কণ্ঠহার— ধেনুকর্ণ নামে গোকর্ণকুল সম্ভূত একজন রাজা, তীর্থ পর্য্যটন উপলক্ষে যশোহরে গমন করেন এবং তথায় রাজ্য স্থাপন করেন। ধেনুকর্ণের পুত্র কণ্ঠহার অতিশয় বীর পুরুষ ছিলেন। তাঁহার উপাধি ছিল ‘বঙ্গভূষণ’। যশোহর জিলার উত্তর অংশে তিনি রাজত্ব করিতেন। তাঁহার নামানুসারে সেই পরগণাও ‘ভূষণ’ নামে পরিচিত হয়। উহাই পরে ‘ভূষণা’ নামে খ্যাত হয়। কণ্ঠহার দীর্ঘকাল রাজত্ব করিয়া পরলোক গমন করেন।
কণ্ডুল—১৪০৯ খ্রীঃ অব্দে রাণা চণ্ডের জ্যেষ্ঠ পুত্র রণমল্ল পিতৃসিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁহার চতুর্ব্বিংশতি পুত্রের মধ্যে জ্যেষ্ঠ রাণাযোধ রাজা হইয়া যোধপুর নগর ১৪৫৯ খ্রীঃ অব্দে স্থাপন করেন। দ্বিতীয় পুত্র কণ্ডুল বিকানীর অধিকার করিয়া, স্বীয় ভ্রাতুষ্পপুত্র (রাণা যোধের জ্যেষ্ঠ পুত্র) বিকাকে প্রদান করেন। কণ্ডুল আরও উত্তরদিকে অগ্রসর হইয়া আশিয়াধ, বেণিবল ও সারণ নামক তিনটী স্থান অধিকার করেন। এই সকল স্থানে তাঁহার বংশীয় কণ্ডুলোট রাঠোরেরা এখনও বাস করিতেছেন।
কনক— তিনি কাশ্মীরপতি হর্ষদেবের (১০৮০-১১০২ খ্রীঃ) মন্ত্রী চম্পকের ভ্রাতা। তিনি সঙ্গীত বিদ্যায় বিশেষ জ্ঞান লাভ করিয়া, মহীপতি হর্ষদেবেরকনকমুনি—থেরবাদী বৌদ্ধগণের মতে গৌতম বুদ্ধের পূর্ব্বে প্রাদুর্ভূত চব্বিশজন বুদ্ধের অন্যতম। বুদ্ধ দেখ।
কনকসেন — অযোধার সূর্য্যবংশীয় একজন রাজকুমার। খ্রীঃ দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগে তিনি সৌরাষ্ট্র দেশের অন্তর্গত ‘বীরনগরে’ একটি রাজ্য স্থাপন করেন। তিনি বল্লভীবংশের আদি পুরুষ বলিয়া উল্লিখিত হন। তাঁহার অধস্তন চতুর্থ পুরুষ বিজয়সেন ‘বিজয়পুর’ (বর্তমান নাম ঢোলকা) নামে নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁহার পরবর্ত্তী বংশধরদিগের দ্বারা বল্লভীপুর স্থাপিত হয়। তাঁহারা প্রথমে গুপ্ত সম্রাটদের সামন্ত নরপতি ছিলেন। পরে গুপ্তদের প্রাধান্য লুপ্ত হইলে স্বাধীনতা লাভ করেন। (গুহসেন দেখ।)
কন্দর্প—তিনি মহীপতি বরাহদেবের ভ্রাতা। কাশ্মীরেশ্বর কলশরাজ তাঁহাকে দ্বারপতি নিযুক্ত করিয়া ডামরদিগকে নিঃশেষ করেন। কন্দর্প অতি বীর পুরুষ ছিলেন। তিনি একবার অতি