উমেশচন্দ্র অকৃত্রিম ভালবাসায় ছাত্ৰগণ মুগ্ধ ও । অনুরাগী হইয়া উঠিল । তিনি র্তাহীদের সম্বন্ধে গুরু হইলেও, ব্যবহারে অকৃত্রিম বন্ধুর দ্যায় ছিলেন । তথ্যয় ব্রহ্মো পাসনার জন্ত কয়েকজন বন্ধু ও ছাত্র একত্র মিলিত হইলে বিরোধীগণের প্রহারে তাহাদিগকে জর্জরিত হইতে হয় এবং বিরোধীগণ কর্তৃক ব্রহ্মোপাসনা গৃহে এক কালী মূৰ্ত্তি স্থাপিত হয় । কিন্তু ত{হার চরিত্রের মাধুর্য্যে মুগ্ধ হইয়। পরবর্তী কালে বিরোধীগণই স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক ব্রহ্মমন্দিরের জন্য ভূমিদান করে ও সেইস্থানে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় । কলিকাতাই তাহার প্রধান ও শেষ কৰ্ম্মক্ষেত্র । সিটি কলেজ, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ এবং মূকবধির বিদ্যালয় তাহার নীরব প্রাণপাতের সাক্ষী च°ि ल७ॉप्रभtन ज्ञश्ब्रिाँtछ् । बन्नসমাজের নানা বিভাগে, অনাথবন্ধু সমিতিতে, ভারত সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কাজে লিপ্ত থাকতেন । অথচ আড়ম্বর নাই, কোলাহল নাই । তাহার ন্যায় নিম্পূহ, নিষ্কাম, শান্ত, আত্মসংযমী, কৰ্ম্মযোগী বিরল । নারীচরিত্রে তাহার অবিচলিত শ্রদ্ধা ছিল । তিনি ‘বামাবোধিনী পত্রিক’ নামে একখানি মচিলাদের উপযোগী পত্রিকা ৪৫ বৎসর নীরবে নারী জাতির কল্যাণের জন্য পরিচালিত করিয়াছেন। ইহাতে সহানুভূতি করার লোক বড় একটা ছিল না । জীবনী-কোষ صواتسو (O\ কলিকাতাস্থ মুকবধির বিদ্যালয় স্থাপনও তাহার প্রশস্ত হৃদয়ের পরিচায়ক । , ইহার জন্ত তিনি প্রভূত পরিশ্রম করিয়াছেন। তিনি ছুইটী মুক ও বধির ছাত্র লইয়া সিটি কলেজে কাজ আরম্ভ করেন । তিনি ধনী ছিলেন না, কিন্তু পরদুঃখ মোচনে মুক্তহস্ত'ছিলেন । মাদক-নিবারণী সভার জন্য ও বিস্তর পরিশ্রম করিয়াছেন । নিজে জ্ঞানীর্জনে সুখী হুইয়া তৃপ্ত থাকেন নাই, সকলকে জ্ঞান বিতরণ করিয়াছেন এবং সমাজের সর্ববিধ অমঙ্গল দূর করার জন্ত আজীবন প্রাণপাত করিয়৷ গিয়ছেন । তাহার জীবনের সর্বপিধ কল্যাণকর কৰ্ম্মের পশ্চাতে ছিল তঁtহার । গভীর ধৰ্ম্মভাব । প্রতিদিনের জীবনের সহিত তাছার উপাসনার সামঞ্জস্ত ছিল । ঠাচার ভিতর ও বাহিরের জীবন একই ছাচে গঠিত ছিল । প্রত্যক্ষ ঈশ্বরানুভূতির সহিত তিনি সমস্ত কার্য নিৰ্ব্বাহ করিতেন । অt স্তরিকত। তাহীর সকল কার্য্যের প্রাণ ছিল । তাহীর পত্নীবিয়োগ হইলে, সমস্ত সংসার ও শিশুসস্তানগণের ভার তাহার উপর পতিত হয় । তিনি জননীর দ্যায় তাহীদের তত্ত্বাবধান করিয়াছেন । ঘরে তাহার কৰ্ত্তব নিষ্ঠার সহিত যেমন পালন করিতেন, বাহিরের নানাবিধ সৎকাৰ্য্যও তেমনি নিষ্ঠার সহিত সম্পন্ন করিতেন । ১৩১৪
