Ꮌ8ᏑᎼ প্রকাশিত হইতে থাকে । তাহার পিত। যাদবচন্দ্র ও অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র উহার তত্ত্বাবধান করিতেন । ১২৮২ বঙ্গাব্দের চৈত্র পর্যন্ত (১৮৭৬, খ্ৰীঃ মার্চ, বঙ্গদর্শন নিয়মিত প্রকাশিত হইয়া হঠাৎ বন্ধ হুইয়া যায়। অনুমিত হয় যে বৈষয়িক কারণে পারিবারিক অশান্তি অত্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়াতেই পঙ্কিম কতকটা বাধ্য হইয়। বঙ্গদর্শনের প্রকাশ বন্ধ করেন । এই সময়েই তিনি র্কাঠালপাড়ার বাস পরিত্যাগ করিয়া চুচুড়ায় বাট ভাড়। করিয়া বাস করিতে থাকেন। এক বৎসর পরে, বঙ্কিমচন্দ্র ‘বঙ্গদর্শনের স্বত্ব সঞ্জীলচন্দ্রকে প্রদান করিলে, তাহার সম্পাদনীয় উহা পুনরায় ( ১২৮৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ হইতে) প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করে। কিন্তু উহার আর পূর্বের স্তায় সমাদর রহিল না । সঞ্জীবচন্দ্র নানারূপ অমুপিধার মধ্যেও ১২৮৯ বঙ্গাব্দের চৈত্র ( ১৮৮৩ খ্ৰীঃ, মার্চ) পর্য্যস্ত উহ। প্রকাশ করিয়া পুনরায় বন্ধ করিয়া দিতে বাধ্য হইলেন । বঙ্গদর্শনের তিরো ভাব বহু সাহিত্যিকেরই বিশেষ মনোকষ্টের কারণ হওয়tয়, মুলেখক চন্দ্রনাথ ব মুর ও শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারের উৎসাহে ও চেষ্টায় পরবত্তী বৎসর (১২৯০) কীৰ্ত্তিক মাস হইতে পুনরায় প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করে । কিন্তু মাত্র চffর মfস প্রকাশিত হইবার পর, বঙ্কিমচন্দ্রের নির্দেশেই উহার প্রচার বন্ধ করিয়া দিতে >braー>bb" ভারতীয়-ঐতিহাসিক यडिञ হইল । বঙ্গদর্শন বন্ধ হইবার কয়েকমাস পরে বঙ্কিমচন্দ্রের জমিতে রাখালচক্তের সম্পাদনায় ‘প্রচার’ নামে একখানি ক্ষুদ্র মাসিক পত্রিক প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করে । খুব সম্ভবতঃ তিনি স্বয়ং অন্তরালে থাকিয় উহ! প্রকাশ করিতে থাকেন । ‘প্রচার’ বাহির হইবার অল্প কিছুকাল আগে, সুলেখক অক্ষয়চন্দ্র সরকারের সম্পাদনায় ‘নবজীবন’ পত্রিক। প্রকাশিত হইতে আরম্ভ করে। ‘প্রচার’ পত্রিক। ১৮৮৮ খ্ৰীঃ অব্দের মার্চ মাস ( ১২৯৪ বঙ্গাব্দ, চৈত্র ) পর্য্যন্ত প্রকাশিত হইয়াছিল । অন্তান্ত গ্রন্থাদি পূৰ্ব্বে উল্লিখিত উপন্যাদাদি ভিন্ন বঙ্কিমচন্দ্রের অন্তান্ত গ্রন্থ নিম্নলিখিত সময়ে প্রকাশিত হইয়াছিল । (১) লো করইস্ত । ইহার প্রবন্ধাদি প্রথমে বঙ্গদর্শনে ও প্রচারে মুদ্রিত হয় । পরে স্বতন্ত্র পুস্তকা করে মুদ্রিত হয় । উহ। খুব সস্ত৭ ১৮৭৪ খ্ৰীঃ অব্দে প্রথম মুদ্রিত হয় । প্রায় চৌদ্দ বৎসর পরে উহার সম্পূর্ণ সংশোধিত, পরিমার্জিত পরি: বৰ্দ্ধিত দ্বিতীর সংস্করণ প্রকাশিত হয় । (২) বিজ্ঞান রহস্ত । ইহাতেও বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ সমূহ পুনমুদ্রিত হয়। পরবত্তী সংস্করণে (১২৯১ বঙ্গাব্দ ) উহার অনেকাংশ পরিবর্তিত হয় । (৩) কমলাকাস্তের দপ্তর । বঙ্গদর্শনে ঐ নামে প্রকাশিত নিবন্ধগুলি
