পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাসদেব ঋষ্টি কে ভারতযুদ্ধের যথাযথ ঘটনা বলিতেন। ভারতযুদ্ধাবসানে ইনি যোগবলে করুপাণ্ডবরমণীদিগকে গঙ্গার জলে স্ব স্ব আত্মীয় স্বজনকে দেখাইয়াদিলেন। ইছার পরামর্শে যুধিষ্ঠির অশ্বমেধ যজ্ঞে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । ব্যাসদেব নিয়ম পূর্বক তিন বৎসরকাল সতত উদ্যোগী হইয়া মহাভারত রচনা করেন । কথিত আছে যে একজন লেখকের জন্ত চেষ্টিত হইলে ব্রহ্মার আদেশে ইনি গণদেবকে স্মরণ করেন। তিনি উপস্থিত হইলে, ইনি র্তাহাকে লেখকের কার্য্যে নিযুক্ত হইতে অনুরোধ করেন। লিখিতে প্রবৃত্ত হইলে, তাহার লেখনী বিশ্রাম করিবে না, এই নিয়মে তিনি স্বীকৃত হইলেন । ইনিও তাহাকে অর্থ অনবগত হইয়া কোন শ্লোক লিপিবদ্ধ করিতে নিষেধ করেন। বিষয় নিৰ্দ্ধারণের বিলম্ব হইলে ইনি দুই একটী” দুজ্ঞেয় (ব্যাসকুট, গ্রন্থগ্রন্থি) শ্লোক রচনা করিতেন। গণেশের তাহা বুঝিয়া লিখিতে বিলম্ব হইলে, ইনি ইতিমধ্যে বহু • শ্লোক রচনা করিতেন । ব্যাসদেব অষ্টাদশ পুরাণ প্রণীত করিয়াছিলেন বলিয়া প্রসিদ্ধ, যথা–ব্রহ্ম, পদ্ম, বিষ্ণু, শিব, ভাগবত, নারদ, মার্কণ্ডেয়, অগ্নি, ভবিষ্য, ব্রন্ধু [ २०२ ] ব্ৰহ্মা বৈবৰ্ত্ত, লিঙ্গ, বরাহ, স্কন্দ, বামন, কুৰ্ম্ম,মৎস্য,গরুড়,ব্রহ্মাও । মতান্তরে এই সকল অন্ত লেখকের লেখনী প্রস্থত । তাহারা ব্যাসের অবস্থা প্রাপ্ত হইলে, ঐ সকল গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন । পুরাণাদি রচনা করিয়া, প্রকৃত তত্ত্বজ্ঞ ব্যাসদেব নিম্ন লিখিত শ্লোকে ঈশ্বরের নিকট ক্ষমা চাহিয়াছেন— r"রূপং রূপবিবর্জিতস্য ভবতে ধ্যানেন যৎকল্পিতম স্তুত্যানিৰ্ব্বচনীয়তাহখিলগুরো দৃষ্টিত। যন্ময় . < ব্যপিত্বঞ্চ নিরাকৃতং ভগবতে যত্তীর্থ যাত্রাদিনা ক্ষন্তব্যং জগদীশ । তদবিকলভাদোষত্রয়ং ”মৎকৃতম, ॥ * سمجم“ তুমি রূপবিবর্জিত, আমি ধ্যানে তোমার রূপ কল্পনা করিয়াছি ; তুমি অখিল গুরু ও বাক্যেয় অতীত, আমি স্তবের দ্বারা তোমার সেই অনিৰ্ব্বচনীয়তা দূরীক্কত করিয়াছি ; এবং তুমি সৰ্ব্বব্যাপী, অথচ আমি তীর্থযাত্রাদি দ্বারা তোমার সেই সৰ্ব্বব্যাপিত্ব নষ্ট করিয়াছি—হে জগদীশ ! মৎকৃত এই তিনটী বিকলতাদোষ ক্ষমা করুন। (মহা) ব্ৰহ্ম—স্থষ্টিকৰ্ত্তা। ইহার উৎপত্তি সম্বন্ধে বর্ণিত আছে যে প্রথমে সমুদায় অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল প্ররে মহাপুরুষ নিজতেজে অন্ধকার দূর