পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক নিপাঠ و(Q qSq qLqLLLL LLLLLLLLSLLLMq qAqMLMLMqLMLMLqLLqLL LqLLiMqMqLqALAqAqLqLqLqLLqLLLL LLLLL qqqLqSqqS Neron R. R. NA “N-N. NA NA-1 a <---so s. s. st-s-os, “s"<"s-*.*s *s *s-^-*="*s* qLqLLLL LLLLLLL M LLLSMLS LMSLLLSMLSLLLLLL SS LS LSeLSMLe LMLSLALSL SLALeLSLSe AALSLSAeSe MqLSSeq প্রতিদিন মৃগয়ায় গিয়া আমাদের কাৰ্য্যহানি করেন। আজ আমরা আপনার डेशान भूशभूर्भ করিয়া রাখিলাম ! এখন হইতে ঐ সকল বধ করিয়া ভোজন করুন।” ব্ৰহ্মদত্ত উদ্যানে গিয়া দেখিলেন, উহাতে বাস্তবিকই শত শত মৃগ রহিয়াছে। তিনি হেমবৰ্ণ মৃগ দুইটী দেখিয়া বলিলেন, “তোমাদিগকে অভয় দিলাম ; তোমরা নিঃশঙ্কচিত্তে বাস কর।” ইহার পর কোন দিন তিনি নিজে, কোন দিন বা র্তাহার। পাচক উদ্যানে গিয়া এক একটী মৃগ শরবিদ্ধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু ধনুকের টঙ্কার শুনিবা মাত্ৰ মৃগগণ প্রাণভয়ে এরূপ চুটাছুটি করিত, যে প্রতিদিনই একটীর স্থলে বহুমৃগ শরাহত হইত। বোধিসত্ত্ব দেখিলেন অনেক মৃগ নিরর্থক নিহত হইতেছে এবং সকলকেই নিয়ত সন্ত্রান্ত থাকিতে হইতেছে। ইহার প্রতিবিধান করিবার নিমিত্ত এক দিন তিনি শাখামূগের সহিত পরামর্শ করিয়া স্থির করিলেন, তাহাঁদের দুই দল হইতে পৰ্যায়ক্রমে এক এক দিন এক একটীি মৃগ স্ব স্ব বারানুসারে ধৰ্ম্মগণ্ডিকার * উপর গ্রীবা স্থাপন করিবে এবং রাজপাচক সেখানে গিয়া - উহার শিরশেছদ করিবে। তাহা হইলে যেদিন যে মৃগের বার আসিবে, সেদিন কেবল জাহারই প্ৰাণ যাইবে ; অপর কেহ আহত বা উদ্বিগ্ন হইবে না। তদবধি এই নিয়মানুসারে কাজ হইতে লাগিল; যে মৃগ ধৰ্ম্মগণ্ডিকার উপর গ্রীবা রাখিয়া থাকিত, রাজপাচক তাহারই প্ৰাণ সংহার করিত ; অন্য কাহারও উপর কোন উপদ্ৰব করিত না । অনন্তর একদিন শাখামূগের দলভুক্ত এক গর্ভিণী হরিণীর বার উপস্থিত হইল। সে শাখামৃগের নিকট গিয়া বলিল, “প্ৰভু, আমি এখন সসত্ত্বা ; প্রসবের পর আমরা একজনের জায়গায় দুই জন্য হইব ; পালামত দুই জনেই প্ৰাণ দিতে পারিব । অতএব এবার আমায় ছাড়িয়া দিতে অনুমতি করুন।” শাখামৃগ উত্তর দিল, “তাহা হইতে পারে না; তোমার অদৃষ্টফল তোমাকেই ভোগ করিতে হইবে, আমি অন্য কাহারও স্কন্ধে তোমার পালা চাপাইতে পারিব না।” তখন হরিণী নিরুপায় হইয়া বোধিসত্ত্বের নিকট গেল এবং তঁহাকে সমস্ত কথা বলিল। বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “আচ্ছা, তুমি দলে ফিরিয়া যাও ; যাহাতে এবার তোমার প্রাণরক্ষা হয়, আমি তাহার উপায় করিতেছি।” অতঃপর তিনি নিজেই পশু-বধক্ষেত্রে গিয়া গণ্ডিকার উপর মস্তক স্থাপনপূর্বক শুইয়া রহিলেন। 爱 যথাসময়ে পাচক গণ্ডিকার নিকট উপস্থিত হইল। সে বোধিসত্ত্বকে দেখিয়া বিস্মিত হইল, কারণ রাজা তাহাকে অভয় দিয়াছিলেন। সে দৌড়াইয়া রাজাকে বলিতে গেল ; রাজা শুনিবা মাত্র পাত্ৰমিত্ৰসহ রথারোহণে সেখানে উপনীত হইলেন এবং বোধিসত্ত্বকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “সখে মৃগরাজ ! আমি ত তোমায় অভয় দিয়াছি। তবে তুমি কেন গণ্ডিকার উপর মাথা রাখিয়াছ ?” বোধিসত্ত্ব কহিলেন, “মহারাজ, আজ যে মৃগীর বার হইয়াছিল সে সসত্ত্বা ; সে যখন আমার সাহায্য প্রার্থনা করিল, তখন দেখিলাম 'একের প্রাণ-রক্ষার্থ অন্যের প্রাণ বিনাশ করিতে পারি। না। কাজেই ভাবিলাম, নিজের প্রাণ দিয়া তাহার প্রাণ বঁাচাইব-তাহার পরিবর্তে আমিই মরিব । ইহার ভিতর আর কোন কথা নাই, মহারাজ।” : “মূগরাজ, আজ আপনি যে মৈত্রী, প্ৰীতি ও দয়ার পরিচয় দিলেন, তাহা ত মানুষের মধ্যেও দেখা যায় না। আপনিউঠুন ; আমি প্ৰসন্নমনে আপনাকে ও সেই মৃগীকে অভয় দিলাম।” “দুইটী মাত্ৰ মৃগ অভয় পাইল, নরনাথ ? অবশিষ্ট মৃগদিগের ভাগ্যে কি হইবে ?” “অবশিষ্ট মৃগদিগকেও অভয় দিলাম।” “আপনার উদ্যানস্থিত সমস্ত মৃগ নিঃশঙ্ক হইল বটে, কিন্তু অপর মুগদিগের কি দশা হইবে ?”

  • ধৰ্ম্মগণ্ডিকা-যে কাষ্ঠখণ্ডের উপর হন্তব্য প্রাণীর গ্রীবা। রাখিয়া তাহার শিরশেহদ করা হয়।