পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२89 মিরর দৈনিক পত্রিকায় পরিণত হয় । উন্থাই খুব সম্ভব দেশীয়গণের পরিচালিত প্রথম ইংরেজি দৈনিক । দীর্ঘকাল পরে উহা কেশবচন্দ্রের সম্পর্কিত ভ্রাতা নরেন্দ্রনাথ সেনের হস্তগত হয় এবং সাধারণ দৈনিক সংবাদপত্ররূপে প্রকাশিত হইতে থাকে। ইংলগু হইতে প্রত্যাগমনের পর, পূৰ্ব্বোক্ত ইণ্ডিয়ান রিফম অ্যাসোসিয়েসনের পক্ষ হইতে ‘সুলভ সমাচার’ নামে একখানি এক পয়সা মূল্যের দৈনিক বাঙ্গালী পত্রিক প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন । সুলভ সমাচার বাঙ্গালা দৈনিকের পথ প্রদর্শক এই পত্রিকাথানি বহুদিন পরে কেশবচন্দ্রের হস্ত হইতে চলিয়া যায় । ‘সানডে foota’ (Sunday Mirror) নামে একখানি পত্রিকা ও কেশবচন্দ্র প্রকাশ করেন । র্তাহার ভ্রাতা কৃষ্ণবিহারী সেন কিছুকাল উহার সম্পাদক ছিলেন । কুচবিহার বিবাহ ও নববিধান ১৮৭৮ খ্ৰী: অব্দের প্রথম ভাগে কেশবচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ কন্তীর সহিত কুচবিহারের তদানীন্তন রাজা নৃপেন্দ্র नाँ द्रांष्ट्रt१व्र विदtरु श्ब्र : ७ऐं पिबॉश উপলক্ষে ব্রাহ্ম সমাজে এক ঘোর আন্দোলন উপস্থিত হয় এবং তৎফলে “সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজ” নামে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়। যাহার ج ( ميسي لا صيد ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্র এই বিষয়ে, কেশবচন্দ্রের কাৰ্য্যের প্রতি বাদ করিয়া পৃথক হইয় আসেন, র্তfহীদের প্রধান বক্তব্য ছিল যে কেশব চন্দ্রের কন্যা ও পাত্র উভয়েই পূৰ্ব্বোক্ত তিন অাইনানুসারে অপ্রাপ্ত বয়স্ক । তদ্ভিন্ন ঐ বিবাহ ব্ৰাহ্ম পদ্ধতি অনুসারে হইবে না এবং বস্তুতঃ তাহ হয় ও নাই। কেশবচন্দ্রকে এ বিষয়ে মভ পরিবর্তন করিতে অথবা সম্পূর্ণ ব্রাহ্ম পদ্ধতি অমুসারে বিবাহ দিতে বলিয়া কোনও ফল না হওয়াতে পৃথক সমাজের উদ্ভব হয়। ( ১৮৭৮ খ্ৰীঃ অব্দের মে মাস) । এই বিচ্ছেদ কেশবচন্দ্রকে বিশেষভাবে অভিভূত করে এবং তিনি স্বমতানুবন্ত্রী ধৰ্ম্মবন্ধুগণকে লইয়া (১৮৮০ খ্ৰীঃ) “নববিধান” এই নামে পূৰ্ব্বোক্ত ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজকে নুতনরূপ দান করিলেন ; তদবধি কলিকাতাস্থ মেছুয়াবাজার ষ্ট্রীটের ( বৰ্ত্তমান নাম কেশবচন্দ্র সেন ষ্ট্রীট) ব্ৰহ্মমন্দির নববিধান মন্দির নামেই পরিচিত হইয়া আসিতেছে । এই “নববিধান”কে তিনি জগতের প্রচলিত সমুদয় প্রধান ধৰ্ম্মের সারভূত বলিয়া বর্ণনা করেন । নববিধানের ক্ষেত্রে সকল ধৰ্ম্মাবলম্বী ভ্ৰাতৃ ভাবে মিলিত হইবে, ইহাই তাহার, তদুপলক্ষে প্রদত্ত উপদেশের সার মৰ্ম্ম ছিল । ধৰ্ম্মমণ্ডলী গঠন। ব্রাহ্ম সমাজে যোগ দিবার সময় হইতেই কেশবচন্দ্র নিজ প্রতিভা ও আকর্ষণী