পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় ঐতিহাসিক-প্রথম খণ্ড.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমরনাথ জীবনী-কোষ ১২ শিক্ষা সংস্কার কার্য্যে আহবান করেন । ! যুবককে তিনি অপত্যনিৰ্ব্বিশেষে লালন অঘোর নাথ মহোৎসাহে শিক্ষা সংস্কায় ; পালন করিয়াছেন । ও শিক্ষা বিস্তারে প্রবুহু হইয়া অচিরেই যথেষ্ট উন্নতি সাধন করেন । তিনি সৰ্ব্বাগ্রে নিজাম কলেজের প্রতিষ্ঠা করিয়া সমস্ত নিজ নি রাজ্যে ঝালক বালিকাদিগের জন্ত ছিালয় স্থাপন করেন । অবিলম্বে এই কায্যের জন্য তিনি পুরস্কৃত হন। তাহাকে সকলে *শিক্ষাগুরু” বলিয়া সম্মান করিত | সকলে শ্রদ্ধান্বিত ছিল । যদি ৪ রসায়ন শাস্ত্রালোচনাই তাহfর জীবনের মুখ্য উদেও ছিল, তাহার কল্পনা শক্তির প্রাচুর্য্যেও তিনি মগ্ন থাকতেন। বাংল। ভাষায় লিখিত র্তাহার কয়েকটী কবিতা ভীষীর সরলতায় ও ভাবগাম্ভীর্য্যে অতি সুন্দর । কিন্তু এসকলের বহু উদ্ধে ছিল, তাহার সহৃদয়ত । তিনি অতি সহজে সকলকে আপনার করিয়া লইতে পারিতেন । নিঃস্ব দুস্থ সকলের জন্ত র্তাহার দ্বার উন্মুক্ত ছিল ; উচ্চ নীচ নিৰ্ব্বিশেষে সকলকেই তিনি সমান আদর করিতেন । অনেক দরিদ্র ছাত্র তাহার গৃহে থাকিয় শিক্ষা লাভ করিত । তিনি সকলকে আপন পুত্র কন্যার ন্যায় দেখিতেন। পত্নী বরদ। সুন্দরীর জীবন মাধুর্য ও করুণায় পূর্ণ ছিল । চারিট পুত্র এবং চারিট নানা জাতি ও বিচিত্র দেশের ছাত্ৰগণ সংস্পশে তাহার গৃহে সামাজিক কোন সংস্কারই থাকিতে পারিত না । অঘোর নাথের গৃহ শিক্ষানিবাস বলিয়া পরিচিত ছিল, কারণ সেখানে পণ্ডিত, মৌলবী ও বিদেশী বিদ্বজ্জনের নিত্য সমাগম হইত। তাহার দীর্ঘ শ্বশ্রুমণ্ডিত ঋষিজনোচিত আকৃত্তির বিপুল প্রাণভর। হাসিতে যেন গৃহ ফাটিয়া যাইত । তিনি শেষ জীবনে যখন কলিকাতার অবস্থান করিতেন, তখন তিনি যুবকদের সহিত যুপা হইয়া মিশিতেন এবং সৰ্ব্বদা বলিতেন ঘে—*বাংলার যুবকেরা আত্মমযiাদ। হারাইয়া অপনত হইয়। পড়িতেছে । সকলকেই তিনি আত্ম মর্যাদাসম্পন্ন হইতে উপদেশ দিতেন । এই গুহের আবহাওয়ার মধ্যেই তাহার আটট পুত্র কতৃ পিত। মাতার মহং আদর্শ দ্বার অনুপ্রাণিত হইয়। বঙ্কিত হইয়াছে। দেশ বিখ্যাত শ্ৰীমতী সরোজিনা নাইডু তাহারই সপ্তানদের অন্ততম । ১৯১৫ সালের ২৯ শে জামুয়ারী তিনি পরলোক গমন করেন । অঘোর শিবাচার্য্য—তিনি একজন দাক্ষিণাত্যের ভক্ত । তিনি এবং অদ্যান্ত ভক্ত পত্তির গিরিয়ার, শিববাক্য, পত্তিনাত্ত, পিল্লে, পরণযোধি মুনিয়র, শিৰ কন্তার পিতা হইয়াও বাহিরের লহু | যাগিন প্রভৃতি সকলেই ব্রাহ্মণের