পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Tx *Vb. কালসহকারে স্বৰ্যকুমার বয়ঃপ্রাপ্ত হইলেন। তখন একদিন मश्रीि ब्रांलांकि বলিলেন, “মহারাজ এই বালক যখন ভূমিষ্ঠ হয়, তখন আপনি অঙ্গীকার করিয়াছিলেন ইহাকে একটী বর দিবেন। অতএব এখন ইহাকে রাজপদ দান করুন।” রাজা উত্তর করিলেন, “আমার প্রথম দুইপুত্ৰ প্ৰজ্জলিত অগ্নির ন্যায় তেজস্বী। আমি তাহাদিগকে ত্যাগ করিয়া তোমার পুত্রকে রাজ্য দিতে পারি না”। কিন্তু মহিষী এ কথায় নিরস্ত হইলেন না। তিনি এই প্রার্থনা পুরণের জন্য রাজাকে দিবারাত্র জ্বালাতন করিতে লাগিলেন। তখন রাজার আশঙ্কা হইল পাছে মহিষী কুচক্ৰ করিয়া সপত্নী-পুত্রদিগের কোন অনিষ্ট করেন। তিনি মহিংসাসকুমার ও চন্দ্ৰকুমারকে ডাকিয়া বলিলেন, “বৎসগণ, যখন সুৰ্য্যকুমারের জন্ম হয়, তখন আমি তোমাদের বিমাতাকে একটী বর দিতে চাহিয়াছিলাম। সেই বরে এখন তিনি সুৰ্য্যকুমারকে রাজ্য দিতে বলিতেছেন। কিন্তু সুৰ্য্যকুমার রাজা হয় i BB DDBD BDBDBDD DDD S SBB DDSDD BBDBBS BDDD D DB BDBB তোমাদের সর্বনাশসাধনের চেষ্টা করিবেন। অতএব তোমরা এখন বনে গিয়া আশ্ৰয় লও। আমার মৃত্যু হইলে শাস্ত্রানুসারে এ রাজ্য তোমাদিগেরই প্ৰাপ্য ; তোমরা তখন আসিয়া ইহা গ্ৰহণ করিও।” অনন্তর অশ্রুপূর্ণনয়নে' বিলাপ করিতে করিতে তিনি পুত্রদ্বয়ের মুখচুম্বন করিয়া তাহাদিগকে বনে পাঠাইলেন। .. রাজকুমারদ্বয় পিতার চরণবন্দনা করিয়া যখন প্রাসাদ হইতে বাহির হইলেন, তখন সুৰ্য্যকুমার প্রাঙ্গণে ক্রীড়া করিতেছিলেন। অগ্ৰজদ্বয়ের বনগমন-কারণ জানিতে পারিয়া তিনিও তঁহাদের অনুগমন করিতে সঙ্কল্প করিলেন। এইরূপে তিন ভাই একসঙ্গে বনবাস করিতে গেলেন । ১১। রাজকুমারেরা চলিতে চলিতে অবশেষে হিমালয় পৰ্ব্বতে উপনীত হইলেন। সেখানে বোধিসত্ত্ব একদিন এক তরুমূলে উপবেশন করিয়া সুৰ্য্যকুমারকে বলিলেন, “ভাই, ছুটয়া একবার ঐ সরোবরে গিয়া স্নান কর ও জল খাঁ ; শেষে ফিরিবার সময় আমাদের জন্য পদ্মপাতায় কিছু জল আনিস।” ঐ সরোবর পূর্বে কুবেরের অধিকারে ছিল। তিনি উহা এক উদক-রাক্ষসকে দান করিয়া বলিয়া দিয়াছিলেন “দেবধৰ্ম্ম-জ্ঞানহীন যে ব্যক্তি ইহার জলে অবতরণ করিবে: সে তোমার ভক্ষ্য হইবে । যাহারা জলে অবতরণ করিবে না, তাহদের উপর কিন্তু তোমার কোন অধিকার থাকিবে না।” তদবধি সেই উদক-রাক্ষস, কেহ জলে অবতরণ করিলেই, তাহাকে ‘দেবধৰ্ম্ম কি ?” এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিত এবং সে উত্তর দিতে না পারিলে তাহাকে খাইয়া ফেলিত। সুৰ্য্যকুমার এ বৃত্তান্ত জানিতেন না। তিনি নিঃশঙ্কমনে যেমন জলে নামিয়াছেন, অমনি উদক-রাক্ষস তাহাকে ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “দেবধৰ্ম্ম কাহাকে বলে জান কি ?” সুৰ্য্যকুমার বলিলেন, “জানি বৈকি, লোকে সুৰ্য্য ও চন্দ্ৰকে দেবতা বলে।” রাক্ষস বলিল, “মিথ্যাকথা ; তুমি দেবধৰ্ম্ম জান না।” অনন্তর সে সুৰ্য্যকুমারকে টানিয়া গভীর জলের ভিতর লইয়া গেল এবং নিজের আগারে আবদ্ধ করিয়া রাখিল ৭ : সূৰ্য্যকুমারের ফিরিতে বিলম্ব দেখিয়া বোধিসত্ত্ব চন্দ্ৰকুমারকে তাহার অনুসন্ধানে পাঠাইলেন। রাক্ষস চন্দ্ৰকুমারকেও ধরিয়া ফেলিল এবং সেই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিল। চন্দ্ৰকুমার উত্তর দিলেন, “দিকচতুষ্টয় দেবধৰ্ম্ম-বিশিষ্ট।” রাক্ষস বলিল, “মিথ্যাকথা, তুমি দেবধৰ্ম্ম জান না।” সে চন্দ্ৰকুমারকেও টানিয়া গভীর জলের ভিতর লইয়া গেল এবং নিজের আগারে আবদ্ধ করিয়া রাখিল । । চন্দ্ৰকুমারও ফিরিয়া অসিলেন না দেখিয়া বোধিসত্ত্বের আশঙ্কা হইল হয়ত দুই ভ্রাতারই কোন বিপদ ঘটিয়াছে। তিনি তঁহাদিগের অনুসন্ধানে ছুটলেন এবং পদচিহ্ন দেখিয়া বুঝিলেন