঃ ! শুনিতেছি, আমার জনক আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেছেন। আপনি তাহার ভোজনাদির উদ্যোগ আরম্ভ করুন ;