১৭৩১ বৰ্ত্তিত নীতি হইতে বিচ্যুত হন নাই । তিনি লোকমান্ত তিলকের স্বায়ত্বশাসন ( Home Rule ) আন্দোলনে একজন প্রধান সহায়ক ছিলেন । সে সময়ে দেশবাসী বুলি, বাল, পলি’ অর্থাং লালtলাজপৎ রায়, বালগঙ্গাধর তিলক ও বিপিনচন্দ্র পালের নাম রাজনীতি ক্ষেত্রে একই স্বত্রে গ্রথিত করিত। লালালাজপৎ রায় ১৯২০ খ্ৰীঃ আন্দে কলিকাতা অনুষ্ঠিত জাতীয় মহাসমিতির বিশেষ অধিবেশনের নেতৃত্ব কালে মহাত্ম। sitstą“anētāts!” (Non ooperation) নীতির বিরুদ্ধবাদী হইয়াছিলেন । ১৯২১ খ্ৰীঃ অব্দের মার্চ মাসে বরিশালে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনের Conference ) সভাপতিরূপে চিত্তরঞ্জন দাশের অসহযোগ প্রস্তাবের বিরুদ্ধত করিয়াছিলেন। তিনি তাহার সেই অভি. ভাষণে যে মত ব্যক্ত করেন তাই। জনসাধারণের মনঃপূত হয় নাই । তদবধি বাংলার তরুণ সমাজের নিকট ও দেশের রাজনীতিক্ষেত্রে তাহার পূর্ব গৌরব ক্ষুণ্ণ হইতে আরম্ভ করে। দেশের তরুণসমাজ র্তাহার তথাকথিত অপরাধ ক্ষমা করেন নাই । তদবধি একাধিক ক্ষেত্রে তিনি ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যাও লাভ করেন । বিপিনচন্দ্র মনে প্রাণে দেশকে ভালবাসিতেন, তাই তিনি বাংলার বৈশিষ্ট ও স্বত্বস্তুের প্রচারক ছিলেন । ( Bengal Provincial ভরতীয়-ঐতিহাসিক বিপিনচন্দ্র যে বাংলা অন্য প্রদেশকে রাজনীতি শিক্ষা দিয়াছে, সেই বাংলা যে অপর কোন ও প্রদেশের রাজনীতিক কর্তৃত্ব স্বীকার করিবে, ইহ। তিনি সহ করিতে পারিতেন না । এই কারণেই তিনি জীবনে কখনও ভিন্ন প্রদেশীয় কোনও নেতার নেতৃত্বই স্বীকার করেন নাই । সম্ভবতঃ মহাত্মা গান্ধীর স্বসহযোগ নীতির বিরুদ্ধে তাহার অভিযানের মূলম্ব ত্র এই থানেই খুজিয়া পাওয়া যাইবে । এই কারণেই রাজনীতিক বিপিনচন্দ্রকে তাহার যৌবনে ও প্রথম প্রৌঢ় অবস্থায় বাঙ্গালী যে ভাবে পাইয়াছিল বাদ্ধক্যে সেই ভাবে পায় নাই । সম্ভল তঃ সেই কারণেই আজীবন দারিদ্র্যের সহিত সংগ্রাম করিয়া পরিণত বয়সে তিনি ভিন্ন জাতীয় সংবাদ পত্রের সাহায্য গ্রহণ করিয়া মনোভােব ব্যক্ত করিতে বtধ্য হইয়াছিলেন । এই স্বদেশী যুগেই (১৯০৭ খ্ৰীঃ)“বন্দেমা তরম্” পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের জন্ত র্তাহার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহের অভিযোগ আনীত হয় । ঐ মকৰ্দমায় বিপিনচন্দ্রকে সরকার পক্ষ হইতে সাক্ষ্য দিবীর জন্য আহবান করা হয়, কিন্তু তিনি সাক্ষ্য দিতে অস্বীকার করায়, আদালত-অবমালনীর অভিযোগে ছয় ম{স বিনাশ্রম কারাদণ্ড লাভ করেন । র্তাহীর ঐ কারাবাস গ্রহণদেশের উপর এক গভীর প্রভাব বিস্তার করে।
