পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২-স্তগ্রোধমূগ-জাতিক t v9ዓ

  • ऊांशक्षिांक७ ख्ऊम्र ठिांभ ।” “মৃগকুল নিস্তার পাইল বটে, কিন্তু অপর চতুষ্পদদিগের ভাগ্যে কি ঘটবে ?”

“তাহাদিগকেও অভয় দিলাম।” “চতুষ্পদ প্রাণিমাত্রের ভয় রহিল না বটে, কিন্তু বিহঙ্গগণের কি গতি হইবে ?” “বিহঙ্গাদিগকেও অভয় দিলাম।” “বিহঙ্গের অভয় পাইল বটে, কিন্তু মৎস্তাদি জলচরদিগের কি হইবে ?” “মৎস্যাদি জলচরদিগকেও অভয় দিলাম।” এইরূপে রাজার নিকট হইতে সৰ্ববিধ প্ৰাণীর জন্য অভয় পাইয়া বোধিসত্ত্ব ধৰ্ম্মগণ্ডিকা হইতে মস্তক উত্তোলন করিলেন এবং রাজাকে পঞ্চশীল শিক্ষণ দিয়া বলিতে লাগিলেন, “মহারাজ, ধৰ্ম্মপথে চলুন, মাতাপিতা, পুত্রকন্যা, গৃহী সন্ন্যাসী, পৌর জানপদ, সকলের সহিত যথা ধৰ্ম্ম নিরপেক্ষভাবে ব্যবহার করুন, তাহা হইলে যখন দেহত্যাগ করিবেন, তখন দেবলোকে যাইতে পরিবেন।” এইরূপে বুদ্ধোচিত গাম্ভীৰ্য্য ও মাধুৰ্য্যের সহিত রাজাকে ধৰ্ম্মোপদেশ দিয়া বােধিসত্ব ঐ উদ্যানে আরও কিয়ৎকাল অবস্থানীপূৰ্ব্বক অনুচরগণসহ অরণ্যে চলিয়া গেলেন। বোধিসত্ত্বের কৃপায় জীবন লাভ করিয়া সেই হরিণী যথাকালে পদ্মকোরকসদৃশ এক পরম সুন্দর শাবক প্রসব করিল। শাবকটী ক্ৰমে বড় হইয়া শাখামৃগের সহিত খেলা করিয়া 6दङ्ख्याश्रङ লাগিল । ইহা দেখিয়া একদিন হরিণী তাহাকে বলিল, “বাছা, শাখামৃগের সংসর্গে থাকিও না ; তুমি এখন অবধি ন্যগ্রোধমূগের দলের সহিত মিশিবে।” অনন্তর সে এই গাথা পাঠ করিল :- छह9ोंक्ष-भूcशब्र नत्र कब्र वि5झ1, শাখামূগ-সংস্রবে না রহিবে কথন । ঘটে যদি মৃত্যু, থাকি ন্যগ্রোধের সাথে, খেদের কারণ কিছু দেখি না। তাহাতে । भiथीभूश पद्म शनि अनय औदन, তথাপি তাহারে সাদা করিবে বর্জন । এদিকে রাজদত্ত অভয় পাইয়া মৃগের লোকের বড় অনিষ্ট করিতে আরম্ভ করিল। তাহারা শস্য খাইয়া বেড়াইত ; রাজার ভয়ে কেহই তাহাদিগকে মারিতে বা তাড়াইতে পারিত না । অনন্তর প্রজারা একদিন সমবেত হইয়া রাজাকে আপনাদের দুঃখের কথা জানাইল। রাজা * বলিলেন, “আমি প্ৰসন্ন হইয়া ন্যগ্রোধমূগকে বর দিয়াছি। আমার রাজ্য যায় যাউক, তথাপি প্ৰতিজ্ঞা ভঙ্গ কিরিব না । তোমরা চলিয়া যাও ; আমার রাজ্য মধ্যে কেহই মৃগদিগের কোন অনিষ্ট করিতে পরিবে না।” কিন্তু এই কথা যখন বোধিসত্ত্বের কর্ণগোচর হইল, তখন তিনি অনুচরদিগকে ডাকিয়া বলিলেন, “অদ্য হইতে তোমরা লোকের শস্য খাইতে পরিবে না ।” অনন্তর তিনি লোকালয়ে ংবাদ পাঠাইলেন, “কৃষকগণ, তোমরা এখন হইতে ক্ষেত্রের চারি দিকে বেড়া দিও না, কেবল পাতার মালা দিয়া ঘিরিয়া কাহার কোন ক্ষেত ঠিক করিয়া রাখিও।” প্ৰবাদ আছে যে পাতার মালা দিয়া ক্ষেত ঘিরিবার প্রথা এইরূপে উৎপন্ন হইয়াছিল। কোন মৃগ কখনও শস্যের লোভে ঐ মালার বেষ্টনী অতিক্রম করে না, কারণ বোধিসত্ত্ব তাহাদিগকে উহা উল্লঙ্ঘন করিতে নিষেধ করিয়াছিলেন। sg এইরূপে বোধিসত্ত্ব অনুচরদিগকে বহুদিন সদাচার শিক্ষা দিয়া অবশেষে কৰ্ম্মানুরূপ ফলভোগার্থ লোকান্তরে প্রস্থান করিলেন ; রাজা ব্ৰহ্মদত্তও বোধিসত্ত্বের উপদেশমত চলিয়া বহুবিধ সৎকাৰ্য্যের অনুষ্ঠানে দীর্ঘজীবন যাপন পূর্বক কৰ্ম্মানুরূপ গতি প্ৰাপ্ত হইলেন।