পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্থীরাজ শ্বিক ঘটনায় প্রথমতঃ হতবুদ্ধি হন ; পরে সসৈন্যে পৃথুরাজের পশ্চাৎবৰ্ত্তী হইলেন । এইরূপ ঘটনার আশঙ্কা করিয়া ইনি পূর্বেই দিল্পী যাইবার পথে স্থানে স্থানে সৈন্ত লুক্কায়িত রাখিয়াছিলেন । তাহর আক্রমণকারীদিগের সহিত তুমুল সমরে প্রবৃত্ত হইল। এইরূপে ষষ্ঠদিনের যুদ্ধের পর পৃথুরিাজ সংযথাকে লইয়া দিল্লা ডপস্থিত হইলেন । অতঃপর ইহঁাদের উদ্বাহ ক্রিয়া মহাসমারোহ পূৰ্ব্বক নিম্পন্ন হইল । পৃথ্বীরাজের হস্তে এই অপমানে জয়চাদ অতি ম্ৰিয়মাণ হইলেন। স্বয়ং অথবা সহায় সহিত ইহাকে দমন করিতে অসমথ হইয়া, মহম্মদ ঘোরার শরণাপন্ন হইয়া তাহাকে দিল্পী আক্রমণ করিতে অনুরোধ করিয়া পাঠান। ১১৯২ খৃষ্টাব্দে মহম্মদ পৃথুরাজের বিরুদ্ধে যাত্রা করেন। পৃথুরোজ হৃষ্টচিত্তে যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইয়া আক্রমণকারাদিগের সহিত টিরোরিতে সাক্ষাৎ করেন। দুই সৈন্তে যুদ্ধ হইলে মহম্মদ সম্পূর্ণরূপে পরাস্ত হন। পৃথ্বারাজ বহুদূর পর্য্যন্ত পশ্চাৎ ধাবিত হইয়া তাহার দুরবস্থার একশেষ করিয়াছিলেন। দেশী ও বিদেশী শত্রু পরাজয় করিয়া ইনি মহা সুখে সময় যাপন هولاد ] J পৰ্থীরাজ করিতে লাগিলেন । কিন্তু এই সৌভাগ্য ইহার দুর্ভাগ্যের নিদানভূত হইয়াছিল। ইনি রাজকাৰ্য্য সম্পূর্ণরূপে পৰ্য্যবেক্ষণ না করিয়া বিলাসিতায় সময় অতিবাহিত করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । পৃথ্বীরাজ এইরূপে নিশ্চেষ্ট রহিলেন । অপরদিকে মহম্মদ যুদ্ধে পরাস্ত হইয়া প্রতিহিংসায় উত্তেজিত হইলেন । তিনি যত্নপরায়ণ হইয়া পুনৰ্ব্বার যুদ্ধের জন্ত বিপুল আয়োজন করিতে লাগিলেন। সৰ্ব্বপ্রযত্বে তিনি এক বিশাল সেনাসমবেত করিলেন । টিরোরির যুদ্ধের দুই বৎসর পরে মহম্মদ দিল্লীপতিকে দমন করিবার জন্ত ভারতবর্ষে পুনরাগমন করিলেন। শত্রুর আগমন বার্তা শ্রবণে পৃথ্বীরাজ সৈন্ত সংগ্ৰহ করিতে যত্নবান হইলেন । বীরবর চিতোরাধিপতি সমরসিংহ সসৈন্ত ইহঁার সাহায্যার্থ উপস্থিত হইলেন। কথিত আছে যে সংযথা স্বয়ং পৃথীরাজকে যুদ্ধ সজ্জায় সজ্জিত করিয়াছিলেন। থানেশ্বরে উভয় সৈন্ত্যে সাক্ষাৎ হইল। উভয়ের মধ্যে কাগার নদী অন্তর রহিল। পূৰ্ব্ব পরাজয় স্মরণ করিয়া মহম্মদ হিন্দু সৈন্ত সহসা আক্রমণ করিতে সাহস করিলেন না । পৃথ্বীরাজও• জয় হইবার নিশ্চয়তা অবধারিত করিয়া শত্রুর