〉S)も(? সাধিত হইয়াছিল এবং এই স্বত্রে অপূৰ্ব্ব সম্পদশালী ইংরেজী সাহিত্য বিশেষতঃ ইংরেজী দর্শন অধ্যয়নে তিনি প্রগাঢ় ভাবে মনোনিবেশ করিয়াছিলেন । এই অধ্যয়ন ও পরিশ্রমের ফলে প্রতাপচন্দ্র কালে বক্ত ও লেখকরূপে যে অদ্ভুত শক্তির পরিচয় দিয়াছেন, তাহা অামেরিকা, ইংলণ্ড ও ভারতের শিক্ষিত সমাজে সৰ্ব্বত্র সুবিদিত । ইংরেজী }ষায় বাগীবর প্রতাপচন্দ্র মজুমদারের অসাধারণ দক্ষতার কথা,তাহার অপূৰ্ণ ভাব ও শব্দসম্পদ এবং বাক্যবিদ্যাস নিপুণতার কথা শিক্ষিত বঙ্গবাসীর নিকট অধিক করিয়া বলা নিম্প্রয়োজন । যৌবনে ২৫ বর্ষ বয়সেই প্রতাপচন্দ্র বাঙ্গল ও হিন্দুস্থানাতে ধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আরম্ভ করেন । এিশ বৎসর বয়সে তিনি প্রথম ইংরাজীতে বক্তৃত৷ করিতে আরম্ভ করেন । ধীর সুগভীর সরল ও শুদ্ধ শব্দবিন্যাস করিয়া, সৌম্য দশন প্রতাপচন্দ্র যখন সুগম্ভীর ভাবে র্তাহার শ্রোতাদিগকে সম্বোধন করিতেন, তখন র্তাহার প্রত্যেকটি শব্দ শ্রোতার হৃদয়ের অস্তস্থলে প্রবেশ করিত । ১৭৭৪ খ্রীঃ আবেদ প্রতাপচন্দ্র প্রথমবার ইংলণ্ড গমন করেন । ১৮৮৩ খ্ৰীঃ অব্দে পুনরায় তিনি ইংলণ্ড হইতে আমেরিক গমন করেন এবং তথ। হইতে জাপান গমন করিয়া তথাকরি ভারতীয়-ঐতিহাসিক প্রতাপচন্দ্র বিশ্ব বদ্যালয়ে বকৃত করেন । এই <& vitâ *Orient;al Christi' ztfa § র্তাহার সুবিখ্যাত পুস্তক প্রকাশিত হয়। তৎকালে এই পুস্তকের অত্যন্ত সমাদর হইয়াছিল । খ্রীষ্টের প্রতি র্তাহার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও আধ্যাত্মিক প্রতিভা এই পুস্তকে মু প্রকাৰ্ত্তিত। তিনি ইংরেজী ও বাঙ্গালায় অীর ও কয়েকখানি গ্রন্থ রচনা করিয়া গিয়াছেন । তন্মধ্যে ইংরেজীতে ‘কেশব5&# 4 glazil’ “The Spirit of God” “The Heart Beats” elofs ificesh উল্লেখযোগ্য । ১৮৯৩ খ্ৰীঃ অব্দে সেপ্টেম্বর মাসে সিক গো ( Chicago ) ধৰ্ম্ম মহাসভায় অtহুত হইয় গমন করেন । এই মহাসভায় তিনি ‘এসিয়ার নিকট ধৰ্ম্ম বিষয়ে পৃথিবীর ঋণ সম্বন্ধে এক মুচিন্তিত প্রান্ধ পাঠ করেন । তথা হইতে ‘লাউয়েল ইনষ্টটউটে ভারত প্রসঙ্গে চারিটি বক্তৃত। প্রদানের জন্ত নিমন্ত্রিত ইয়। বেষ্টন নগরে গমন করেন । এই বক্তৃত গুণি শ্রেী তাদের মন এমন ভাবে আ ক ৰ্ষণ করিয়tiছল যে, তাহীদের একান্ত অনুরোধে তিনি কোনও কোনও বস্তু তার পুনরাবৃত্তি করিতে বাধ্য হন । বিভিন্ন খ্ৰীষ্টিয় উপাসকম গুলী তাহাকে নিমন্ত্রণ করিয়া স্ব স্ব উপাসনা মন্দিরে আচায্যের অসিন প্রদান করেন । প্রতাপচন্দ্র ব্রহ্মসমাজের এক বিপ্লব বা সংস্কার যুগের লোক ছিলেন ।
