পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

artsvt. val 哥竹5〔夺颈 vu উপক্ৰমণিকা শব্দগত, উচ্চারণগত, এমন কি ব্যাকরণগত সাদৃশ্য দেখিলে মনে হয়, ইহা উৎকল, বঙ্গ প্ৰভৃতি কতিপয় প্ৰাচ্যভাষার জননীও হইতে পারে। অধ্যাপক অটাে ফুঙ্কে বলেন যে এক সময়ে ভারতবর্ষে ও লঙ্কাদ্বীপে পালিই আৰ্যদিগের সাধারণ ভাষা ছিল। সে যাহা হউক, প্রথম বৌদ্ধ সঙ্গীতির পূর্বে ইহাতে যে কোন গ্ৰন্থ রচিত হইয়াছিল তাহার নিদর্শন পাওয়া যায় না ; কিন্তু গৌতমবুদ্ধের শিষ্য-প্ৰশিষ্যগণের প্রযত্নে শেষে ইহা নানারত্নের প্ৰসুতি হইয়াছিল। উত্তরে কপিলবস্তু ও শ্রাবস্তী হইতে দক্ষিণে রাজগৃহ ও বুদ্ধগয়া, পশ্চিমে সাঙ্কাশ্য হইতে পূর্বে অঙ্গ ও বৈশালী, এই সুবিশাল অঞ্চল গৌতমবুদ্ধের প্রধান লীলাক্ষেত্র। আপামর সাধারণকে মুক্তিমাৰ্গ প্রদর্শন করাই যখন তাহার জীবনের একমাত্ৰ ব্ৰত ছিল, তখন স্বীকার করিতে হইবে যে তিনি প্ৰচলিত ভাষাতেই ধৰ্ম্মদেশন করিতেন এবং তঁাহার শিষ্যগণ যত্নসহকারে র্তাহার বাক্যগুলি যথাসাধ্য অবিকৃত অবস্থায় লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন । অতএব পালি যে উল্লিখিত সমস্ত অঞ্চলেই জনসাধারণের ভাষা ছিল এরূপ অনুমান করা বোধ হয়। অসঙ্গত নহে। উত্তরকালে বৈষ্ণবদিগের প্রযত্নে হিন্দী ও বাঙ্গালাভাষার যে সৌষ্ঠব সাধিত হইয়াছে, বৌদ্ধদিগের চেষ্টায় পালির তদপেক্ষাও অধিক সৌভাগ্য ঘটিয়াছিল। তিপিটক, বিসুদ্ধিমাগগ, দীপবংস, মহাবংস, মলিন্দপহ্ন প্ৰভৃতি পালি গ্ৰন্থ সাহিত্যভাণ্ডারে মহাহৰ্তা রত্ন । দাক্ষিণাত্য বৌদ্ধের বলেন যে শ্ৰীষ্টের ২৪১ বৎসর পূর্বে মৌৰ্য্যসম্রাটু ধৰ্ম্মাশোকের পুত্ৰ স্থবির মহেন্দ্ৰ * যখন ধৰ্ম্মপ্রচারার্থ সিংহলে গমন করেন, তখন তিনি পালি ভাষায় লিখিত সমগ্ৰ ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও তাহাদের অর্থ কথা সঙ্গে লইয়া গিয়াছিলেন এবং সিংহলী ভাষায় অর্থকথাগুলির অনুবাদ করিয়াছিলেন। শেষে, কি কারণে বলা যায় না, অর্থকথাসমূহের পালি মূল বিনষ্ট হইয়া যায়। অনন্তর খ্ৰীষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর প্রথম ভাগে মাগধব্রাহ্মণ-কুলজাত সুপ্ৰসিদ্ধ বুদ্ধঘোষ সিংহলে গিয়া পালিভাষায় উহাদিগের পুনরানুবাদ করেন। বিস্ময়ের কথা এই যে শেষে সৈংহল অনুবাদ ও বিনষ্ট হইয়াছিল এবং সিংহলবাসীরা বুদ্ধঘোষের পালি অনুবাদকেই মূলস্থানীয় করিয়া পুনর্বার উহার অনুবাদ করিয়াছিলেন। কেহ কেহ বলেন, জাতকাৰ্থিবৰ্ণনাও বুদ্ধঘোষের লেখনীপ্ৰসুত । কিন্তু ইহা বোধ হয় সত্য নহে। বুদ্ধঘোষ ভারতবর্ষে রোবতের নিকট এবং সিংহলে সঙ্ঘাপালির নিকট শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন ; কিন্তু জাতকাের্থবৰ্ণনার প্রারম্ভে গ্রেন্থকার ইহাদের কোন উল্লেখ না করিয়া আপনাকে অর্থদর্শী, বুদ্ধমিত্র ও বুদ্ধদেব নামক অপর তিনজন পণ্ডিতের নিকট ঋণী বলিয়া পরিচয় দিয়াছেন। কিন্তু বুদ্ধঘোষ-কর্তৃক অনুদিত না তইলেও জাতকার্থিবৰ্ণনা তাহারই সময়ে বা তাহার অব্যবহিত পরে পুনর্বার পালিতে লিপিবদ্ধ হইয়াছিল । প্ৰত্যেক জাতকের তিনটী অংশ। প্ৰথম অংশের নাম প্ৰত্যুৎপন্নবস্তু বা বৰ্ত্তমান কথা । গৌতমবুদ্ধ কি উপলক্ষ্যে বা কোন প্রসঙ্গে আখ্যায়িকাটী বলিয়াছিলেন তাহা বুঝাইয়া দেওয়া এই অংশের উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় অংশটী প্ৰকৃত জাতক, অর্থাৎ মূল আখ্যায়িকা ; ইহার নাম অতীতবস্তু, কারণ ইহা গৌতমবুদ্ধের üGi5y c<vşsqc xcar sqrtcy 3 atve51 rfèygi qfMes