S6 (t ১৮০৬ খ্ৰীঃ অব্দে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ত্রিশ বর্ষের অধিক কাল রাজা শাসন করিয়া ১৮৩৭ খ্ৰীঃ আবে পরলোক গমন করেন । দিল্লীতে প্রথম বাহাদুর শাহের সমাধির কাছেই তাহাকে সমাহিত করা হয় । তাইfর পুত্র দ্বিতীয় বাহাদুর শাহই দিল্লীর শেষ মুঘল সম্রাট। তাছার সময়ে ইংরেজ পক্ষে মিঃ সিটন দরবারে উপস্থিত থাকিতেন । ( সিটন দেখ ) * আকলাস র্থ –আtওরঙ্গজীবের দক্ষিণত্য বাহিনীর প্রধান সেনাপতি দিীর খার তিনি ভাগিনেয় ছিলেন । স্বীয় মাতুলের সঙ্গে থাকিয়া তিনি ক্ষুদ্র সেনাপতির কাজ করিতেন । শস্তুজী, স্বীয় পিত। শিবাজীর নিকট হইতে পলায়ন করিলে, দিলীর গ। শস্তুজাকে সাহায্য করিবার জন্ত স্বীয় ভাগিনেয় আকলাস খাকে প্রেরণ করিয়াছিলেন । আক সাদেক—তিনি পূৰ্ব্ববঙ্গের অন্তর্গত পাটপশার নামক স্থানের জমিদীর ছিলেন । ঢাকার তৎকালীন শাসনকৰ্ত্ত মুর্শিদ কুলি খার সহকারী মীর হবিব তাহাকে গ্রি পুরা রাজ্য জয় করিতে প্রেরণ করেন । ঐ সময়ে (১৭৩২ খ্ৰীঃ) ত্রিপুরার ভূতপুৰ্ব্ব নরপতি ছত্র মাণিক্যের প্রপৌত্র জগৎরাম ঠাকুর তৎকালীন রাজা ধৰ্ম্ম মণিক্যের বিরুদ্ধে উখিত হইয়া, ঢাকার সহকারী শাসনকৰ্ত্তা মীর হবিবের সাহায্য প্রার্থনা ভারতীয়-ঐতিহাসিক আকিদণ্ড, করেন । মীর হবিব ত্রিপুরা আক্রমণের উৎকৃষ্ট সুযোগ গ্রহণ করিয়া বহু সৈন্তসহ আক' সাদেককে প্রেরণ করেন । কুমিল্লার নিকটবৰ্ত্তী এক স্থানে উভয় সৈন্তের যুদ্ধ হয় এবং ত্রিপুর সেনাপতি কমল নারায়ণ ঘোষ বিশ্বাস সেই যুদ্ধে নিহত হইলে, মহারাজ ধৰ্ম্ম মাণিক্য পৰ্ব্বত প্রদেশে পলায়ন করেন। তদবধি সমতল ক্ষেত্র রোসনাবাদ নাম প্তি হয় এবং জগৎরাম “জগৎ মাণিক্য” উপাধি গ্রহণ-পূৰ্ব্বক তথাকার রাজা হন । অাক সাদেক বিজিত প্রদেশের ফৌজদারের পদে নিযুক্ত হন । ইহার কিছু দিন পরেই ত্রিপুরার মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য বাঙ্গালার নবাব সুজাউদিনের নিকট উপস্থিত হন । তথায় জগৎশেঠ প্রভৃতি প্রধান প্রধান রাজকৰ্ম্মচারীর সহায়তায়, বার্ষিক পাচ হাজার টাকা কর দিতে সন্মত হুইয়। রেসিনাবাদ তিনি পুনঃপ্রাপ্ত হন। সেই সময়ে আকা সাদেক বরদাখাতের জমিদারী প্রাপ্ত হন । আকাসাদেকের বাসগৃহের চিহ্ন এখনও খুল্লা গ্রামে, বৰ্ত্তমান আছে এবং মেঘনা নদীর তীরস্থ “আকানগর" তাঁহারই নামে পরিচিত । আকিদৎ খা—তিনি ঢাকার নবাব শায়েস্তা খার অধীনে একজন ফৌজদীর ছিলেন । যখন মগ জল দস্কার ঢাকা আক্রমণ করে, সেই সময়ে তিনি সেনাপতি ইসলাম খার সহকৰ্ম্মী
