»ፃ8ፃ মধ্যেই সহপাঠীগণের করিলেন । পাঠ্য বিষয় সমূহের মধ্যে গণিত শাস্ত্রে তাহীর অtদেী মন বলিত না । ইংরেজী, ইতিহাস, সংস্কৃত প্রভৃতি বিষয়গুলি তিনি বিশেষ আগ্রহ সহকারে অধ্যয়ন করিতেন । “পিতার অনুকরণে ঘৃণাভরে নাসিক কুঞ্চন করিয়া অঙ্ক শাস্ত্রকে ‘দোকানদারের জুয়াচুরী বিদ্যা’ বলিয়। উপহাস করিতেন।” চতুর্দশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে তিনি কঠিন আমাশয় রোগে আক্রান্ত হন । দীর্ঘকাল পীড়tফ্রান্ত থাকিয়া শরীর অতিশয় দুৰ্ব্বল হইয়া পড়াতে, চিকিৎসকগণের পরামর্শে র্তাহার পড়াশুনা বন্ধ রাখিতে হয়। র্তাহার পিত। তখন কৰ্ম্মোপলক্ষে মধ্য প্রদেশের অন্তগত রায়পুরে অবস্থান করিতেছিলেন। বায়ু পরিবর্তনের জন্য তথায় গমন করিলে, তাহার স্বাস্থ্যোন্নতি হইবে অন্নমান করিয়। বিশ্বনাথ দত্ত মহাশয় পরিবারবর্গকে তথায় লইয়া গেলেন । তখনকার দিনে রায়পুর যাইতে হইলে এলাহাবাদ ও জববলপুর হইয়া নাগপুর পর্য্যন্ত রেলপথে যাইতে হইত এবং তথা হইতে প্রায় পনের দিন গো-শকটে যাইয়। রায়পুর পৌছিতে হইত। রায়পুরে যাইবার সময়ে মধ্যপ্রদেশের গভীর বনরাজী এবং বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের উচ্চ শিখর সমূহের গম্ভীর সৌন্দৰ্য্য র্তাহার মনে ¢नझुद्ध ठाउ ভারতীয়-ঐতিহাসিক বিবেকানন্দ যে গভীর প্রভাব পিস্তার করিয়tছল, তাহা তিনি শেষজীবন পৰ্য্যন্ত অমুভব করিতেন । রায়পুরে বালক নরেন্দ্রনাথ পিতার নিকটে বিদ্যাভ্যাস করিতেন । পুত্রের প্রতিভার পরিচয় বিশ্বনাথ পূৰ্ব্বেই পাইয়াছিলেন । সেজন্য তিনি পুত্রের প্রতিভা অধিকতর পরিস্ফুটনের অনুকুল করিয়া, স্বয়ং তাঁহাকে গুহে শিক্ষা দিতে থাকেন । প্রায় জুই বৎসর রায়পুরে অবস্থানের ফলে তাঁহার স্বাস্থ্য বিলক্ষণ উন্নতি লাভ করে । কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করিয়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ অনুমতি লইয়া প্রবেশিক শ্রেণীতে প্রবেশ করিলেন এবং দুই বৎসরের পাঠ্য সমুদয় বিষয় এক বৎসরেই অধ্যয়ন করিয়া প্রশংসার সহিত প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হইলেন । বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে, কোন একজন শিক্ষকের অবসর গ্রহণ উপলক্ষে আহুত সভায়, ছাত্ৰগণের পক্ষ হইতে, ইংরেজীতে বক্তৃত৷ করিয়া সকলের বিস্ময় উৎপাদন করেন। সভাপতি দেশপূজ্য সুরেন্দ্রনাথও কিশোর নরেন্দ্রনাথের বক্তৃতা করিবার শক্তির পরিচয় পাইয়া, বিশেষ সাধুবাদ প্রদান করেন । প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়। তিনি প্রথমে প্রেসিডেন্সী কলেজে ভৰ্ত্তি হন । কিন্তু রায়পুর হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন
