বিক্রম কfরয়া বলিলাম, গোদার ও রোশিয়ার সর্দারদ্বয় আমার অথবা আমার বংশধরের ললাটে রাজটীকা না দিলে কেহই রাজা বলিয়া গণ্য হইবে না । এই প্রথা এখনও বৰ্ত্তমান । বিক। যে স্থানে রাজধানী স্থাপন করেন, সেই স্থান নীর নামক একজন জিতের ছিল । র্তাহার নাম স্বীয় নামের সহিত যুক্ত করিয়া লি কানীর নাম হইল । পূৰ্ব্ব প্রতিশ্রুতি অনুসারে বিক। সসৈন্তে জোহিয়াদিগকে আক্রমণ কfরলেন । তাঁহাদের সর্দার শের সিংহ নিহত হইলেন। তৎপরে ভট্টিদিগকে আক্রমণ করিয়া তাহীদের রাজ্য অধি করিলেন । বিকা পুগলের ভট্টি রাজের দুহিতাকে বিবাহ করিয়ffছলেন । সেই রাজকুমারীর গর্ভে নুনকৰ্ণ ও গরসিংহ নামে দুই পুত্র জন্মে। ১৪৯৫ খ্ৰীঃ অব্দে বিক। পরলোক গমন করিলে জ্যেষ্ঠ নুন কর্ণ রাজা হইয়ffছলেন । বিকু খা নবাব বাহাদুর—১৭৭৩ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি শ্ৰীহট্টের ফৌজদার ছিলেন । বিক্রম বা বিক্রমাদিত্য—ঈল বুর্গের নরপতি দ্বিতীয় চাবুগু, পশ্চিম চালুক্যংশীয় নরপতি তৃতীয় তৈলপের সামন্ত নরপতি ছিলেন । চাবুণ্ডের দ্বিতীয় পত্নী কলচুনী রাজ বিজ্জল বা বিজ্জনের কন্ত সিরিয়া দেবীর গর্ভে বিজল ও জীবনী-কোষ ১৬8৬ fবক্রমাদিত্য নামে দুই পুত্র জন্মে । তাহারা বিমু কড়ি, বাগড়াগ ও কেলবাড়ী নামক স্থানের শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। অন্য একখান শিলালিপিতে উল্লেখ আছে ১১৭৯ খ্ৰীঃ অব্দে 'বিক্রমাদিত্য কলচুরী রাজ সঙ্কমের সামন্ত নরপতি ছিলেন । বিক্রম কেশরী—একজন হিন্দু রাজা। তিনি মেদিনীপুর জিলার অন্তর্গত দণ্ড ভুক্তি প্রদেশের রাজ ছিলেন । অমর। বতীপুরীতে ( বৰ্ত্তমান মোগলমারী গ্রাম ) তাহার রাজধানী ছিল বলিয়া জানা যায় । তাহার কন্য! সখীসেন। বা শশিসেনা ও জামাত অহিমাণিক সম্বন্ধে আজিও এপ্রদেশে নানাপ্রকার কিম্বদন্তী প্রচলিত আছে । প্রায় তিন শত বৎসর পূৰ্ব্বে পদ্ধমান নিবাসী কবি ফকির রাম ‘সখীসেনা’ নামক কাব্যে বিক্রম কেশরীর কন্ঠ ও জামাতার প্রণয় কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়া ছেন । সম্ভবতঃ রাজা ধৰ্ম্মপাল, রাজেন্দ্রচেtল কর্তৃক নিহত হইলে পর উৎ কলের কেশরীবংশীয় বিক্রম কেশরী অথবা তাহার কোন পূৰ্ব্বপুরুষ দওভুক্তি প্রদেশ পুনরায় অধিকার করিয়৷ ছিলেন । উত্তর কালে রাজ রামপালের সময়ে তাহারই সামন্ত জয়সিংহ স্বাধীনতাবলম্বী রাজ। কর্ণকেশরীকে পরাভূত করিয়া পালবংশের সামন্তরূপে দণ্ডভুক্তি প্রদেশে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন ।
