১৬৫৬ আসিয়া সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন আরিস্তু করিলেন । বিজয়কৃষ্ণ যখন কলিকাতায় আসিয়া । সংস্কৃত কলেজে পড়িতে আরম্ভ করেন, তথম বাঙ্গাল দেশে যুগসন্ধি কাল । এই সময়ে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহ আন্দোলন, সিপাহী বিদ্রোহ, মীলকর হাঙ্গাম, সোমপ্রকাশ পত্রিকার অভু্যদয়, দেশীয় নাট্যশালার প্রতিষ্ঠা, ঈশ্বরচন্দ্রের তিরোভাব ও মধুসূদনের সাহিত্য ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা, হরিশচক্সের পত্রিক পরিচালনা, কেশবচন্দ্রের ব্রাহ্ম সমাজে প্রবেশ প্রভৃতি বহু ঘটনায় ও আন্দোলনে বাঙ্গালার শিক্ষিত সমাজ আলোড়িত ও বিক্ষুব্ধ । নুতন পাশ্চাত্য শিক্ষার আলোকে শিক্ষিত যুবকগণ ধৰ্ম্মবিশ্বাসবিহীন উদ্ধত ও উন্মাৰ্গগামী । এইরূপ যুগসন্ধিকালে যুবক বিজৎকৃষ্ণ অভিভাবকবিহীন হইয়। অধ্যয়নের জন্ত ঋলিকাতায় উপস্থিত হইলেন। কৌলিক ংস্কার ও স্বাভাবিক ধৰ্ম্মনিষ্ঠ। তাঁহাকে সেই ঘোর পরীক্ষার মধ্যে অতি প্রচলিত অনেক দুর্নীতির হইতে রক্ষা করিয়াছিল ; কিন্তু সঙ্গীগণের বিভিন্ন প্রকার ভাব ও ধৰ্ম্মবিশ্বাসহীনতা ক্রমে প্রচলিত ধৰ্ম্মবিশ্বাসে সংশয় এবং কোলিক ক্রিয় কলাপে অনাস্থ জন্মাইতেছিল। সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়নের সময়ে তিমি হাবড়ার সন্নিকটস্থ সাতরাগাছী গ্রামে এক পরিচিতের গৃহে বাস করি ভারতীয়-ঐতিহাসিক ! বিজয়কৃষ্ণ তেন। তখন হাবড়ার পুল হয় নাই । প্রায় চার পাঁচ মাইল পথ পদব্রজে আসিয়া নেী কায় গঙ্গা পার হইয় তাহাকে কলেজে উপস্থিত হইতে হইত। এই সময়েই রামচন্দ্র ভাদুড়ীর কন্ত। যোগমায়। দেবীর সহিত তাহার পি বাহ হয় । যোগমায়। দেবীর বয়স তখন ছয় বৎসর মাত্র । ংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করিতে করিতে সংস্কৃত হিন্দুশাস্ত্র অধ্যয়নে র্তাহীর ঐকান্তিক আগ্রহ জন্মে এবং তিনি বেদান্ত পাঠে ব্ৰতী হন । বেদান্ত চর্চা করিতে করিতে অল্পদিন মধ্যেই প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্মে তাহার অনাস্থা জন্মিতে লাগিল। ক্রমে তিনি ঘোর বৈদান্তিক হইলেন । যিনি কিছুদিন পূৰ্ব্বে দেবীর্চন না করিয়া সন্তুষ্ট হইতেন না, তিনিই এখন অদ্বৈতবাদের অহং ব্রহ্মবাদ গ্রহণ করিয়া পূজা অৰ্চনার আব9্যকতা অস্বীকার করিতে আরম্ভ করিলেন । ইহার উপর কৌলিক ব্যবসায় গুরুগিরির উপরও তিনি ক্রমে বীতশ্রদ্ধ হইতেছিলেন। একবার এক শিন্মের ভবনে উপস্থিত হইলে সেই পরিবারের এক বৃদ্ধ নারী তীtহার পাদপূজাস্তে অনুনয় করিয়া বলিতে থাকেন “প্রভো আমি অকুল ভবসাগরে নিমগ্ন হইয়। হাবুডুবু খাইতেছি ; কিছুতেই উদ্ধার হইতে পারিতেছি না। আপনি দয়া
