পাতা:জাতক (প্রথম খণ্ড) - ঈশানচন্দ্র ঘোষ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 ७थम निश्रांठे aaaaaararwana-AM-aaaaaaaaaaaaaaaa-NMaMarror-Wu ANAMAMAMAYANMANN মগধের রাজারা যখন রাজগৃহে থাকিতেন, সেই সময়ে বোধিসত্ব মৃগজন্ম গ্রহণপূর্বক মৃগযুখের অধিনায়ক হইয়া বনে বনে বিচরণ করিতেন। একদিন তাহার डनिौ निखिल পুত্রসহ তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিল, “ভাই, তোমার ভাগিনেয়কে মৃগমায়াগুলি শিক্ষা দাও।” বোধিসত্ত্ব বলিলেন, “নিশ্চয় শিখাইব; যাও বাবাজি, এখন খেলা কর গিয়া ; অমুক অমুক সময়ে আমার নিকট আসিয়া উপদেশ লইবে।” মাতুল যেরূপ সময় নির্দেশ করিয়া দিলেন, ভাগিনেয় ঠিক সেই মত র্তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া মৃগমায়া শিখিতে লাগিল। এক দিন মৃগপোতক বনভূমিতে বিচরণ করিবার সময় পাশবদ্ধ হইয়া আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিল। তাহ শুনিয়া তাহার সঙ্গীরা তৎক্ষণাৎ ছুটিয়া গিয়া তাহার জননীকে সংবাদ দিল। তখন সেই মৃগী বােধিসত্ত্বের নিকট গিয়া জিজ্ঞাসিল, “ভাই, তুমি আমার ছেলেকে সমস্ত মৃগমায়া শিখাইয়াছ কি?” বোধিসত্ব বলিলেন, “ভীগিনি, তোমার পুত্রের কোনরূপ অনিষ্টা শঙ্কা করিও না । সে সমস্ত মৃগমায়া সুন্দরীরূপে আয়ত্ত করিয়াছে। তুমি নিশ্চিন্ত থােক ; সে এখনই ফিরিয়া আসিয়া তোমার আনন্দবৰ্দ্ধন করিবে।” অনন্তর বোধিসত্ত্ব এই গাথা পাঠ করিলেন :- যডুবিধ মৃগমায়া জানে ভাগিনেয় বঞ্চিতে ব্যাধেরে ; উভ পার্শ্বে কিংবা পৃষ্ঠে দিয়া ভর মৃত্যুবৎ বিস্তারি শরীর পারে সে শুইতে ; খুর আট পানি তার জানে প্রয়োজন মত করিতে প্রয়োগ ; পিপাসায় শুষ্ককণ্ঠ, তবু নাহি করে भक्षाब्रांख्यि विनों अना कएल अलolन ; উৰ্দ্ধ অৰ্দ্ধনাসারান্ধে, বায়ু নিরোধিয়া শ্বাসক্রিয়া করে শুধু নিম্ন অৰ্দ্ধ দিয়া । * ভাগিনেয় মৃগমায়ায় সিদ্ধহস্ত হইয়াছে ইহা বুঝাইয়া বোধিসত্ত্ব উক্তরূপে ভগিনীকে আশ্বাস দিতে লাগিলেন। এদিকে সেই পাশবদ্ধ মৃগপোতক একপার্শ্বে ভর দিয়া দেহবিস্তারপূর্বক ভূমিতে শুইয়া পড়িল, পা গুলি বিস্তার করিল, পায়ের নিকট যে স্থান ছিল খুরের আঘাতে তাহা হইতে ঘাস ও ধূলি খুড়িয়া চারিদিকে ছড়াইয়া রাখিল, মলমূত্র ত্যাগ করিল, মাথাটা এমন ভাবে রাখিল যেন ঘাড় ভাঙ্গিয়া গিয়াছে; জিহ্বা বাহির করিল ; সৰ্ব্বশরীর লালায় প্লাবিত করিল ; চক্ষু উল্টাইয়া রাখিল ; নাসারান্ধের উৰ্দ্ধদেশ দিয়া বাতিরোধ পূর্বক কেবল নিম্নাৰ্দ্ধদ্বারা শ্বাসক্রিয়া চালাইতে লাগিল ; বায়ুদ্বারা উদর স্ফীত করিয়া রাখিল ;-ফলতঃ সে এমন স্তৰূভাবে রহিল যে দেখিলেই বোধ হইল যেন মরিয়া গিয়াছে। নীল মক্ষিকারা আসিয়া তাহার গা ছাইয়া ফেলিল, কোন কোন অঙ্গে দুই একটা কাকও আসিয়া বসিল । মৃগপোতক এই ভাবে পড়িয়া আছে এমন সময়ে ব্যাধ আসিল । সে উহার পেটের উপর দুই একটা চাপড় দিয়া ভাবিল, “বোধ হয় ভোর বেলা ফাঁদে পড়িয়াছে; মাংস হয় তা পচিতে আরম্ভ করিয়াছে।” তখন সে বন্ধন খুলিয়া দিল এবং “এখনই ইহাকে কাটিয়া মাংস ( খাইব ও ) লইয়া যাইব’ মনে করিয়া (আগুন জালাইবার জন্য) নিঃসন্দেহচিত্তে কাষ্ঠ ও শুষ্ক পত্ৰ সংগ্ৰহ করিতে লাগিল। এই সুযোগে মৃগপোতক পায়ের উপর ভর দিয়া দাড়াইল, গা ঝাড়া দিল এবং গ্ৰীবা বিস্তারপূর্বক বাতবিতাড়িত মেঘমণ্ডিবৎ অতিবেগে মায়ের কোলে ফিরিয়া গেল। . সমবধান-“তখন রাহুল ছিল সেই মৃগ-শাবক ; উৎপলবর্ণ ছিলেন তাহার গর্ভধারিণী, এবং আমি ছিলাম সেই যুগপোতকের মাতুল। ] প্রিল-"এই গল্পের সহিত হিতোপদেশ-বর্ণিতপ্ৰকাক, মৃগ ও ক্ষুদ্রবুদ্ধিনামা শৃগালের কথার সাদৃশ্য আছে।

  • অর্থাৎ এই সময়ে তাহাকে সম্পূর্ণ মৃত বলিয়া মনে হয়।