পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৩ ইউরোপীয় সেনাপতির সংখ্যা দল প্রতি পূৰ্ব্বাপেক্ষায় নুনি হইয়াছিল । সুতরাং সৈনিকগণ সুযোগ্য ও যথা সংখ্যক অধিনায়ক হীন হইয়াছিল । এই সব কারণে রাজকাৰ্য্য সুচারুরূপে সম্পন্ন বিদ্রোহ । বোদের রাজা ছোকরা বিশি নামক এক ডাকাত সর্দারকে প্রতিপালন করিতেন এবং তাহ দ্বারা চতুর্দিকে লুণ্ঠন করিতেন । লর্ড ক্যানিং রাজ্যের এই অবস্থায় শাসনভার গ্রহণ করেন । কিন্তু এই বিশৃঙ্খলতা বাহিরে কিছুমাত্র প্রকাশিত হয় নাই। এই সময়ে রাশিয়ার সহিত ইংলণ্ডের ীি বাদ সংঘটিত হওয়ায়, ভারতবর্যের সহিত বাণিজ্য বৃদ্ধি পাইয়। সাড়ে পাচ কোট টাকা অtয় বৃদ্ধি পাইয়া ছিল। এই সময়েই ভারতবর্ষে সুবর্ণমুদ্র চালাইবার প্রথম প্রস্তাব উপস্থিত হয় । বাণিজ্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ের কার্য্যও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাইয়াছিল । র্তাহারই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইয়ছিল। বিধবাবিবাহ সম্বন্ধীয় আইন প্ৰবৰ্ত্তন, রেল, তড়িতলাৰ্ত্তীর আবির্ভাব ও নরবলি রহিত হইয়াছিল । এই সময়ে ব্যবস্থাপক সভার আর একটা অভিনব আইন বঙ্গালার লেপ্টেনেন্ট গবর্ণর গ্রান্ট সাহেব উপস্থিত করিলেন ইহার মৰ্ম্ম এই যে —সরকারী নিলামে জমিদারী বিক্রয় হইলে, পত্তনি স্বত্ব రిg = రి* ভারতীয়-ঐতিহাসিক আইনের সমর্থক হইলেন । সময়ে নীলকর সাহেবগণ প্রজার প্রতি হইতেছিল না । ইহার প্রমাণ সাঁওতাল ক্যালিং লর্ড दञ ब्रि ५ांकि८व । छभिमां८ब्लज्ञां ऐझॉब्र অতিশয় বিরোধী হইলেন । কিন্তু মিশনারী ও নীলকর সাহেবগণ এই ऊँॉझांब्रहे অত্যাচার করে বলিয়া, মিশনারীগণ র্ত হীদের বিরুদ্ধে দাড়াইয়াছিলেন । গ্রন্ট সাহেবের আইন পাশ হইল না। এই সময়ে ভারতবর্ষীয় কোন কোন রাজ। তিরস্থত, অপহৃতসৰ্ব্বস্ব, হইয়। ল গুন নগরে প্রতীকার প্রার্থী হইয়া গমন করেন । কুর্গের অধিপতি, খয়েয়পুরের নবাব, কর্ণাটের নবাব, সুরাটের নবাব, নাগপুরের রাজ রাণী, বাজীরাওএর উত্তরাধিকারীগণ, অযোধ্যার রাজ মা তা প্রভৃতি স্বয়ং বা প্রতিনিধিদ্বারা প্রতী কার প্রার্থী ছিলেন । কিন্তু ইংরেজ জাতি র্তাহীদের প্রার্থনায় মনোযোগ দিলেন না । এদিকে সিপাহীর জানিতে পরিল যে, ভারতবর্ষে একটাও স্বাধীন রাজ্য নাই । ইংরেজের বিদেশ অধিকারের চেষ্টায় আছে। বিদেশে যাইতে হইলেই সমুদ্র পার হইয়া যাইতে হইবে সুতরাং জাতি নষ্ট হইবে। এই সময়ে ধৰ্ম্ম যুদ্ধে যাইতে অস্বীকার করিয়া একদল সিপাহী কৰ্ম্মচুত হইল । ইহা ও অসন্তোষ অগ্নির ইন্ধন যোগাইল । এই সমস্ত কারণে লোকের মনে সন্দেহ জন্মিয়ছিল যে, প্রাচ্য সভ্যতা বিনষ্ট করিয়া পাশ্চাত্য সভ্যতা স্থাপনের জন্তু