史8á ভারতীয়-ঐতিহাসিক কেশবচন্দ্র বীর জন্য ব্যাণ্ড অব হোপ ( Band of বর্গের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি ও রক্ষার জন্য Hope) নামে একটি সঙ্ঘ গঠন করেন। দীর্ঘকাল পর্য্যন্ত ঐ সঙ্ঘের কাজ অতি উৎকৃষ্টভাবে চলিয়াছিল। পূৰ্ব্বোক্ত (২৩৬ পৃ: ) রিফৰ্ম্ম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ হইতে দেশে সুরাপানের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাইবার জন্য “মদ-নাগরল” নামে তিনি একখানি মাসিক পত্রিক প্রচার করেন। পরবর্তীকালে স্থাপিত সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের আচাৰ্য্য পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় উহার প্রথম সম্পাদক ছিলেন । পত্রিকাখনি কয়েক বৎসর চলিয়াছিল। এই সুরাপানের বিরুদ্ধে, কতিপয় বর্ষ পূৰ্ব্বে প্যারীচরণ সরকার মহাশয় যখন প্রথম আন্দোলন উপস্থিত করেন, তখন হইতেই কেশবচন্দ্র তাছার বিশেষ সহকৰ্ম্মী ছিলেন । ব্ৰাহ্মসমাজে প্রথম সঙ্কীৰ্ত্তন প্রথা প্রচলিত করিয়া ( ২৪৪ পৃ: ) কেশবচন্দ্র ১৮৬৮ খ্ৰীঃ অব্দের মাঘোৎসবের সময়ে এক নগর সঙ্কীৰ্ত্তন বাহির করেন । কেশবচন্দ্রের ঐ কাৰ্য্য ব্রাহ্ম ও অ-ব্রাহ্ম উভয় সম্প্রদায়েরই একাধারে প্রশংসা ও নিন্দ লাভ করে। ঐ সময়েই ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের নূতন মন্দিরের ভিত্তি স্থাপিত হয়। পরবর্তী বৎসর আগষ্ট মাসে বিশেষ উৎসব সহযোগে ঐ মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করা হয় । নিজ মণ্ডলীভুক্ত সাধনশীল পরিবার: ১৮৭১ খ্ৰীঃ অব্দে কেশবচন্দ্র ‘ভারত আশ্রম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। কেশবচন্দ্র স্বয়ংও কিছুকাল সপরিবারে ঐ আশ্রমে বাস করিয়াছিলেন। অনেকটা সাধারণ বtঙ্গালী একান্নবৰ্ত্তী পরিবারের ব্যবস্থানুযায়ী ঐ আশ্রমের কাজ চলিত এবং কেশবচন্দ্রের সহকৰ্ম্মীদের মধ্যে একজন বিশেষ ভাবে সকল প্রকার ব্যবস্থা করিবার ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ধৰ্ম্মসাধনমার্গে নিৰ্জ্জন চিন্তা, ধ্যান ধারণার আবখ্যক তা উপলব্ধি করিয়া তনি ১৮৭৬ খ্ৰীঃ অব্দে কলিকাতার সন্নিকটস্থ মুরারীপুকুর নামক স্থানে একটি উদ্যানবাটী ক্রয় করিয়া, তাহাকে
- সাধন কানন’ নাম প্রদান করেন । কেশবচন্দ্র স্বয়ং ও র্তাহার অনুগামীগণ অনেক সময়েই সেইখানে নির্জন বাস করিবার জন্ত গমন করিতেন। তাহীদের নিজেদের আবেগুকীয় সমুদয় কাজ, এমনকি বাগানের মধ্যে যাতায়তের পথ নিৰ্ম্মাণ, কুটার নিৰ্ম্মাণ প্রভৃতি সকল কাজই তাহীরা নিজেরাই করিয়৷ লইতেন ।
ব্রাহ্ম সমাজে যোগদানের প্রথম অবস্থায় ১৮৬৩ খ্রীঃ অব্দে কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজ ভিণ্ডিকেটেড ( Brahmo Somaj Vindicated ) नाप्म একটি বক্তৃতা প্রদান করেন। প্রসিদ্ধ বাঙ্গালী
