পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫-তুগুলনালী-জাতক $' দলের অল্প লোক ও অন্য দলের অধিক লোক উপস্থিত হইত। এরূপ ঘটিলে দাগ অল্প দলের জন্য নিয়ে এবং অধিক দলের জন্য উপরে পড়িবার কথা, কিন্তু উদায়ী তাহা গ্ৰাহা করিতেন না। তিনি পুর্বদিনের দাগ দেখিয়াই শলাকা বণ্টন করিতেন। অপিচ কোনু দলকে কি দিতে হইবে তাহাও তিনি বুঝিতেন না । ভিক্ষুরা বলিতেন, “ভাই উদায়ী, দাগটা বড় উপরে উঠিয়াছে অথচ ভিক্ষুর সংখ্যা কম”, কিংবা “দাগটা বড় নীচে আছে, অথচ ভিক্ষুর সংখ্যা বেশী।” কিংবা “এত বৎসরের ভিক্ষুদিগকে ভাল চাউল দিতে হইবে ; এত বৎসরের BD DDD BDB D BDDB BDBD S BD DD DBDBD BBB BBB DBD BDS S DDD DBDBSBDBDBDD DD BDD DBDDBDSS S S DDD BDBB BBB BBB DBBBS S D BDD DK বিশ্বাস করিব ?” এইরূপে জ্বালাতন হইয়া একদিন বালক ভিক্ষু * ও শ্রামণেরগণ উদায়ীকে শলাকাগার হইতে বাহির করিয়া দিল। তাহারা বলিল, “ভাই লালুদায়ী, তুমি শলাকা বিতরণ করিলে ভিক্ষুরা স্ব স্ব প্রাপ্য হইতে বঞ্চিত হয়। তুমি এ কাজের অনুপযুক্ত ; অতএব এখান হইতে চলিয়া যাও।” ইহাতে শলাকাগারে মহা কোলাহল উপস্থিত হইল। শাস্ত স্থবির আনন্দকে । জিজ্ঞাসা করিলেন, “শলাকাগারে কোলাহল হইতেছে কেন ?” । ।

  • আনন্দ তথাগতকে সমস্ত বৃত্তান্ত জানাইলেন। তাহ শুনিয়া তথাগত বলিলেন, “উদ্যায়ী নিৰ্ব্ববুদ্ধিতা বশতঃ এখােনই যে কেবল অপরের প্রাপ্যহানি করিতেছে তাহা নহে; পূর্বেও সে ঠিক এইরূপ করিয়াছিল।”

আনন্দ বলিলেন “প্ৰভু, দয়া করিয়া ইহার অর্থ বুঝাইয়া, দিন।” তখন ভগবান ভাবান্তর-প্রতিচ্ছন্ন সেই অতীত কথা প্ৰকট করিলেন :-)


rr -

পুরাকালে বারাণসী নগরে ব্ৰহ্মদত্ত নামে এক রাজা ছিলেন। বোধিসত্ত্ব তাহার অর্ঘকারকের ঐ কাজ করিতেন। তিনি, হন্তী, অশ্ব, মণি, মুক্ত প্রভৃতির মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়া বিক্রেতাদিগের, যাহার যাহা প্ৰাপ্য, তাহা চুকাইয়া দিতেন। রাজা ব্ৰহ্মদত্ত অতি অর্থলোলুপ ছিলেন। এক দিন তাহার মনে হইল “এই অর্ঘকারক যে ভাবে মূল্য নিরূপণ করিতেছে, তাহাতে অচিরে আমার ভাণ্ডার শূন্য হইবে। আমি ইহাকে পদচ্যুত করিয়া অপর কোন ব্যক্তিকে অর্ঘকারকের কাজ দিব।” অনন্তর তিনি জানালী ৪ খুলিয়া দেখিলেন একটা পাড়া গেয়ে লোক উঠান দিয়া হাটিয়া যাইতেছে। ঐ ব্যক্তি নিতান্ত নিৰ্বোধ, অথচ লোভী ছিল। কিন্তু ব্ৰহ্মদত্ত তাহ জানিতেন না ; তিনি ভাবিলেন এইরূপ লোককেই অর্ঘকারক করা উচিত। তিনি তাহাকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি আমার আর্ঘকারকের কাজ করিতে পরিবে কি ?” সে বলিল, “হঁ মহারাজ, আমি এ কাজ করিতে পারিব।” ব্ৰহ্মদত্ত তদণ্ডেই সেই লোকটাকে নিযুক্ত করিয়া ভাণ্ডাররক্ষা সম্বন্ধে •নিশ্চিন্ত হইলেন। অতঃপর সে, যখন যেমন খেয়াল হইত, হস্তী, অশ্ব প্রভৃতির মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিত, কোন দ্রব্যের প্রকৃত মূল্য কত হইতে পারে তাহা একবারও ভাবিত না। কিন্তু রাজার অর্ঘকারক বলিয়া কেহই তাহার প্রতিবাদ করিতে সাহসী হইত না ; সে যে মূল্য অবধারণ করিয়া দিত, বিক্ৰেতাদিগকে তাহাই লইতে হইত। এক দিন উত্তরাঞ্চল হইতে এক অশ্ববণিক পাচশত অশ্ব লইয়া বারাণসীতে উপনীত হইল। রাজা নূতন অর্ঘকারককে সেই সকল অশ্বের মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করিতে বলিলেন। সে গিয়া স্থির করিল পাঁচশ ঘোড়ার দাম এক পালি চাউল, এবং অশ্ব-বণিক্‌কে ঐ মূল্য দিয়াই ঘোড়াগুলিকে রাজার আস্তাবলে লইয়া যাইতে হুকুম দিল। অশ্ববণিক হতবুদ্ধি হইয়া বোধিসত্ত্বের নিকট গেল এবং যেরূপ ঘটিয়াছিল সমস্ত বলিয়া এখন কি কৰ্ত্তব্য জিজ্ঞাসা করিল। বোধিসত্ত্ব

  • মুলে “দহর ভিক্ষু”। এই পদ আছে। “দহর’ শব্দ সংস্কৃত ‘দন্ত্র’ শব্দের রূপান্তর ; ইহার অর্থ “অল্পবয়স্ক’ । छ्त्रों नम्र' ब९नंब्रज्ञे बांब्लष्कब्रां७ डिकू श्रेष्ठ । *
  • আনন্দ-বুদ্ধিদেবের একজন প্রধান শিষ্য। ইনি ‘ধৰ্ম্মভাণ্ডাগরিক' এই উপাধি পাইয়াছিলেন। সবিস্তর বিবরণ পরিশিষ্টে দ্রষ্টব্য। . . রাজা যে সকল দ্রব্য ক্ৰয় করিতেন, আর্যকারক সেই গুলির মূল্য স্থির করিত।

$ মুলে “সিংহপঞ্জীর এই শব্দ আছে।