পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిసిసి সুলতানকে আনিয়া উপহার দিলেন । বলবন সত্বরগমনে গৌড়নগরে উপস্থিত হইয়া সমস্ত ধন রত্ন, হয় হস্তী অধিকার করিলেন এবং তোগরিলের অনুচর, আত্মীয়স্বজন, এমন কি তাহার স্ত্রী পুত্রগণকে পর্য্যন্ত অতি নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করিলেন । তেগিরিল একজন ফকিরকে শ্রদ্ধা করিতেন, এই অপরাধে তিনি শতাধিক অনুচর সহিত র্তাহীকে হত্যা করেন। ইতিপূৰ্ব্বে ভারতবর্ষের কোন মুলতান বিদ্রোহীর স্ত্রী পুত্রগণকে এইরূপ ভাবে হত্য করেন নাই । তিনি যেমন বিদ্রোহীদের প্রতি কঠোর ব্যবহার করিতেন, তেমনই দ্যায়বান বিচারক ও ছিলেন । বিচার কার্য্যে তিনি অনমনীয় ছিলেন । র্তাহার অতি নিকটতম আত্মীয় ও অন্তীয় করিয়া অব্যাহতি পাইতেন না । ক্রীতদাস মালিক বরবক তাহার অতি প্রিয়পাত্র ছিলেন । তিনি চারি হাজারী মনসবদার ও বদীয়ুনের জায়গীরদার ছিলেন। একদা সুরাপানে মত্ত হইয়া তিনি এক চাকরের প্রাণ সংহার করেন । ইহার কিছুদিন পরে সুলতান বদায়ুনে গমন করিলে, ভূত্যের বিধবা পত্নী তাহার নিকট অভিযোগ করেন। সুলতান এই অপরাধে বরবককে বিধবার সম্মুখে হত্যা করিবার আদেশ দেন এবং যথা সময়ে ভূত্যের লোমহর্ষণ নরহত্যার ংবাদ তাহীকে জ্ঞাপন নাe করায় 8"ー8v ভারতীয়-ঐতিহাসিক গিয়াসউদিন তিনি গুপ্তচরদিগকে প্রকাগু স্থানে ফাসি কাষ্ঠে বিলম্বিত করেন । হায়বত খ। সুলতান বলবনের একজন ক্রীতদাস ও করবেগ ছিলেন । তিনিও একদ। মুরা পানে মন্ত হইয়া এক ভূত্যের প্রাণ সংহার করেন । মৃত ব্যক্তির আত্মীয়েরা সুলতানের নিকট অভিযোগ করিলে, তিনি তাঁহাকে পাঁচশত বেত্ৰাঘাত করিয়া মৃত ব্যক্তির বিধবা স্ত্রীর হস্তে সমপণ করিতে আদেশ করিলেন । হায়বত্ত র্থ। বহু অর্থ বিধবাকে প্রদান করিয়া রক্ষা পাইলেন বটে কিন্তু এই অপমানে আর গৃহের বাহির হইতেন না। রাজ্যের সংবাদ সংগ্ৰহ করিবার জন্য তিনি সর্বত্র গুপ্তচর নিযুক্ত করিয়া ছিলেন । র্তাহীদের ভয়ে কেহ কাহারও প্রতি অত্যাচার করিতে সাহসী হইত না । এই সদাশয় ও দানশীল সুলতান ‘নিরাপদ ভবন' নামে একটী অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । কোন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি তথtয় বাস করিলে, তিনি তাহার ঋণ পরিশোধ করিয়া দিতেন । কেহ কেহ বিপন্ন হইয়। এখানে আসিলে অtশ্রয় প্রাপ্ত হইত। রাজ্যভ্রষ্ট ও দেশচু্যত সপ্তদশ রাজপুত্র তাহার আশ্রয় ও বৃত্তি প্রাপ্ত হইয়। র্তাহার সন্নিধানে অবস্থান করিতেন । এই দ্যtয়লান দানশীল সম্রাট রাজ্যের সর্বপ্রকার উন্নতির জন্ত সচেষ্ট ছিলেন। তিনি পররাজ্য বিজয়ে মনো