পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ዓፃ> অত্যাচারের প্রতীকার করেন নাই । কিন্তু মিঃ মাধব রাও পুরোহিতদিগের এই অত্যাচার দমন করিবার জন্ত সচেষ্ট হইলেন । এই কাৰ্য্য পরিদর্শনের জন্য তিনি একজন কমিশনার নিযুক্ত করেন এবং ভবিষ্যতে পুরোহিতেরা যtহাতে এইরূপ অত্যাচার করিতে না পারে, তাহার বন্দোবস্ত করেন । ভূমির রাজস্ব কতক শস্ত দ্বারা এবং কতক নগদ টাকা দ্বারা দিতে হইত । শস্তের পরিমাণ রাজসরকার হইতে নিৰ্দ্ধারণ করিয়া দেওয়া হইত এবং প্রজার তন্নির্দিষ্ট শস্ত রাজসরকারে প্রদান করিতে বাধ্য থাকিত । তাঁহাদিগকে শতকরা ত্ৰিশ (৩০ ) ভাগ শস্ত প্রদান করিতে হইত । মিঃ মাধব রাও ১৯০৬ খ্ৰীঃ অব্দে ত্রিবাঙ্কুরের দেওয়ানের পদ পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় মহীশূরের দেওয়ানের পদ লাভ করেন । এই স্থানেই তিনি র্তাহার জীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন । মিঃ মাধব রাও ত্রিবাঙ্কুরে কেবলমাত্র তিন বৎসর দেওয়ানীর কার্য্য করিয়াiছলেন । কিন্তু এই অল্পকালের মধ্যেই তিনি তথায় অনেক উন্নতিকর প্রতিষ্ঠান স্থাপন করিয়াছিলেন। মহীশূর রাজ্যে তিনিই প্রথমে ব্যবস্থা পরিষদ সভা স্থাপন করেন। জিলার বিচার কার্য্য পরিচালনা করিবার জন্য র্তাহাকে অনেক ভারতীয়-ঐতিহাসিক विश्वंञांथं আইন প্রণয়ন করিতে হইয়াছিল। কৃষিপ্রদর্শনী মাহবান করিয়া, তিনি এমন কি গ্ৰামদেশেও বিজ্ঞান সন্মত কৃষিকাৰ্য্য শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । ১৯৪৬–১৯০৭ খ্ৰীঃ অব্দে তিনি দুর্ভিক্ষের সময়ে দরিদ্রদিগকে সাহায্য করিবার জন্য একটি রিলিফ ফাণ্ড ( Relief fund ) গঠন করেন এবং প্রতি বৎসর রাজসরকার হইতে দুই লক্ষ টাক। দিবার ব্যবস্থা করেন । এই সময়ে মহীশূরে দাঙ্গা আরম্ভ হয়, এই দাঙ্গ দমন করিবার জন্ত মাধব রাওকে অনেক কঠোর আইন প্রণয়ন করিতে হইয়tiছল । সহরে পানীয় জল সরবরাহ করিবার জন্য তিনি অতি উত্তম বন্দোবস্ত করিয়া গিয়াছেন ; জনসাধারণের স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রাথিবীর জন্য তিনি একজন কমিশনার নিযুক্ত করেন ও কয়েকটি দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ইহা ছাড়া তিনি মহীশূরে কয়েকটি আয়ুৰ্ব্বেদীয় কলেজ স্থাপন করেন । এইরূপে মাধব রাও, শিক্ষা, যাহা শাসন কার্য্যের অঙ্গ স্বরূপ, তাহা বিস্তারের সুবনেদাবস্ত করিয়াছিলেন। তাহার সময়েই অবৈতনিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রচলন আরম্ভ হয় ও গ্রাম্য বিদ্যাললের শিক্ষকের। কম পক্ষে দশ টাকা করিয়া বেতন পাইবে বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত হয় । মিঃ মাধব রাওয়ের স্বাবলম্বন গুণই তাঁহাকে