web-6. বরিশাল জিলার তৎকালীন অধিকাংশ জমিদারের এষ্টেটের খাস মোক্তারের কাৰ্য্য করিতেন, পরে সরকার পক্ষের HERHİR FİR ( Manager, Court of Wards ) মনোনীত হন । গিরিশচন্দ্র পিতামাতার নানা সদগুণের অধিকারী হইয়াছিলেন। তিনি প্রথমে গ্রামের কোন সংস্কৃত টোলে ব্যাকরণ অধ্যয়ন করেন। তৎপর ইংরাজী শিক্ষা লাভের জন্ত পিতার নিকট বরিশালে গমন করেন । ১৮৬০ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি ঢাকা পোগোস স্কুল হইতে প্রবেশিক পরীক্ষায় প্রশংসার সহিত উত্তীর্ণ হইয়। বৃত্তি ও মেডেল প্রাপ্ত হন । এস্থলে র্তাহার ত্যাগের ও বন্ধু প্রীতির পরিচয় পাওয়া যায়। বাঙ্গাল রচনা পরীক্ষায় তিনি ও র্তাহার সহtধ্যায়ী দীননাথ সেন তুলা নম্বর প্রাপ্ত হন, বাঙ্গালা রচনার জন্য একটী স্বর্ণ পদক প্রতি বৎসর শ্রেষ্ঠ লেখককে উপহার প্রদত্ত श्छेङ, झुझे अनझे छूलj नश् व्र 2iांश्टं হইয়াছেন, সুতরাং কিভাবে পদক প্রদত্ত হইবে, যখন এই প্রশ্ন উঠিল, তখন তিনি স্বেচ্ছায় ঐ পদ ক ৰ্তাহার সহাধ্যায়ীকে প্রদান করিবার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলিলেন, এবং তদনুযায়ী পদক দীননাথকে প্রদান করা হইল। গিরিশচন্দ্র যখন ঢাকায় পড়াশুনা করিতে ছিলেন, তখন তাহার অগ্রজ হরিশবাবু বিক্রমপুর বেত কী স্কুলের প্রধান । 8% - 4 • ভারতীয়-ঐতিহাসিক গিরিশচন্দ্র শিক্ষকের কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন । উক্ত স্কুলে ‘বিদ্যোৎসাহিনী’ নামী একটা সভা ছিল। গিরিশচন্দ্র ভ্রাতার অমুরোধে সেই সভায় কতকগুলি লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন । এই কবিতাময় প্রবন্ধ সকল শেষে ‘স্বভাব দর্শন’ নামক পুস্তকাকারে অনুজ প্রতাপচন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত হয় । নৈসর্গিক শোভা বর্ণনায়, ভাষা সম্পদে প্রচলিত কুসংস্কারের প্রতি তীব্র সমালোচনায়, স্বদেশ প্রেমিক তায় ও গভীর আধ্যাত্মিকতায়, প্রবন্ধ সকল অতি উচ্চাঙ্গের কবিতার মধ্যে পরিগণিত হইবার উপযুক্ত । ১৮৬১ খ্রী: অব্দে গিরিশচন্দ্র ঢাকা কলেজে প্রবিষ্ট হন । এই সময় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ পরিচালিত ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিক পাঠ করিয়া, তিনি ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং প্রচলিত হিন্দু ধৰ্ম্মের প্রতি ক্রমে র্তাহার অনাস্থা জন্মে। তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা হরিশ্চন্দ্র মজুমদার ১৮৬৭ খ্ৰীঃ অব্দে এপ্রিল মাসে, বরিশালে ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করিয়া, আচাৰ্য্যরূপে কাৰ্য্য করিতেন, এবং ঢাকা নগরীতে ব্রজসুন্দর মিত্র প্রভৃতি মহাশয়গণ ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পতাকা উডউীন করিয়াছন, ‘তত্ত্ববোধিনী পাঠ, অগ্রজের আদর্শ, ব্ৰঙ্গমুন্দর বাবু প্রভৃতির দৃষ্টান্ত তাহাকে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের দিকে অধিক আকর্ষণ করে । তৎফলে গিরিশচন্দ্র কলেজ পরিত্যাগ করিলেন এবং
