পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২-বধ, পথ-জাতক 'arsarar Trawn/Nis/^N YN MYN করিতে না করিতেই সুৰ্য্য দেখা দিলেন ; সকলে সািভয়ে দেখিল, তাহারা সায়ংকালে যে স্থান হইতে যাত্ৰা করিয়াছিল, ঠিক সেইস্থানে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছে। তখন “হায়, সৰ্ব্বনাশ হইল ; আমাদের সঙ্গে জল নাই, কাঠ নাই, আজ কি উপায়ে জীবন ধারণ করিব ?”- এইরূপ বিলাপ করিতে করিতে তাহারা বলদগুলি খুলিয়া দিল এবং নিতান্ত হতাশ হইয়া যে যাহার গাড়ীর তলে শুইয়া পড়িল । বোধিসত্ত্ব ভাবিলেন, “আমি নিশ্চেষ্ট হইয়া বসিয়া থাকিলে ইহাদের এক প্ৰাণীরও জীবন রক্ষা হইবে না। ভোরের সময় ঠাণ্ডায় ঠাণ্ডায় একবার চারিদিকে ঘুরিয়া দেখি, কোথাও জল পাওয়া যায় কি না ।” অনন্তর তিনি ইতস্ততঃ বিচরণ করিতে করিতে একস্থানে একগুচ্ছ কুশ দেখিতে পাইলেন । ইহাতে তিনি সিদ্ধান্ত করিলেন ঐ স্থানের নিয়ে নিশ্চয় জল আছে; নচেৎ মরুক্ষেত্রে কখনও কুশ জন্মিতে পারিত না । তখন তিনি অনুচরদিগকে কোদাল দিয়া ঐ স্থান খনন করিতে বলিলেন। তাহারা খনন করিতে প্ৰবৃত্ত হইল, কিন্তু যখন ষাট হাত নিয়েও জল পাওয়া গেল না, অপিচ পাষাণে কোদাল লাগিয়া ঠং ঠং করিয়া উঠিল, তখন তাহারা নিতান্ত নিরুদ্যম হইয়া পড়িল। কিন্তু বোধিসত্ত্ব আশা ছাড়িলেন না । তিনি কুপমধ্যে অবতরণ করিয়া পাষাণের উপর কাণ পাতিলেন এবং নিম্নে জলপ্রবাহের শব্দ শুনিতে পাইলেন । তখন তিনি উপরে উঠিয়া নিজের বালক ভৃত্যকে * বিলিলেন, তুমি নিরুদ্যম হইলে সকলেই মারা যাইবে । তুমি সাহসে ভর করিয়া এই বড় হাতুড়িটা + লইয়া নীচে कांभ ५eद९ *iथgद्ध घी भद्ध । বালক ভৃত্যটী বিলক্ষণ উৎসাহবান ছিল। - অন্য সকলে উদ্যমহীন হইয়াছে দেখিয়াও সে নিরুদ্যম হইল না। সে দ্বিরুক্তি না করিয়া প্রভুর আদেশ পালন করিল ; আমনি পাষাণ বিদীর্ণ হইয়া গেল। তখন অবরুদ্ধ জলরাশি তালপ্ৰমাণ-স্তম্ভাকারে উদ্ধে উখিত হইল এবং সকলে মহানন্দে স্নান করিতে লাগিল। সঙ্গে যে সকল প্রয়োজনীতিরিক্ত ধুৱা প্রভৃতি ছিল, সেইগুলি চিরিয়া তাহারা জ্বালানি কাঠের যোগাড় করিয়া লইল এবং ভাত রান্ধিয়া খাইল । শেষে গরু গুলিকে খাওয়াইয়া এবং কুপপার্শ্বে একটা ধ্বজ তুলিয়া তাহারা সন্ধ্যার পর, অভীষ্ট দেশাভিমুখে যাত্ৰা করিল। সেখানে তাহারা দ্বিগুণ, চতুগুণ মূল্যে পণ্য বিক্রয় করিয়া স্বদেশে ফিরিয়া গেল এবং আয়ুঃশেষ হইলে স্ব স্ব কৰ্ম্মফলভোগার্থ দেহত্যাগ করিল। বোধিসত্ত্বও দানাদি পুণ্য কৰ্ম্মে জীবন যাপন করিয়া দেহত্যাগান্তে কৰ্ম্মানুরূপ ফলভোগ করিতে গেলেন। [ কথা শেষ হইলে সম্যকসম্বুদ্ধ অভিসম্বুদ্ধ-ভাব ধারণপূর্বক এই গাথা পাঠ করিলেন :- সুগভীর কুপ করিল খনন অক্লান্ত বণিকুন্দল, তাই তারা পে’ল ভীম মরুস্থলে প্রচুর শীতল জল । সেইরূপ জে’ন, জ্ঞানিজন যত বিচারেণ ভুমণ্ডলে, DBDBDDBBD BD S DDD DDBDB S BDDLLB DDS অনন্তর শাস্ত আৰ্যসত্যচতুষ্টয় ব্যাখ্যা করিলেন। তচ্ছবিণে সেই হীনবীৰ্য ভিক্ষু চরম ফল অর্থাৎ অৰ্হত্ত্ব লাভ করিলা । সমবধান- তখন এই হীনবীৰ্য্য ভিক্ষু ছিল সেই বালক-ভৃত্য,- যে প্রস্তর বিদীর্ণ করিয়া সঙ্গীদিগের পানাৰ্থ জল উত্তোলন করিয়াছিল। তখন বুদ্ধশিষ্যেরা ছিল সেই সাৰ্থবাহের অনুচরগণ এবং আমি ছিলাম সেই সার্থিবাহ ]

  • মুলে "চুলুপটুঠাপ” এই শব্দ আছে। * মুলে “অয়কুট" এই শব্দ আছে। : প্রায় সমস্ত জাতকের শেষেই দেখা যায়, “অতীত ও বৰ্ত্তমান কথার সম্বন্ধ দেখাইলেন এবং নিম্নলিখিত

সমবধান দ্বারা জাতকের উপসংহার করিলেন।” পুনঃ পুনঃ এরূপ বলা অনাবশ্যক বলিয়া অতঃপর এই অংশ কেবল “সমবধান” শব্দ দ্বারাই ব্যক্ত হইবে ।